জাফলং ভ্রমণ বিস্তারিত

জাফলং এর সুন্দর এই ছবিটি সংগৃহীত

জাফলং ভ্রমণ বিস্তারিত

সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্তর্গত একটি পর্যটনস্থল হলো জাফলং।পাহাড় আর নদীর অপূর্ব সম্মিলনে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই এলাকা বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটনস্থল হিসেবে পরিচিত। পর্যটনের সাথে জাফলং পাথরের জন্যও বিখ্যাত।জাফলং-এর বাংলাদেশ সীমান্তে দাঁড়ালে ভারত সীমান্ত-অভ্যন্তরে থাকা উঁচু উঁচু পাহাড়শ্রেণী দেখা যায়। এসব পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝরণা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়া ভারতের ডাউকি বন্দরের ঝুলন্ত সেতুও আকর্ষণ করে অনেককে।এছাড়া সর্পিলাকারে বয়ে চলা ডাওকি নদীও টানে পর্যটকদের। মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের ফলে ভারত সীমান্তে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ায় নদীর স্রোত বেড়ে গেলে নদী ফিরে পায় তার প্রাণ, আর হয়ে ওঠে আরো মনোরম। ডাওকি নদীর পানির স্বচ্ছতাও জাফলং-এর অন্যতম আকর্ষণ।

💠জাফলং ভ্রমনের স্থান সমূহ :

খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই এলাকা বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটনস্থল। জাফলং প্রকৃতির কন্যা হিসেবে পরিচিত। একেক ঋতুতে একেক রকম রূপ ছড়ায় জাফলং।পাথরের ওপর বয়ে চলা পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ পানির বয়ে চলা,ডাউকি ঝুলন্ত ব্রিজ ,উঁচু উঁচু পাহাড়ে সদর মেঘের ভেলা জাফলং কে করেছে অন্যতম। জাফলং ও এর আসে পাশে ভ্রমণের অনেক জায়গা রয়েছে যেমন :

🍁রাতারগুল 🍁জাফলং 🍁মায়াবী ( সম্রাট পুঞ্জি ঝর্ণা ) 🍁ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর। 🍁রাংপানি 🍁মালিনীছড়া চা বাগান। 🍁আগুন পাহাড়। 🍁হযরত শাহাজালাল (রঃ) ও শাহ পরাণ ( রঃ) মাজার।

🍁জাফলং:বাংলাদেশের সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থান সুমুহের মধ্যে জাফলং অন্যতম। বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত যা সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে, ভারতের মেঘালয় ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত।জাফলং এ শীত,বর্ষা মৌসমে ভিন্ন রূপ ধারণ করে। বর্ষায় জাফলং তার জীবন ফিরে পায়। নিজস্ব রূপে সজ্জিত হয়ে ওঠে। মেঘালয়ের পাহাড়ের ফাঁকে সাদা মেঘের অপরূপ ভেলা মেঘালয় এর পাহাড় থেকে ছুটে আসা ঝর্ণা যেন তার রূপের পসরা সাজিয়ে বসে। আবার শীতে জাফলং এর সৌন্দর্য থাকে ভিন্ন। সবুজ পাহাড়ে ঘিরে থাকে। তাই দুই মৌসমেই জাফলং এ ভ্রমণ করা যাই।

🍁রাতারগুল:বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট হলো রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট।রাতারগুল সিলেটের সুন্দরবন নাম খ্যাত। রাতারগুল জলাবন সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি মিঠাপানির জলাবন।পৃথিবীতে মিঠাপানির যে ২২টি মাত্র জলাবন আছে, “রাতারগুল জলাবন” তার মধ্যে অন্যতম।এই জলাবনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর।জলে নিম্নাংঙ্গ ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বনের গাছগুলো দেখতে বিভিন্ন সময়, বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এখানে ভিড় করেন পর্যটকগণ। ডিঙি নৌকা নিয়ে বনের ভিতর ভ্রমণ করতে হয়। সিলেটের স্থানীয় ভাষায় মুর্তা বা পাটি গাছ “রাতা গাছ” নামে পরিচিত। সেই রাতা গাছের নামানুসারে এ বনের নাম রাতারগুল।রাতারগুল কে অনেকেই বাংলাদেশের আমাজান বলে অভিহিত করেন।

🍁মায়াবী ( সম্রাট পুঞ্জি ঝর্ণা ):সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণার স্থানীয় নাম মায়াবী ঝর্ণা। জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে ভারতের সীমান্তে অবস্থিত মায়াবী ঝর্ণাতে যেতে মাত্র ১৫ থেকে ২০মিনিট সময় লাগে।মায়াবী এই ঝর্ণা মূলত ভারতীয় ভূখন্ডে পড়েছে। তারপরও বিএসএফ এর অনুমতিতে সেখানে বাংলাদেশিরা ভ্রমণ করতে পারে। সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণার ৩টি ধাপের শেষ ধাপে রয়েছে একটি রহস্যময় গুহা/সুড়ঙ্গ । এই গুহাটি মূলত জাফলং এর জিরো পয়েন্টের কাছে।

🍁ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর:সিলেট নগরী থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ। সিলেটে পাথরের স্বর্গরাজ্য হিসেবে খ্যাত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন নতুন পর্যটন স্পট হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে ‘সাদা পাথর’ নামক স্থানটি। যতদূর চোখ যায় দুইদিকে কেবল সাদা পাথর, মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ে মেঘের আলিঙ্গন। যেন অপরূপ এক স্বর্গরাজ্য। পাথরের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে বয়ে চলা ধলাইর কলকল শব্দে পাগল করা ছন্দ। সিলেট থেকে সাদা পাথর পর্যন্ত পুরোটা পথই প্রকৃতি তার সৌন্দর্যে বিমোহিত করবে যে কাউকে।ভারত থেকে নেমে আসা সীমান্ত নদী ধলাই নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকা স্থানীয়ভাবে ‘সাদা পাথর’ এলাকা হিসেবে পরিচিত।

🍁রাংপানি:সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামপুঞ্জি এলাকায় অবস্থিত রাংপানি।সিলেট শহর থেকে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দূরে এই জায়গাটি। সেখানে যেতে হলে ব্যক্তিগত যানবাহন কিংবা জাফলং যাওয়ার বাসে উঠে পড়লেই হবে। জৈন্তাপুর শ্রীপুর পর্যটনকেন্দ্র পার হয়ে মোকামপুঞ্জি এলাকায় নামলেই পায়ে হেঁটে মাত্র আধা কিলোমিটার এগোলেই দেখা মিলবে স্থানটির। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে এতটাই ভরপুর যে এলাকার নামই হয়েছে ‘শ্রীপুর’। এই শ্রীপুরেই অবস্থান সীমান্তবর্তী নদী ‘রাংপানি’র।মেঘালয়ের জৈন্তা পাহাড়ের রংহংকং জলপ্রপাত থেকে স্বচ্ছ জলের রাংপানির উৎপত্তি। অনেকের কাছে শ্রীপুর পাথরকোয়ারি নামেও পরিচিত।রাংপানি আর পুঞ্জির আশপাশের এলাকায় আশি ও নব্বইয়ের দশকে ঢাকাই চলচ্চিত্রের একাধিক ছবির শুটিং হয়েছে। শাবনাজ-নাঈম জুটির প্রথম ছবি চাঁদনীর জনপ্রিয় গান ‘ও আমার জান, তোর বাঁশি যেন জাদু জানে রে’ ছাড়াও বেশ কিছু দৃশ্য শ্রীপুরের বিভিন্ন স্থানে চিত্রে ধারণ করা হয়েছিল।

🍁মালিনীছড়া চা বাগান: সিলেটের চা বাগানের খ্যাতি রয়েছে সারা বিশ্বজুড়ে। দেশের মোট চায়ের ৯০ শতাংশই উৎপন্ন হয় সিলেটে।এজন্য সিলেটকে দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশও বলা হয়। চারপাশে সবুজের সমারোহ। নীল আকাশের নিচে যেন সবুজ গালিচা পেতে আছে সজীব প্রকৃতি। বাংলাদেশের মোট ১৬৩টি চা বাগানের মধ্যে ১৩৫টি রয়েছে বৃহত্তর সিলেটে।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চা বাগান হলো- মালনীছড়া চা বাগান যা বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের বৃহত্তম এবং সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান।ইংরেজ সাহেব হার্ডসনের হাত ধরে ১৮৪৯ সালে ১৫০০ একর জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয় উপমহাদেশের প্রথম চা বাগান মালনীছড়া। বাগানটি বর্তমানে পরিচলিত হচ্ছে বেসরকারি তত্ত্বাবধানে। ভ্রমনবিলাসী মানুষের কাছে আনন্দ ভ্রমন কিংবা উচ্ছ্বল সময় কাটানোর প্রথম পছন্দের স্থান হলো মালনীছড়া চা বাগান।

 

জাফলং যাওয়ার উপায়

জাফলং ভ্রমণের জন্য প্রথমে আসতে হবে সিলেটে।দেশের যেকোনো জায়গা থেকে বাস,ট্রেন এবং বিমান যেকোনো মাধ্যমেই আসা যায়।
ঢাকার ফকিরাপুল,গাবতলী,সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে সিলেটগামী অনেক বাস ছেড়ে যায়। সময় লাগে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা।
ঢাকা থেকে ট্রেনে সিলেট যেতে কমলাপুর বা বিমানবন্দর স্টেশন থেকে জয়ন্তিকা,পারাবত,কালনী ও উপবনে যাওয়া যাবে। সময় লাগবে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা।
আবার বিমানে করেও ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়া যায়।

থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা

সাধারণত জাফলং এ ভ্রমণকারী পর্যটক রা সিলেট শহরেই রাত্রি যাপন করে। কারণ এখন থেকে সিলেট এর অনন্যা ভ্রমণ কেন্দ্রে যাওয়া সহজ আর সিলেট এর বেশির ভাগ হোটেল গুলো সাধারণত শাহজালাল মাজারের আশে পাশেই অবস্থিত। ভালো মানের আবাসিক হোটেল ও রয়েছে অনেক। তাছাড়া জাফলং থাকতে চাইলেও সেখানে কিছু হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে যেখানে রাত্রি যাপনের সুব্যবস্থা আছে।
জাফলং এ খাওয়াদাওয়া করার জন্য অনেক ভালো মানের খাবার হোটেল রয়েছে। তবে সেগুলোতে আগে থেকে খাবার অর্ডার দিয়ে রাখতে হয়। তাছাড়া সিলেট শহরেও অনেক ভালো ভালো রেস্টুরেন্ট ও খাবার হোটেল আছে।

💠 ভ্রমণের সম্ভাব্য বর্ণনা :

প্রথম দিনঃ রাত ১০ টায় ঢাকা সায়েদাবাদ থেকে সিলেটের এর উদ্দেশ্যে রওনা দিবো।

🌄দ্বিতীয় দিনঃ সকালে বাস থেকে নেমে আমরা হোটেলে চেক ইন করে ফ্রেশ হয়ে সিলেটের বিখ্যাত পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টে নাস্তা করতে যাবো। সকাল ০৭ টা বাজে রিজার্ভ লেগুনা দিয়ে রাতারগুলের উদ্দেশ্যে রওনা হবো। রাতারগুল যাওয়ার সময় মাঝ পথে আমরা মালিনীছড়া চা বাগানে একটুভোলা গঞ্জে পৌঁছে আমরা রিজার্ভ বোটে ঘুরাঘুরি করব এবং ছবি তুলব। তারপর রাতারগুল পৌছে আমরা নৌকাতে উঠে সোয়াম্প ফরেস্ট ঘুরবো । রাতারগুল থেকে রিজার্ভ লেগুনাতে আমরা চলে যাব ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের উদ্দেশ্যে। দুপুরের সময় আমরা ভোলাগঞ্জ হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে নেব। । এরপর বোটে করে সাদা পাথর যাব। সেখানে সবাই গোসল করে এবং খেলাধুলা শেষ করে ভোলাগঞ্জ থেকে আমরা বিকাল বেলায় আবার আমরা হোটেলের উদ্দেশ্যে রিজাভ লেগুনাতে করে রওনা দিব। হোটেলে এসে যে যার রুমে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নিয়ে সবাই মিলে সিলেট শহরে ঘুরবো। তারপর রাতে সিলেটের বিখ্যাত পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খাবো ও হযরত শাহজালাল ( রঃ) মাজার জিয়ারত করবো।
🧆খাবারঃ সকাল, দুপুর, রাত।

🌄তৃতীয় দিনঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে সবাই নাস্তা করে ব্যাগ গুছিয়ে সেগুলো একটি রুমে রেখে আমরা দশটা বাজে রিজার্ভ লেগুনাতে করে চলে যাব জাফলং এর উদ্দেশ্যে। জাফলং যাওয়ার পথে আমরা রাংপানি পর্যটন স্পটে যাব। তারপর সেখান থেকে জাফলং পৌঁছে দুপুরের খাবার খাব। এরপর জাফলং এর জিরো পয়েন্ট ও মায়াবী ঝর্ণা যাব। তারপর জাফলং থেকে হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিব। যাওয়ার পথে আগুন পাহাড় ও হযরত শাহপরান মাজার ঘুরে যাব। হোটেলে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিব।
🧆খাবারঃ সকাল, দুপুর

🌄চতুর্থ দিনঃ সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছাব।

বুকিং পদ্ধতি ও বিস্তারিত জানতে

ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109

ইনটারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক যেকোনো ধরণের ভ্রমণ প্যাকেজ পেয়ে যাবেন আমাদের কাছে।

**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৫)

**** ট্রিপের ৭ দিন আগে ক্যান্সেল করলে টাকা অফেরতযোগ্য

এছাড়া অন্য যেকোনো প্রশ্ন বা যোগাযোগের জন্য নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।

যোগাযোগ:01820-109 109

ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে ভ্রমন

চাঁদপুরে এই সুন্দর ছবিটি সংগ্রহীত

ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে ভ্রমন

চাঁদপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে চাঁদপুর বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণিভুক্ত জেলা। ইলিশ উদ্পাদনে ব্যাপকভাবে সমাদৃত চাঁদপুর জেলা। এজন্য এই জেলাকে “ইলিশের বাড়ি” বলা হয়ে থাকে। ইলিশ ছাড়াও চাঁদপুরে আছে পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া এই তিন নদীর মোহনা। চাঁদপুরে অনেক মানুষ ভ্রমণে যায় যারা এই মোহনা থেকে নৌকা নিয়ে পারি দেয় মেঘনা ও পদ্মার চর।তবে ইলিশের জন্য ই এখনো চাঁদপুর তার সুদীর্ঘ ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। এই ইলিশের জন্যই চাঁদপুরে গড়ে উঠেছে তিন ধরনের যোগাযোগব্যবস্থা।

💠চাঁদপুরে ভ্রমনের স্থান সমূহ

🔸 তিন নদীর মোহনা 🔸ইলিশ চত্বর  🔸রক্তধারা 🔸কালীবাড়ির “ওয়ান মিনিট আইসক্রিম ” 🔸বড় স্টেশন (মাছের আড়ত) 🔸মিনি কক্সবাজার বা মেঘনা পদ্মার চড়

🔸 তিন নদীর মোহনা ও মোলহেড:দৃষ্টিনন্দন এবং ঘুরে বেড়ানোর মতো আকর্ষণীয় একটি জায়গা হলো চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনা। এই জায়গাটি খুবই সুন্দর ও মনোরম। এখানে পদ্মা,মেঘনা ও ডাকাতিয়া এই তিনটি নদী একসাথে মিলিত হয়।

🔸ইলিশ চত্বর :ইলিশ চত্বর হল চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর শহরে সড়কের মাঝখানে ইলিশ আকৃতির তৈরিকৃত একটি চত্বর।সুস্বাদু ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত চাঁদপুর জেলা। যার কারণেই ইলিশের বাড়ি বলা হয় চাঁদপুর জেলাকে।আর এই খ্যাতি ধরে রাখতে চাঁদপুর জেলার বাস স্ট্যান্ড এবং স্টেডিয়ামের সামনে সড়কের মাঝখানে তৈরি করা হয়েছে ইলিশ চত্বর নামের এই ভাস্কর্য। বর্ষা মৌসুমে চাঁদপুরের ইলিশ খাওয়ার জন্য এবং তাজা রূপালী ইলিশ একনজর দেখার জন্য দেশি বিদেশী পর্যটকদের ভিড় জমে চাঁদপুরে।

🔸রক্তধারা:রক্তধারা স্মৃতিসৌধ হলো বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে তৈরি করা একটি স্থাপনা বা স্মৃতিসৌধ। মুক্তিযুদ্ধে চাঁদপুরে অনেক স্বাধীনতাকামী গণহত্যার শিকার হন। তাদের স্মরণে ২০১১ সালে নির্মিত হয় এ স্মৃতিসৌধ।পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়ার মিলনস্থল চাঁদপুর বড় স্টেশনের মোলহেডে বধ্যভূমিতে অবস্থান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ’রক্তধারা’।রক্তধারা এক স্তম্ভ বিশিষ্ট এতে ৩টি রক্তের ফোঁটার প্রতিকৃতি দিয়ে বোঝানো হয়েছে রক্তের ধারা। টেরাকোটার মুর‍্যালে আঁকা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণসহ মুক্তিযুদ্ধের কয়েকটি ঘটনাবলীর চিত্র।

🔸কালীবাড়ির “ওয়ান মিনিট আইসক্রিম ” :কালীবাড়ির “ওয়ান মিনিট আইসক্রিম ” একটি ঐতিহ্যবাহী আইসক্রিম। এখানে ১মিনিটে আইসক্রিম তৈরি দেয় বলে এর নাম এ হয়ে যায় ওয়ান মিনিট আইসক্রিম। চাঁদপুরের কালীবাড়ির এই মিষ্টির দুকান টি অনেক পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী। চাঁদপুরে ভ্রমণকারী পর্যটকটরা এর আইসক্রিম এবং মিস্টি খেতে সেখানে যায়।

🔸বড় স্টেশন (মাছের আড়ত):চাঁদপুরে ইলিশ মাছের সবচেয়ে বড় আড়ত হলো বড় স্টেশন ইলিশঘাট। চাঁদপুরের মিঠাপানির রুপালি ইলিশ স্বাদ আর সুঘ্রানের জন্য সারাদেশ জুড়ে বিখ্যাত। এখানে বড় বড় ট্রলার নৌকা করে এখানে প্রতিদিন অনেক অনেক মাছ আসে। বর্ষার শুরুতে ইলিশের চাহিদায় অনেক মানুষ চাঁদপুরে ভ্রমণ আসে। আর এখন থেকে মাছ কিনে নিয়ে যায়।

🔸মিনি কক্সবাজার বা মেঘনা পদ্মার চড় :মিনি কক্সবাজার বা মেঘনা পদ্মার চড়ে যেতে হলে মোলহেড বা বড় স্টেশন থেকে নৌকা নিয়ে নদীতে নৌভ্রমণ করতে হবে। পদ্মা,মেঘনা ও ডাকাতিয়া এই তিন নদীর মোহনা পার করে চড়ে যেতে হয়। চড়ের পুরোটা জায়গা বালি ও অনেক ধরনের উদ্ভিদ থাকে। ভ্রমণ পিপাসুরা এখানে গিয়ে নদীতে নেমে গোসল ও খেলা ধুলা করে। এই চর দেখতে অনেকটা কক্সবাজারের বিচ এর মতো মনে হওয়ায় অনেকে এটিকে মিনি কক্সবাজার ও বলে।

💠 চাঁদপুরে যাওয়ার উপায়

ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন সকাল ৭ তা থেকে ১ ঘন্টা পর পর চাঁদপুরের উদ্দেশে লঞ্চ ছেড়ে যায়। ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী লঞ্চের মধ্যে এম ভি সোনারতরী ,এম ভি বোগদাদিয়া ,এম ভি আল বোরাক ,এম ভি ঈগল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে ও চাঁদপুরের উদ্দেশে সকাল থেকে ই বাস ছেড়ে যাই। এছাড়াও ঢাকার কমলাপুর থেকে ট্রেনে করেও চাঁদপুরে যাওয়া যাই। এক্ষেত্রে ঢাকা থেকে লাকসাম ট্রেনে করে এবং সেখান থেকে সিএনজি বা অটো করে চাঁদপুর।

চাঁদপুরে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা

চাঁদপুরে থাকার জন্য মোটামোটি ধরণের কিছু হোটেল পাওযা যায়।
খাবারের জন্য চাঁদপুরে বেশ কিছু খাবার হোটেল পাওয়া যাই ,সেখানে ইলিশ কিনে এনে দিলে তাদের কাছ থেকে বাকি খাবার নিলে তারা ইলিশ ভেজে রানা করে খাওয়াই। বা তাদের কাছেও ইলিশ সহ বিভিন্ন ধরণের খাবার মেন্যু পাওয়া যায় সুলভ মূল্যে।

চাঁদপুরে ভ্রমণের সম্ভাব্য বর্ণনা 

সকাল ৭ টায় ঢাকা থেকে লঞ্চে রওনা চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে। সকাল ১০:২০ এর মধ্যে চাঁদপুর নেমে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করেনা নিতে পারবেন
এরপর চলে যাবেন ইলিশ চত্বরে, ইলিশ চত্বর ঘুরে ওখান থেকে চলে যাবেন রক্তধারা, রক্তধারা ঘুরে রিজার্ভ বোটে করে চলে যাবেন মিনি কক্সবাজার। ওখান থেকে দুপুরে ব্যাক করে মিয়াজি বাড়ি মসজিদে নামাজ পরে গরম গরম ভাত, ইলিশ ভাজা, লেজ ভর্তা, মরিচ ভর্তা😋 দিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে তিন নদীর মোহনায় বসতে পারেন সূর্যাস্তের সৌন্দর্য উপভোগ করতে । চাইলে বিকালে ওয়ান মিনিট আইসক্রিম খেয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারেন ।আবার ও লঞ্চে করে রওনা দিয়ে রাত ৮ টার মধ্যে ঢাকাই থাকতে পারবেন।

💠চাঁদপুরে ভ্রমন খরচ ও ট্যুর প্যাকেজে যা যা থাকছে :

 

 ৭৯৯ টাকা (প্রতি জন) ,{চেয়ার কোচ নিলে আসা যাওয়া আরো ৩০০ টাকা যোগ করতে হবে}

🍁ঢাকা-চাঁদপুর -ঢাকা লঞ্চ এর ডেক ভাড়া

🍁ট্রলারের যাবতীয় খরচ (মিনি কক্সবাজার)

🍁সকালের নাস্তা

🍁দুপুরের খাবার (ইলিশের ভুরিভোজ)

🍁সকল ধরনের লোকাল ট্রান্সপোর্ট।

 

কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে-

১. ভ্রমণের সময় যদি কোনো সমস্যার মুখোমুখি হই নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করব।

২. অবস্থা পরিপেক্ষিতে যে কোনো সময়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে যেটা আমরা সকলে মিলে ঠিক করব।

৩. সবাইকে একটি বিষয় খুব ভাল ভাবে মনে রাখতে হবে যে, স্পট গুলোতে কোনো রকম ময়লা ফেলা যাবে না। সাথে পলিথিন থাকবে, সেখানে ফেলতে হবে। পরে ডাস্টবিনে ফেলা হবে।

৪.স্থানীয় দের সাথে কোনো রকম বিরূপ আচরন করা যাবে না।

বুকিং মানি জমা দেয়ার পদ্ধতি

ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109

ইনটারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক যেকোনো ধরণের ভ্রমণ প্যাকেজ পেয়ে যাবেন আমাদের কাছে।

**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৫)

**** ট্রিপের ৭ দিন আগে ক্যান্সেল করলে টাকা অফেরতযোগ্য

এছাড়া অন্য যেকোনো প্রশ্ন বা যোগাযোগের জন্য নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।

যোগাযোগ:01820-109 109

বান্দরবান ভ্রমণ বিস্তারিত

বান্দরবান এর এই  সুন্দর ছবিটি  সংগ্রহকৃত

বান্দরবান ভ্রমণ বিস্তারিত

বান্দরবান জেলার নামকরণ নিয়ে একটি কিংবদন্তি রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের প্রচলিত রূপকথায় আছে, এ এলাকায় একসময় অসংখ্য বানর বাস করত। আর এই বানরগুলো শহরের প্রবেশমুখে ছড়ার পাড়ে পাহাড়ে প্রতিনিয়ত লবণ খেতে আসত। এক সময় অনবরত বৃষ্টির কারণে ছড়ার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বানরের দল ছড়া পাড় হয়ে পাহাড়ে যেতে না পারায় একে অপরকে ধরে ধরে সারিবদ্ধভাবে ছড়া পার হয়। বানরের ছড়া পারাপারের এই দৃশ্য দেখতে পায় এই জনপদের মানুষ। এই সময় থেকে এই জায়গাটির পরিচিতি লাভ করে ম্যাঅকছি ছড়া নামে। অর্থাৎ মারমা ভাষায় ম্যাঅক অর্থ বানর আর ছি অর্থ বাঁধ। কালের প্রবাহে বাংলা ভাষাভাষির সাধারণ উচ্চারণে এই এলাকার নাম রুপ লাভ করে বান্দরবান হিসাবে। বর্তমানে সরকারি দলিল পত্রে বান্দরবান হিসাবে এই জেলার নাম স্থায়ী রূপ লাভ করেছে। তবে মারমা ভাষায় বান্দরবানের নাম রদ ক্যওচি ম্রো।

বান্দরবান কে বলা হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রাজধানী।অপার প্রাকতিক পাহাড়ি  সৌন্দর্যের লীলাভূমি হলো বান্দরবান। অসংখ্য পাহাড়,ঝিরি, পাহাড়ি নদী,মেঘের জীবন্ত ক্যানভাস যেন এই বান্দরবান।দেশের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান বান্দরবান ভ্রমণ প্যাকেজ অফার করছে।

কিন্ত স্পোর্টস ট্যুরিজম বাংলাদেশ চেষ্টা করে শ্রেষ্ঠ ট্যুর প্লান নিয়ে ভ্রমণ করতে। আমরা চেষ্টা করি প্রতিটা ট্যুরিস্টের বিশ্বাসের জায়গাটি পাকাপোক্ত ভাবে ধরে রাখতে।

গন্তব্য : বান্দরবান  ভ্রমণ 

 

💠বান্দরবান ভ্রমনের স্থান সমূহ :

বান্দরবান জেলার অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে ,এগুলোর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য রয়েছে:

🍁নীলগিরি 🍁নীলাচল 🍁 চিম্বুক পাহাড়🍁 শৈল প্রপাত 🍁 মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র🍁 স্বর্ণ মন্দির(অনুমতি সাপেক্ষে ) 🍁সাঙ্গু নদী ভ্রমন 🍁

🍁নীলগিরি:বাংলাদেশের দার্জিলিং খ্যাত নীলগিরি বান্দরবান জেলায় অবস্থিত একটি পাহাড় এবং পর্যটন কেন্দ্র।এটি বাংলাদেশের সর্ব উঁচুতে অবস্থিত পর্যটন কেন্দ্র।নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রের বিশেষ আকর্ষণ হলো এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২০০ ফুট উচ্চে অবস্থানের কারণে নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র সর্বদা মেঘমণ্ডিত থাকে। এই পুরো পর্যটন কেন্দ্রটিই প্রতিষ্ঠা করেছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং তারাই এর পরিচালনা করে থাকেন। নীলগিরি থেকে হাত দিয়ে মেঘ ছুঁতে পারার অনুভূতি অন্যরকম সুন্দর।

🍁নীলাচল:নীলাচল বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এখানে নীলাচল পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবান জেলা প্রশাসনের তত্তাবধানে বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে টাইগারপাড়ার পাহাড়চূড়ায় গড়ে তোলা হয়েছে আকর্ষণীয় এই পর্যটন কেন্দ্র। নীলাচল থেকে পুরো বান্দরবান জেলা কে দেখা যায়। আকাশ,পাহাড়,আর মেঘের অভূতপূর্ব মিলনে ভরপুর এই নীলাচল। সকালে ও বিকালে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মেঘের সাথে অপূর্ব কিছু ল্যান্ডস্কেপ তৈরী করে। এ প্রকল্পে রয়েছে শুভ্রনীলা,‘ঝুলন্ত নীলা’, ‘নীহারিকা’ এবং ‘ভ্যালেন্টাইন পয়েন্ট’ নামে পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় বিশ্রামাগার।মেঘমুক্ত আকাশে কক্সবাজারর সমুদ্রসৈকতের অপুর্ব দৃশ্য নীলাচল থেকে উপভোগ করা যায় ।

🍁 চিম্বুক পাহাড়:দেশের তৃতীয় বৃহত্তম পাহাড় এবং ঐতিহাসিক স্থান হলো চিম্বুক পাহাড়।এই পাহাড়কে চিম্বুক পাহাড় বা চিম্বুক হিল বা কালা পাহাড় ও বলা হয়। এটি গড় সমুদ্র পৃষ্ট হতে প্রায় ২৫০০ ফুট উঁচু। এই পাহাড়কে বাংলাদেশের পাহাড়ী সৌন্দর্যের রানী বলা হয়। চিম্বুক পাহাড় এর চূড়া থেকে বর্ষাকালে মেঘের উড়াউড়ি দেখা যায়। এখানকার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত যেকোনো পর্যটককে আকর্ষিত করে খুব সহজেই।

🍁 শৈল প্রপাত:শৈলপ্রপাত ঝর্ণা বান্দরবান জেলা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে বান্দরবান-থানচি রোডের পাশে অবস্থিত। পর্যটন নগরী বান্দরবানের কাছে হওয়ায় সারা বছরই পর্যটক সমাগমে মুখরিত থাকে স্বচ্ছ ও ঠান্ডা পানির এই ঝর্ণাটি। শৈল প্রপাত ঝর্ণাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব এক সৃস্টি। এখানে বম উপজাতিদের কঠিনতম জীবন পরিচালনা লক্ষ্য করা যায়। রাস্তার পাশ ঘেঁষে ঝর্ণাটির অবস্থান হওয়ায় এখানে প্রচুর পর্যটকের আনাগুনা থাকে।

🍁 মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র: বান্দরবান শহর থেকে মেঘলার দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। বান্দরবান জেলার প্রবেশ পথে পার্বত্য জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স। চিত্ত বিনোদনের জন্য বান্দরবানের অন্যতম একটি জায়গা হলো মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স।এখানে রয়েছে রয়েছে সাফারি পার্ক, শিশুপার্ক, চিড়িয়াখানা, উন্মুক্ত মঞ্চ, চা বাগান, কেবল কার ও প্যাডেল বোট। লেকের উপর আছে ২ টি ঝুলন্ত সেতু।

🍁 স্বর্ণ মন্দির:পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত সুদৃশ্য প্যাগোডা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থ স্থান হলো স্বর্ণ মন্দির। যদি ও এখানে কোনো স্থাপনায় স্বর্ণের তৈরী নয় তবে এই মন্দিরে সোনালী রঙের আধিক্যের কারণে এটিকে স্বর্ণ মন্দির নাম দেয়া হয়। এই মন্দিরটি মহাসুখ মন্দির বা বুদ্ধ ধাতু জাদি মন্দির নামেও পরিচিত। বান্দরবানে বসবাসরত মারমা জাতিগোষ্ঠী হীনযান তথা থেরবাদ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। ২০০০ সালে দক্ষিণ পূর্ব এশীয় ধাঁচে বার্মার স্থাপত্যবিদের তত্ত্বাবধানে জাদিটি নির্মিত হয়।

🍁সাঙ্গু নদী ভ্রমন:সাঙ্গু নদী বা শঙ্খ নদী, বাংলাদেশের পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২৯৪ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১১৯ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। এই নদীটি সাপের মতো আঁকাবাঁকা ভাবে বান্দরবানের গহীনে বয়ে চলছে। বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি পাহাড়ি নদীর মধ্যে সাঙ্গু নদী অন্যতম। থানচি থেকে দক্ষিণের এলাকাগুলোতে যেতে হলে সাংগু নদীই একমাত্র ভরসা। পাহাড়ি উপজাতিদের কাছে এই সাঙ্গু নদী ঈশ্বর প্রদত্ত্ব আশীর্বাদ স্বরূপ।মারমা সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ এই নদীর উপর ই নির্ভরশীল। বান্দরবানের শঙ্খ-তীরবর্তী লোকজনের ৯০ শতাংশই মারমা। জীবন-জীবিকাসহ দৈনন্দিন কাজে এরা নদীটির ওপর নির্ভরশীল।

ঢাকা থেকে বান্দরবান যাওয়ার উপায়

ঢাকা থেকে বান্দরবান যাওয়ার জন্য সায়েদাবাদ,আরামবাগ,আব্দুল্লাহপুর ,কলাবাগান,কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে অনেক বাস সরাসরি বান্দরবান এর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।ঢাকা থেকে বান্দরবান যেতে সময় লাগে ৮-১০ ঘন্টা।
ট্রেনে করেও বান্দরবান যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ঢাকা কমলাপুর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন এ উঠে সকালে চট্টগ্রাম নেমে ,সেখান থেকে বান্দরবানের জন্য বেশ কিছু বাস ছেড়ে যায়।

বান্দরবান এ থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা

বান্দরবানে অনেকগুলো রিসোর্ট,হোটেল,মোটেল ও রেস্ট হাউস রয়েছে। বিভিন্ন ম্যান ও দামের হয়ে থাকে সেগুলো। আপনার বাজেট মতো ও পছন্দ মতো যেকোনো টাতেই থাকতে পারেন। বান্দরবান শহরে খাবারের জন্য বেশ কিছু মাঝারি মানের খাবার হোটেল রয়েছে। সেখান থেকে নিজের পছন্দ মতো ৩ বেলায় খাবার খেতে পারেন। বাংলা খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন পাহাড়ি খাবারের ও অপসন থাকে। আবার চাইলে হোটেলে ও খাবারের ব্যবস্থা থাকে,তবে আগে থেকে জানিয়ে রাখতে হয়।

💠বান্দরবান ভ্রমণের পরিকল্পনা  :

০দিনে রাতে কলাবাগান থেকে বাসে উঠে রওনা হবো বান্দরবানের উদ্দেশ্যে।

প্রথম দিন সকালে বান্দরবানে বাস থেকে নেমে হোটেলে চেক ইন।ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম নিয়ে সকালের নাস্তা করে নিবো।এরপর রিজার্ভ জীপে করে মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সে চলে যাবো।কমপ্লেক্স পুরোটা ঘুরে দেখবো।দুপুরের খাবারের পর স্বর্ণ মন্দির পরিদর্শন শেষে বিকেলে মেঘ দেখতে আর বার্ডস আই ভিউতে বান্দরবান দেখতে   রওনা দিবো নীলাচলে। সন্ধ্যায় ফিরে আসবো হোটেলে।  সন্ধ্যার পর ব্যক্তিগত শপিং টাইম।

দ্বিতীয় দিন সকালে মেঘের রাজ্যে হারিয়ে যেতে আমরা চলে যাবো নীলগিরি। সেখান থেকে চলে যাবো চিম্বুক পাহাড়। দুপুরের খাবার শেষে বিকেলটা কাটিয়ে দেবো সাঙ্গু নদীতে নৌকা ভ্রমন করে। 

সন্ধায় গ্রুপ ভিত্তিক রুমে ফ্রেশ হয়ে আমরা রাতের খাবার খাবো রাত ৮টায়। রাতের খাবার খেয়ে বাস স্ট্যান্ডে এসে বাসে করে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দিবো ।

তৃতীয় দিন খুব সকালে আমরা ঢাকা থাকবো

 

বান্দরবান ভ্রমনের তারিখ 😕

**নূন্যতম ৪জন হলে যেকোনো দিন প্রাইভেট ট্যুর এ্যারেঞ্জ করা যাবে।

💠বান্দরবান ভ্রমন খরচ:

জনপ্রতি ৬৮০০টাকা(নন এসি বাস, রুম)

 জনপ্রতি ৯১০০টাকা (এসি রুম,বাস)

💠কাপল প্যাকেজ

প্রতি কাপল: ১২,৬০০টাকা

(নন এসিবাস,রুম)

প্রতি কাপল: ১৫৬০০ টাকা (এসি বাস,রুম)

কনফার্ম করার শেষ তারিখ : সিট খালি থাকা সাপেক্ষে।

🍂কনফার্ম করার জন্য প্রতিজন ৫,০০০ টাকা করে কনফার্মেশন মানি জমা দিতে হবে। 

🍂চাইল্ড পলিসি : ০থেকে ৩ বছরের শিশুদের জন্য ফ্রি এবং ৩+ থেকে ৮বছরের শিশুদের জন্য আলোচনা সাপেক্ষে চার্জ প্রযোজ্য হবে।

 

খাবার:

১ম দিন 

সকালের নাস্তা: খিচুরি/পরোটা, ডাল/ভাজি,ডিম,চা 

দুপুরের খাবার : চিকেন, ডাল,সালাদ, ভাত

রাতের খাবার :বারবিকিউ /গ্রিলড চিকেন,পরোটা,সফট ড্রিংকস।

দ্বিতীয় দিন 

সকালের নাস্তা :খিচুড়ি/পরোটা, ডাল/ভাজি,ডিম, চা

দুপুরের খাবার : চিকেন বিরিয়ানি 

রাতের খাবার : চিকেন ঝাল ফ্রাই, ডাল, সালাদ,ভাত

বিঃদ্রঃ অবশ্যই খাবারের মান মেইনটেইন করা হবে।

বান্দরবান  ট্যুর প্যাকেজে যা যা থাকছে 

💠ঢাকা -বান্দরবান  -ঢাকা বাস।

💠দুই দিনের রিজার্ভ জীপ

💠 হোটেল 

💠বান্দরবান পৌছানোর পর থেকে প্রতিদিন ৩ বেলা খাবার। 

⛔বান্দরবান  ট্যুর প্যাকেজে বান্দরবান যা থাকছে না

💠ঢাকা থেকে বান্দরবান যাওয়া আসার পথে যাত্রা বিরতি তে খাবার

💠এই প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত না এমন কোন খরচ।

 

কনফার্ম করার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে –

 

💠হোটেলে এক রুমে চারজন করে থাকা। রুমে দুইটা করে বড় বেড থাকবে।  ফ্যামিলি না হলে অবশ্যই মেয়েদের থাকার রুম আলাদা থাকবে।কাপলদের জন্য কাপল রুম থাকবে।

💠সব রুমে এটাচ বাথ  থাকবে। 

💠কোন হিডেন চার্জ নেই। 

 

১. ভ্রমণের সময় যদি কোনো সমস্যার মুখোমুখি হই নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করব।

২. অবস্থা পরিপেক্ষিতে যে কোনো সময়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে যেটা আমরা সকলে মিলে ঠিক করব।

৩. সবাইকে একটি বিষয় খুব ভাল ভাবে মনে রাখতে হবে যে স্পট গুলোতে কোনো রকম ময়লা ফেলা যাবে না। সাথে পলিথিন থাকবে, সেখানে ফেলতে হবে। পরে ডাস্টবিনে ফেলা হবে।

৪.স্থানীয় দের সাথে কোনো রকম বিরূপ আচরন করা যাবে না।

৫.নিজের ব্যাগ নিজের বয়ে নিতে হবে। কেউ ব্যাগ টেনে নিবে এরকম মন মানসিকতা রাখা যাবেনা৷

 

বুকিং মানি জমা দেয়ার পদ্ধতি

ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109

**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৫)

**** ট্রিপের ৭ দিন আগে ক্যান্সেল করলে টাকা অফেরতযোগ্য

এছাড়া অন্য যেকোনো প্রশ্ন বা যোগাযোগের জন্য নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।

যোগাযোগ:01820-109 109

 

সিকিম ভ্রমণ বিস্তারিত

সিকিম এর  সুন্দর ছবিটি কালেক্ট করা

সিকিম ভ্রমণ বিস্তারিত

বাংলাদেশে যখন উত্তপ্ত গরমে টেকা দায় ,তখন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি রাজ্য সিকিম সাদা তুলোর মতো বরফে ঢাকা। সাথে স্নোফল তো আছেই। সিকিম এর রাজধানী শহর গ্যাংটক ,সিকিম আয়তনে ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম প্রদেশ। পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের একটি অংশ সিকিম, আল্পাইন ও উপক্রান্তীয় জলবায়ুসহ সেখানকার জীব বৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত সিকিম।এখানেই অবস্থিত কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত। ভারতের সর্বোচ্চ ও পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শিখর এটি। সিকিম রাজ্যের প্রায় ৩৫% এলাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যান দ্বারা আচ্ছাদিত।প্রতি বছর সিক্কিমে প্রচুর মানুষ ভ্রমণে আসে।

কে না চায় বিদেশ ভ্রমন করতে! ভ্রমণ প্রেমিদের একটাই লক্ষ পুরো পৃথিবী কে হাতের মুঠোয় দেখতে। আর বিদেশে ভ্রমণ করতে সবচেয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে সঠিক ট্যুর প্লান ও ট্যুর গাইড। আর Sports Tourism Bangadesh চেষ্টা করে শ্রেষ্ঠ ট্যুর প্লান নিয়ে ভ্রমণ করতে। আমরা চেষ্টা করি প্রতিটা ট্যুরিস্টের বিশ্বাসের জায়গাটি পাকাপোক্ত ভাবে ধরে রাখতে।

গন্তব্য : সিকিম ভ্রমণ 

সিকিম প্রতিটি ভ্রমণ স্থান ই খুবই সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর। বাংলাদেশ থেকে সহজে ও কম খরচে ভ্রমণ করা যায় বলে সিকিম পর্যটকদের ভ্রমণের শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করে।

💠সিকিম ভ্রমনের স্থান সমূহ :

🍁সিকিম 🍁গ্যাংটক 🍁ইয়ামথাং ভ্যালি 🍁নামনাং ভিউ পয়েন্ট  🍁তাশি ভিউ পয়েন্ট 🍁ইঞ্চে মনেস্ট্রি  🍁টিবেটলজি 🍁বানজাগ্রি ওয়াটারফল 🍁সেভেন সিস্টার ওয়াটারফল 🍁নাগা ওয়াটারফল

 

🍁সিকিম:সিকিম আয়তনের দিক থেকে ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য হলেও ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি জায়গা। ভারতের পূর্বে অবস্থিত সিকিমকে ঘিরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ,নেপাল,ভুটান,তিব্বত।সিকিমের সৌন্দর্যকে বলা যায় স্বর্গীয় সৌন্দর্য্য।

🍁গ্যাংটক:গ্যাংটক সিকিম রাজ্যের রাজধানী এবং সব থেকে বড় শহর। গ্যাংটক এর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তাশি ভিউ পয়েন্ট থেকে কাঞ্চনঝঙ্গা ও আশেপাশের পাহাড় দেখা যায়। গ্যাংটক শহরটি পূর্ব হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত।হিমালয়ের উচ্চ শিখরের মধ্যে অবস্থিত হওয়ার পাশাপাশি সারা বছর ধরে মৃদু নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু থাকায় গ্যাংটক সিকিমের পর্যটন শিল্পের কেন্দ্রে রয়েছে।সিকিমে ঘুরার সব থেকে সহজ উপায় হলো গ্যাংটক কে কেন্দ্র করে ঘুরা।গ্যাংটক ও এর আশেপাশের পুরোটাই সুবিশাল ও দৃস্টিনন্দন পাহাড়ে ঘেরা। সহজভাবেই একজন প্রকৃতি প্রেমীর কাছে এটি স্বর্গরাজ্য।

🍁ইয়ামথাং ভ্যালি: ইয়ামথাং ভ্যালি সাধারণত ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ারস নামেও পরিচিত। ইয়ুমথাং উপত্যকা বা সিকিম ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ারস অভয়ারণ্য হল একটি প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য যেখানে নদী, উষ্ণ প্রস্রবণ, ইয়াক এবং ভারতের সিকিম রাজ্যের মাঙ্গান জেলার ইউমথাং – এর হিমালয় পর্বত দ্বারা বেষ্টিত ঘূর্ণায়মান তৃণভূমিতে চারণভূমি রয়েছে ।ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ থেকে জুনের মধ্যে পর্যন্ত বিভিন্ন রঙের ফুলে পুরো ভ্যালি ঢেকে থাকে। এটি শিংবা রডোডেনড্রন অভয়ারণ্যের আবাসস্থল , যেখানে রাজ্যের ফুল রডোডেনড্রনের চব্বিশ প্রজাতি রয়েছে ।

🍁তাশি ভিউ পয়েন্ট:বিখ্যাত পর্যটক ভ্রমণ স্থান তাশি ভিউ পয়েন্ট গ্যাংটকের প্রধান শহর থেকে 10 কিমি দূরে অবস্থিত। এটি বেশিরভাগ সেরা সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্যের পাশাপাশি প্যানোরামিক মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং অন্যান্য তুষার আচ্ছাদিত চূড়াগুলির জন্য পরিচিত।এখান থেকে সূর্যোদয়ের রং বেরঙের দৃশ্য অবলোকন করা যায়।

🍁ইঞ্চে মনেস্ট্রি: উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের উপরে 1909 সালে এনচে মঠ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । এটি বজ্রযান বৌদ্ধধর্মের নিংমা আদেশের অন্তর্গত ।এখানকার জনগণ মনে করেন দেবতারা সর্বদা এখানে ভক্তদের ইচ্ছা পূরণ করেন।ইঞ্চে মনেস্ট্রি খুবই সুন্দর একটি জায়গা। সিকিম ভ্রমণের পর্যটক গণ এখানে এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন।

🍁সেভেন সিস্টার ওয়াটারফল: সেভেন সিস্টার হল একটি জনপ্রিয় জলপ্রপাত যা গ্যাংটক-লাচুং হাইওয়েতে অবস্থিত, গ্যাংটক থেকে প্রায় 32 কিলোমিটার দূরে। নাম থেকে বোঝা যায়, একটি বিস্তীর্ণ খাড়া পাহাড়ের পাশে সুরেলাভাবে সাজানো সাতটি ভিন্ন জলপ্রপাত দূর থেকে দেখলে স্বতন্ত্র বলে মনে হয়। বৃষ্টির পরে এটি গ্যাংটকের একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে ওঠে, যখন জলপ্রপাতগুলি একটি ভয়ঙ্কর জীবনকে বিস্ময়কর দৃশ্য প্রদান করে। ঝরনার ঝরঝর জল ঝরঝরে সবুজ গাছপালা থেকে ছিটকে পড়ে, এবড়ো-খেবড়ো পাহাড়ের চূড়ার উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়ে বজ্রধ্বনি।

🍁লাচুং:লাচুং হল ভারতের সিকিম প্রদেশে অবস্থিত একটি ছোট শহর এবং পাহাড়ি স্টেশন। লাচুং লাচেন নদী এবং লাচুং নদী থেকে প্রায় ৯,৬০০ ফুট (২,৯০০ মি) উচ্চতায় অবস্থিত। লাচেন ও লাচুং উভয় নদীই তিস্তা নদীতে গিয়ে পড়েছে। প্রকৃতির বুকে ছবির মতো মিশে আছে এই লাচুং গ্রাম। লাচুং থেকে ইয়ামথাং ভ্যালি যাওয়ার পথে পর্বে তিস্তার নীল জল,অপরূপ সব ঝর্ণা। সিক্কিমের সুইজারল্যান্ড খ্যাত কাটাও মিডেল পয়েন্ট থেকে সাদা বরফে ঢাকা পাহাড়ের সুন্দর ভিউ দেখা যায়।

🍁সাঙ্গু লেক:সাঙ্গু লেকটা হলো সিকিমের অন্যতম জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২,৮০০ ফিট উপরে তাপমাত্রা ০৪ থেকে ০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,চায়না বর্ডার ( নাথুলা ) এখান থেকে ১৬ কিঃমিঃ পূর্বে এবং নাথুলা পাশের উচ্চতা ১৭,৬০০। পূর্ব সিকিমে অবস্থিত সাঙ্গু লেক “Tsomgo Lake ” নামেও পরিচিত। সাঙ্গু লেকের প্রকৃত সৌন্দর্য্য কখনোই ভাষায় বা লিখে প্রকাশ করা যায় না। যত উপরে ওঠা হয় আবহাওয়া তত ই ঠান্ডা হতে থাকে। স্নো-ফল ও বরফ দিয়ে খেলার মজাও আলাদা।

সিকিম ভ্রমণের সেরা সময়

ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মে এবং সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সিকিম ভ্রমণের আদর্শ সময়। যেহেতু সিকিম একটি পাহাড়ি এলাকা এবং এখানে প্রায় সারা বছর ই ধস নামে। শীতকালে সিকিমে অনেক সময় রাস্তা বরফে বন্ধ থাকার সম্ভাবনা থাকে।বর্ষায় সিক্কিমের অনেক জায়গায়ই যাওয়া যায় না।

সিকিম যাওয়ার উপায়

সিকিম যাওয়ার জন্য ঢাকা ট্রেন ও বাস দুইভাবেই যাওয়া যায়। তবে সব থেকে সহজ র সময়সাধ্য উপায় হচ্ছে ট্রেন এ করে যাওয়া। ট্রেন এ বর্ডারের ইমিগ্র্যাশন ঝামেলা পোহাতে হয়না। খুব সহজভাবেই ক্যান্টনমেন্ট থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া মিতালী এক্সপ্রেসে করে NJP তে যাওয়া যায়। সেখান থেকে ট্যাক্সি বা বাস এ করে গ্যাংটক।
বাসে করে যেতে ঢাকা থেকে চেংড়াবান্ধা হয়ে শিলিগুড়ি যেতে হবে। চেংড়াবান্ধায় ইমিগ্র্যাশন শেষ করে বর্ডার ক্রস করে শিলিগুড়ি যেতে হবে। শিলিগুড়ি থেকে ট্যাক্সি করে অথবা বাস এ গ্যাংটক যাওয়া যাবে। গ্যাংটক পৌঁছাতে রাত হবে। রাতেই গ্যাংটক থেকে সিকিমের জন্য অনুমতি ,গাইড ও গাড়ি ভাড়া করে নিতে হবে। সেই গাড়িতে করেই সিকিম ভ্রমণ করা যাবে। তবে সাঙ্গু লেক জিরো পয়েন্ট এর জন্য আলাদা গাড়ি ভাড়া করতে হবে। গ্যাংটকের গাড়ি ঐদিকে যাওয়ার অনুমতি নেই বা অনেকে যেতে চাই না।

 

💠সিকিম ভ্রমণের সম্ভাব্য বর্ণনা :

 

প্রথম দিন  রাতে  ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ইমিগ্রেশন ও সব ফর্মালিটি শেষ করে ট্রেনে উঠে রওনা দিবো। 

দ্বিতীয় দিন ভোরে স্টেশন পৌঁছে জীপে সিকিমের  উদ্দেশ্যে রওনা করবো। সন্ধ্যার আগেই গ্যাংটকে হোটেলে চেক ইন।

তৃতীয় দিন সকালে নাস্তা শেষে রিজার্ভ জীপে আমরা সাইট সিন এর উদ্দেশ্যে বের হবো।এদিন আমরা গ্যাংটক ও এর চারপাশের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখবো।

চতুর্থ দিন সকালের নাস্তা করে হোটেল থেকে চেক আউট করে আমরা রওনা করবো সিকিমের মূল আকর্ষণ লাচুং এর উদ্দেশ্যে।পথে গাড়ি থামিয়ে আমরা দেখে নিবো বরফ জমে যাওয়া একাধিক ঝর্ণা। বিকেলের মধ্যে লাচুং এর হোটেলে চেক ইন। দিনের বাকিটা সময় হোটেলের আশেপাশে বরফের রাজ্যে নিজেদের মতো সময় কাটাবো।

পঞ্চম দিন ব্রেকফাস্টের পর চলে যাবো ইয়ামথাং ভ্যালি ও জিরো পয়েন্টের উদ্দেশ্যে।সেখানে বরফের রাজ্যে দুই ঘন্টা কাটিয়ে আমরা আবার লাচুং ফিরে আসবো।এরপর দুপুরের  খাবার শেষে গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে রওনা করবো।  রাতে গ্যাংটকে অবস্থান। 

ষষ্ঠ দিন ব্রেকফাস্টের পর শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করবো। শিলিগুড়ি হয়ে বাংলাদেশ বর্ডারে চলে আসবো। এরপর বর্ডার ক্রস করে বীর সিরাজুল ইসলাম স্টেশন থেকে ঢাকার ট্রেনে করে রওনা দিবো।  ইনশাআল্লাহ পরদিন ঢাকায় থাকবো।

 

ভ্রমনের তারিখ 😕

**নূন্যতম ৪জন হলে যেকোনো দিন প্রাইভেট ট্যুর এ্যারেঞ্জ করা যাবে।

💠ভ্রমন খরচ:

 

জনপ্রতি ১৯,৯৯৯টাকা(ট্রেন +শেয়ারিং /ফ্যামিলি রুম)

 💠কাপল প্যাকেজ

প্রতি কাপল: ৫০,০০০টাকা

 

 

কনফার্ম করার শেষ তারিখ : যেহেতু দেশের বাহিরের ট্যুর,পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে বুকিং কনফার্ম করতে হবে। 

 

বিঃদ্রঃ ভিসা না থাকলে কমপক্ষে ২০থেকে ৩০ দিন সময় হাতে রেখে যোগাযোগ করতে হবে। 

 

🍂কনফার্ম করার জন্য প্রতিজন ১০,০০০ টাকা করে কনফার্মেশন মানি জমা দিতে হবে। 

🍂চাইল্ড পলিসি : ০থেকে ৩ বছরের শিশুদের জন্য ফ্রি এবং ৩+ থেকে ৮বছরের শিশুদের জন্য আলোচনা সাপেক্ষে চার্জ প্রযোজ্য হবে।

 

সিকিম  ট্যুর প্যাকেজে যা যা থাকছে 

💠ঢাকা -সিকিম -ঢাকা ট্রেন টিকিট,জীপ সহ সকল যাতায়াত খরচ

💠৩রাত হোটেল একোমডেশন

💠ভারত পৌছানোর পর প্রথম দিন রাতের খাবার থেকে শুরু করে আসার দিন দুপুর পর্যন্ত প্রতিদিন ৩ বেলা খাবার। 

💠সকল প্রকার হোটেল ট্যাক্স ও পার্কিং চার্জ।

 

⛔সিকিম  ট্যুর প্যাকেজে যা থাকছে না

 

💠ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়া আসার পথে যাত্রা বিরতি তে খাবার 

💠ট্রাভেল ট্যাক্স

💠বর্ডার স্পিড মানি

💠লাচুং থেকে জিরো পয়েন্ট যাওয়ার খরচ, এই প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত না।জিরো পয়েন্ট যাওয়ার পারমিশন আগে থেকে পাওয়া যায় না।লাচুংয়ে উপস্থিত হয়ে পারমিশন নিতে হয়।পারমিশন পাওয়া আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে। পারমিশন পাওয়া গেলে জিরো পয়েন্ট যাওয়ার খরচ জীপের সবাইকে ভাগ করে নিতে হবে। প্রতি জীপ সম্ভাব্য ৩০০০ রুপি।

 

কনফার্ম করার আগে যে ব্যাপারগুলো অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে 

💠ভিসায় পোর্ট চ্যাংড়াবান্দা হলে এই ট্যুরে জয়েন করতে পারবেন। 

💠যদি ভিসায় চ্যাংড়াবান্দা না থাকে তবে খুব সহজেই এটি এড করে নিতে পারবেন।

💠যদি ভিসা না থাকে তবে ভিসা করানো অথবা পোর্ট এডের ক্ষেত্রে স্পোর্টস ট্যুরিজম সব রকম সহযোগিতা করবে।

💠হোটেলে এক রুমে চারজন করে থাকা। রুমে দুইটা করে বড় বেড থাকবে।  ফ্যামিলি না হলে অবশ্যই মেয়েদের থাকার রুম আলাদা থাকবে।কাপলদের জন্য কাপল রুম থাকবে।

💠সব রুমে এটাচ বাথ ও গিজার থাকবে। 

💠কোন হিডেন চার্জ নেই। 

 

সিকিম  ট্যুর প্যাকেজে বুকিং মানি জমা দেয়ার পদ্ধতি 

 

ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109

**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৫)

**** ট্রিপের ৭ দিন আগে ক্যান্সেল করলে টাকা অফেরতযোগ্য

এছাড়া অন্য যেকোনো প্রশ্ন বা যোগাযোগের জন্য নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।

যোগাযোগ:01820-109 109

নিঝুম দ্বীপ ভ্রমন বিস্তারিত

Collected picture

নিঝুম দ্বীপ ভ্রমন বিস্তারিত

নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের দক্ষিণে একটি ছোট্ট দ্বীপ। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত নিঝুম দ্বীপ ক্যাম্পিং এর জন্য সেরা। একপাশে সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে প্যারাবন ভর্তি এই দ্বীপে প্রতিটি কদমেই রোমাঞ্চকর অনুভূতি মেলে।বঙ্গোপসাগরের বুকে মেঘনা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা এই চরটি হাতিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। চর ওসমান, বাউল্লারচর, কামলার চর, ও মৌলভির চর- এই চার চর নিয়ে পুরো নিঝুম দ্বীপ।

জনবসতি গড়ে উঠার একদম শুরুর দিকে এই দ্বীপের নাম ছিল চর ওসমান ও বাউল্লার চর।
লোকমুখে শোনা যায়, ওসমান নাম একজন প্রথম এখানে বসতি গড়ে । তিনি ছিলেন একজন বাথানিয়া; আর তখন তার নামানুসারেই দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছিল। নিঝুম দ্বীপ এর শুধু সৈকতই নয়, দ্বীপের মাটিও বালুতে চিকচিক করতো। দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে দেখা যেতো বালুর ঢিবি বা টিলার মতো জায়গা।
আর এই কারণেই বাইল্যার ডেইল বা বাউল্লার চর নামে ও এই দ্বীপ কে ডাকা হয় । এমনকি এখনও নিঝুম দ্বীপ এর অবস্থান জানার জন্য স্থানীয়দেরকে বাইল্যার ডেইল বা বাউল্লার চরের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে হয়। এখানে প্রচুর পরিমানে ইছা মাছ (আঞ্চলিক ভাষায় )/চিংড়ি মাছ পাওয়া যেত তাই এই দ্বীপ ইছামতির দ্বীপ নামেও পরিচিত। হাতিয়ার সাংসদ আমিরুল ইসলাম কালাম এই নাম বদলে নিঝুম দ্বীপ নামকরণ করেন।

💠ভ্রমনের স্থান সমূহ :

নিঝুম দ্বীপের বিশেষত্ব হচ্ছে চিত্রা হরিণ ও শীতকালের অতিথি পাখি। একসঙ্গে এতো চিত্রা হরিণ দেশের আর কোথাও দেখা যায় না। বাজারে,ক্যাম্প সাইটে চিত্র হরিণ গুলো এমন ভাবে থাকে যেন গৃহপালিত পশু।

🍁 চৌধুরীর খাল 🍁 কমলার দ্বীপ 🍁 কবিরাজের চর 🍁 মনপুরা দ্বীপ 🍁 নিঝুম দ্বীপ 🍁 ছোঁয়াখালী  🍁নামা বাজার সৈকত  🍁ভার্জিন আইল্যান্ড

🍁 চৌধুরীর খাল: চৌধুরীর খাল মূলত বিকেলে সন্ধ্যার আগে যেতে হয়। চৌধুরীর খাল নেমে বনের মধ্যে ১০/১৫ মিনিট হাঁটলেই হরিনের দলের দেখা মিলবে। একটি রিজার্ভ ট্রলার নিলে মাঝিরায় দেখিয়ে আনবে।

🍁 কবিরাজের চর: চৌধুরীর খাল ঘুরে এসে কবিরাজের চর নেমে সেখান থেকে সূর্যাস্ত দেখতে পারেন। নিঝুম দ্বীপ ছাড়া পাখিদের মেলা বসে পাশের দ্বীপ কবিরাজের চর। এই সময় হাজার হাজার মহিষের পাল ও একসাথে দেখা যায়।

🍁 কমলার দ্বীপ:তাজা ইলিশ খাওয়ার জন্য কমলার দ্বীপ সেরা জায়গা। সেখানে কমলার খালে অনেক ইলিশ পাওয়া যায়।

🍁 ছোঁয়াখালী: ছোঁয়াখালী তে খুব সকালে হরিণ দেখা যায়।খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে একটা বাইক নিয়ে চলে যেতে পারে  ছোঁয়াখালীতে।

🍁নামা বাজার সৈকত:সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার জন্য এখানকার সেরা জায়গা নামা বাজার সৈকত। নামা বাজার থেকে পায়ে হেটে ১০ মিনিটের মধ্যেই নামা বাজার সৈকতে পৌঁছানো যায়। রাতে বারবিকিউ করতে চাইলেও এখানে করতে পারেন। বারবিকিউ এর জন্যও এ জায়গাটি বেশ জনপ্রিয়।

🍁ভার্জিন আইল্যান্ড:শীতের অতিথি পাখি দেখার জন্য এখানকার আরো একটি দর্শনীয় জায়গা হচ্ছে ভার্জিন আইল্যান্ড বা কুমারী সী বিচ । দমার চরের দক্ষিণে নতুন সৈকতটিই ভার্জিন আইল্যান্ড। এই জায়গাটি সম্পর্কে খুব কম মানুষ ই জানে। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে যেতে পারলে এখানে অনেক ধরণের পাখির দেখা পাবেন।

🍁 মনপুরা দ্বীপ: মনপুরা দ্বীপ টি ও খুবই সুন্দর একটি দ্বীপ। নিঝুম দ্বীপে গেলে সময় পেলে এই মনপুরা দ্বীপ টিও ঘুরে আসতে পারেন।

নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময়

নিঝুম দ্বীপ এ যাওয়ার সব থেকে উপযোক্ত সময় হচ্ছে শীত ও বসন্তকাল। এ সময় রাস্তাঘাট শুকনা থাকায় যাতায়াত বেবস্থা ভালো থাকে। অক্টোবর থেকে এপ্রিলের ঠিক মাঝামাঝি সময়টাই উপযুক্ত সময় নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণের। র এই সময় অতিথি পাখির আগমন ও ঘটে।
এছাড়া বছরের বাকিটা সময় মেঘনা নদী ও সাগর অনেক উত্তাল থাকে।

ঢাকা থেকে নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার উপায়

নিঝুম দ্বীপ মূলত সাগরের মাঝখানের একটা দ্বীপ। ঢাকা থেকে নিঝুম দ্বীপে যাওয়ার সহজ ও উপভোগ্য উপায় হচ্ছে নৌপথ। ঢাকা সদরঘাট থেকে হাতিয়া যাওয়ার অনেক লঞ্চ পাওয়া যায় যেগুলো বিকেল ৫ তার মধ্যে সদরঘাট ছেড়ে যায়। সারারাত চাঁদের আলো উপভোগ করতে করতে সকালে হাতিয়ার তমিরুদ্দিন ঘাট এ গিয়ে পৌঁছে।তমুরদ্দী ঘাট থেকে ঢাকার ফিরতি লঞ্চ ছাড়ে দুপুর সাড়ে ১২ টায়। তমরুদ্দি ঘাট থেকে কিছু মাছ ধরার ট্রলার সরাসরি নামার বাজার যায়। এই উপায়ে সহজেই নিঝুম দ্বীপ পৌঁছানো যায়। এছাড়াও ঢাকা থেকে স্থল পথেও যাওয়া যায় নিঝুম দ্বীপ। কিন্তু সেটি অনেক ব্যায়বহুল এবং অনেক সময়ের ব্যাপার।

নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা

নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ও নামার বাজার সৈকতের কাছেই ভালো মানের কয়েকটি রিসোর্ট আছে।আপনি চাইলে এই রিসোর্ট গুলোতেও অল্প টাকায় থাকতে পারেন। এগুলো ছাড়াও বোন বিভাগের গেস্ট হাউস আছে ,চাইলে সেখানেও রাতে থাকতে পারেন। তবে নিঝুম দ্বীপে সাধারণত সবাই তাঁবুতেই থাকে। শীতের নিঝুম দ্বীপ মানেই ক্যাম্পিং। দ্বীপে ক্যাম্পিংয়ের জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো নামার বাজারের নিঝুম রিসোর্টের পাশের খালটি পেরিয়ে সৈকতের কাছে প্রায় ছয় মাইলের বিশাল খোলা মাঠটি। ক্যাম্পিংয়ে রীতিমত স্বয়ংসম্পূর্ণ নিঝুম দ্বীপ। এখানকার জাহাজমারা বাজারে ক্যাম্পিংয়ের প্রায় সব আইটেমই পাওয়া যায়। এ ছাড়া জাতীয় উদ্যান এলাকায়ও তাঁবু ভাড়া পাওয়া যায়।

নিঝুম দ্বীপে খাবারের জন্য নামার বাজার ই সব থেকে ভালো। সেখানকার খাবার হোটেলগুলো সামুদ্রিক মাছ এবং চিংড়ি ভাজার জন্য বেশ জনপ্রিয়। তবে আপনি মাছ,মুরগি সব ধরণের খাবার ই পাবেন সেখানে। আবার আপনি চাইলে নিজেও ক্যাম্প এলাকাতেই রান্না করে খেতে পারেন। রাতে ক্যাম্পসাইটে বার-বি-কিউ পার্টি আরো বেশি জমজমাট করে নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণকে।

নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণের সম্ভাব্য বর্ণনা :

সবাই টেন্ট এ থাকব। এক টেন্ট এ দুইজন শেয়ারিং করে। বালিশ ও স্লিপিং ব্যাগ সরবরাহ করা হবে। মোটামুটি ভালো মানের বাথরুম ও হবে ক্যাম্পসাইটে।

যাত্রার তারিখঃ ??

ফেরার তারিখঃ ??

ভ্রমণের সময়সীমাঃ ৪ রাত ৩ দিন

ভ্রমণ বৃত্যান্তঃ

ডে ০– আমরা সদরঘাট থেকে লঞ্চ এর ডেকে করে যাবো হাতিয়া।

ডে ১- সকালে হাতিয়া নেমে সেখান থেকে নেমে নাস্তা করে ট্রলারে করে নিঝুম দ্বীপ। গিয়ে টেন্ট এ ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হয়ে নিব। খেয়ে ঘুরতে বের হব নৌকায় চৌধুরীর খাল, কমলার দ্বীপ, কবিরাজের চর। ঘুরে রাতে ডিনার আর গানবাজনা।

ডে ২- সকালে নাস্তা করবো। বীচ ঘুরে যাব নৌকায় মনপুরা দ্বীপ দেখতে। সেখানেই খাবার খাব দুপুরের। ঘুরে বিকেলে এসে পৌঁছব নিঝুম দ্বীপের নামার বাজারে আমাদের ক্যাম্প সাইট এ। রাতে থাকবে বার বি কিউ।

ডে ৩- ভোরে উঠে বাইকে করে যাব ছোঁয়াখালি। ফিরে নাস্তা সেরে ৯ টার মধ্যে নৌকায় করে যেতে হবে হাতিয়া।কারণ সেখান থেকে লঞ্চ ছাড়বে ১২ টায়৷ আসব লঞ্চ এর ডেক এ।

৪র্থ দিন সকালে ঢাকায় থাকব।

 

ইভেন্ট ফি : ৬৫০০ টাকা

বুকিং মানিঃ ৪০০০ টাকা (৪০৮০টাকা বিকাশ খরচ সহ)

ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে চাইলে ৪০৮০ টাকা বিকাশ করে, আপনার নাম,ফোন নাম্বার এবং বিকাশ নাম্বারের শেষ ৩ টি ডিজিট বিকাশ নাম্বারে মেসেজ দিয়ে আপনার সিট কনফার্ম করুন।

বিকাশ নাম্বার:

ইভেন্ট খরচে যা যা খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকছে:

⭕ ৩ দিনের ৯ বেলা মূল খাবার

⭕ লঞ্চের ডেকে যাওয়া ও আসা খরচ(চেয়ার কোচ নিতে চাইলে আরো ১০০০ টাকা যোগ করতে হবে)

⭕অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের খরচ ( নৌকা, ট্রলার ও বাইক)

⭕তাবু, স্লিপিং ব্যাগ ভাড়া ইত্যাদি

 

যা যা অন্তর্রভুক্ত নয়:

⭕কোনো ব্যক্তিগত খরচ

⭕যাওয়ার দিন রাতের খাবার

 

কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে-

১. ভ্রমণের সময় যদি কোনো সমস্যার মুখোমুখি হই নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করব।

২. অবস্থা পরিপেক্ষিতে যে কোনো সময়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে যেটা আমরা সকলে মিলে ঠিক করব।

৩. সবাইকে একটি বিষয় খুব ভাল ভাবে মনে রাখতে হবে যে স্পট গুলোতে কোনো রকম ময়লা ফেলা যাবে না। সাথে পলিথিন থাকবে, সেখানে ফেলতে হবে। পরে ডাস্টবিনে ফেলা হবে।

৪.স্থানীয় দের সাথে কোনো রকম বিরূপ আচরন করা যাবে না।

৫.নিজের ব্যাগ নিজের বয়ে নিতে হবে। কেউ ব্যাগ টেনে নিবে এরকম মন মানসিকতা রাখা যাবেনা৷

 

বুকিং মানি জমা দেয়ার পদ্ধতি

ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109

**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৫)

**** ট্রিপের ৭ দিন আগে ক্যান্সেল করলে টাকা অফেরতযোগ্য

এছাড়া অন্য যেকোনো প্রশ্ন বা যোগাযোগের জন্য নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।

যোগাযোগ:01820-109 109

 

ভিসা ছাড়া বাংলাদেশী পাসপোর্টে ৪৮টি দেশে ভ্রমণ

বাংলাদেশী পাসপোর্টে ৪৮ দেশে ভিসা-ফ্রী ভ্রমন

আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন বাংলাদেশী পাসপোর্ট  নিয়ে বিদেশ ঘুরা একটু কঠিন। অনেক জায়গায় আমাদের ভিসা নেয়া লাগে।অনেক সময় দেখা যায় এই ভিসা নেয়ার ঝামেলা ঘুরার ঝামেলা থেকেও বেশি হয়। যেমন আপনি ভ্রমণে যাবেন ১/২ সপ্তাহের জন্য কিন্তু ভিসার জন্যই লেগে যাই ১ সপ্তাহ বা ১ মাসের ও বেশি সময় অনেক ক্ষেত্রে। তবে অনেকেই যেটা জানেনা বা অবগত না ,সেটা হচ্ছে বিশ্বের অনেক গুলো দেশ আছে যেখানে যেতে বাংলাদেশিদের ভিসা লাগে না ,বা On -Arrival ভিসা দিয়ে দেয়, অথবা আগে থেকে অনলাইনে ভিসা নেয়া যায় যেটা কে e-visa বলে। বাংলাদেশী পাসপোর্টে ৪৮ দেশে ভিসা-ফ্রী ভ্রমন করা যায় 

 

আমাদের আজকের টপিকে খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দেয়া হবে আপনি বাংলাদেশী পাসপোর্ট  নিয়ে কোন কোন দেশে যেতে পারবেন এবং কোন কোন দেশে যেতে পারবেন না। আজকের টপিক টি ৩ টি ভাগে লেখা হবে। 

১. কোন কোন দেশে  On -Arrival ভিসা  দেয়া হয় 

২.কোন কোন দেশে E -visa দেয়া হয়

৩. এমন অনেক দেশ আছে যেমন আমেরিকান ,ইউরোপিয়ান বা কানাডিয়ান (শেনজেন)ভিসা ইউজ করে ঐসব দেশ On -Arrival ভিসা  পাবেন। 

 

১. বাংলাদেশী পাসপোর্টে ভিসা-ফ্রী ভ্রমন এ কোন কোন দেশে  On -Arrival ভিসা  দেয়া হয়

আপনি যেই দেশে ভ্রমণ করবেন সেই দেশ গিয়ে আপনাকে দেখাতে হবে আপনার ফেরত যাওয়ার রিটার্ন টিকেট আছে ,আপনি ওই দেশে ফ্রট করে থাকতে যান নি ,আপনি নিজের দেশে আবার ব্যাক করবেন। আপনার ঐখানের হোটেল বুকিং ও দেখতে পারে। 

বাংলাদেশী পাসপোর্টে ভিসা-ফ্রী ভ্রমন এ এদের মধ্যে বেশির ভাগ এ হচ্ছে এশিয়া ও ওশেনিয়া কন্টিনেন্ট। 

১. নেপাল 

২.ভুটান 

৩.মালদ্বীপ 

৪ শ্রীলংকা 

৫. ইন্দোনেশিয়া 

৬.টিমোর-লেস্তে 

৭.ফিজি 

৮.মাইক্রোনেশিয়া 

৯.সামোয়া 

১০. টুভালু 

১১. ভানুয়াটু

১২. ক্যারিবিয়ান 

 

বাংলাদেশী পাসপোর্টে ভিসা-ফ্রী ভ্রমন এ -দক্ষিণ আমেরিকা  

১.জ্যামাইকা 

২.বাহামাস 

৩.হেইটি 

৪.গ্রেনাদা 

৫. সেন্ট কেট্স এন্ড  নেভিস 

৬.সেইন্ট ভিন্সেন্ট এন্ড গ্রেনেডাইন্স 

৭. বার্বাডোস 

৮. ডোমেনিকা 

৯. ট্রিনিডাড এন্ড টোবাগো 

বাংলাদেশী পাসপোর্টে ভিসা-ফ্রী ভ্রমন এ – আফ্রিকান 

১. রুয়ান্ডা 

২. উগান্ডা 

৩. মোরেতানিয়া 

৪. গাম্বিয়া 

৫. কোমোরোস 

৬. ম্যাডাগ্যাস্কার 

৭. সেচেলেস 

৮. কেপ ভার্দেস 

৯. মোজাম্বিক 

১০. গিনি বিসাও 

১১. টোগো  

২.বাংলাদেশী পাসপোর্টে ভিসা-ফ্রী ভ্রমন এ কোন কোন দেশে E -visa দেয়া হয় –

  E -visa এর জন্য আপনাকে আম্বাসি তে দৌড়াদৌড়ির ঝামেলা লাগবে না , শুধু অনলাইন এ একটি ফ্রম ফিলাপ করতে হবে। কিছু ডকুমেন্টস আপলোড করা লাগবে। 

 

তবে E-Visa এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রকম রিকোয়ার্মেন্টস আছে। কিছু কিছু দেশে হয়তোবা অনলাইনে আপনার ডাইরেক্ট একটা পেমেন্ট করা লাগে।  আপনার পাসপোর্ট এর ছবি আপলোড করা লাগবে ,যা সব জায়গাতেই প্রয়োজন হয়। আরো কিছু ইনফরমেশন দেয়া লাগবে।  যেমন : 

আপনি ওই দেশে কবে যাচ্ছেন ,কেন যাচ্ছেন ,কি করছেন ,আইটিনারি কি ?সাধারণত দেয়া লাগে।  কিন্তু এতো কিছু দেয়া লাগলেও এটি একটি এম্বাসি যাওয়ার ঝামেলা থেকে অনেক সহজ। আপনার যদি এখন ৫দিন আপনার ইন্ডিয়া এম্বাসিতে যাওয়া লাগে  ইন্ডিয়া যাওয়ার জন্য ,তার চেয়ে মালয়েশিয়া অনলাইন আবেদন করা অনেক সহজ। 

E-Visa যেই যেই দেশে দেয়া হয় :

১.কেনিয়া 

২.লেসোথো 

৩.জিবুতি 

৪.আইভরি কোস্ট 

৫. ইথোপিয়া 

৬. গ্যাবন 

৭. জাম্বিয়া 

৮. জিম্বাবুয়ে 

৯. সাও তোমে প্রিন্সেপে 

১০. বেনিন 

১১. এন্টিগুয়া এন্ড বার্বাডোস 

১২. কাতার 

১৩. কিরগিস্তান 

১৪.উজবেকিস্তান 

১৫. মায়ানমার 

১৬. মালয়েশিয়া 

১৭. টার্কি 

৩. এমন অনেক দেশ আছে যেমন আমেরিকান ,ইউরোপিয়ান বা কানাডিয়ান (শেনজেন)ভিসা ইউজ করে ঐসব দেশ On -Arrival ভিসা  পাবেন:

অনেকেই আছে বাংলাদেশী -যারা আমেরিকায় ,কানাডা ,ইউরোপিয়ান কোনো দেশে ,অস্ট্রেলিয়া,নিউজিল্যান্ড এমন উন্নত দেশের ভিসা নিয়ে অনেক দেশেই অন-এরাইভাল ভিসা পেয়ে যেতে পারেন । 

কোন কোন দেশে যেতে পারবেন :

১.মেক্সিকো 

২.কোস্টারিকা 

৩. পেনামা 

৪. বেলি

৫. ডোমিনিকান রিপাবলিক 

৬. আরুবা 

৭.আলবেনিয়া 

৮.বসনিয়া এন্ড হারযেকবিনা 

৯. মন্টেনিগ্রো 

১০. সার্বিয়া এন্ড মেকেডোনিয়া বা মেসিডোনিয়া 

 

শেনজেন মাল্টিপল ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন :

১. ক্রোয়েশিয়া 

২. কসোভো 

৩. রোমানিয়া 

৪. বুলগেরিয়া 

৫. সাইপ্রাস 

 

আরো কয়েকটি টেরিটরি আছে যেগুলো আমাদের নিজেদের দেশ না যেখানে আপনি ইউএস  ভিসা কিংবা শেনজেন ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। সেগুলো হচ্ছে : 

১.বারমুডা 

২.ব্রিটিশ ভার্জিং আইল্যান্ড 

৩.টার্কস এন্ড কাইকুস 

 

চাইনা তে যদি ২৪ ঘন্টার কম একটি লে -ওভার থাকে তাহলে আপনার ভিসা লাগবে না ট্রানসিট ভিসা দিয়ে ও আপনি ২৪ ঘন্টা ঘুরে বেড়াতে পারবেন। বেজিংয়ে 

 

ভিসা কি?

ভিসা কি?

ভিসা একটি অনুমতি পত্র যা একটি দেশ কোন বিদেশী নাগরিককে ঐ দেশে প্রবেশ ও অবস্থানের জন্য দিয়ে থাকে। ভিসা ছাড়া ভিন দেশে প্রবেশ ও অবস্থান অবৈধ অভিবাসন হিসাবে পরিগণিত। সাধারণত: পাসপোর্ট বা ট্রাভেল পারমিটের কোন একটি পাতায় লিখে, সীল দিয়ে বা স্টিকার লাগিয়ে ভিসা প্রদান করা হয়। দেশের বিদেশস্থ দূতাবাসগুলি ভিসা দিয়ে থাকে। সাধারণত: ভিসা প্রদানের জন্য দূতাবাসে কনস্যুলার শাখা থাকে।

ভিসার প্রকারভেদ 

প্রতিটি দেশে সাধারণত বিভিন্ন নামে বিভিন্ন ধরণের ভিসা থাকে। ভিসার সবচেয়ে সাধারণ প্রকার এবং নামগুলির মধ্যে রয়েছে:

উদ্দেশ্য দ্বারা ভিসা

ট্রানজিট ভিসা

ইস্যু দেশের মধ্য দিয়ে সেই দেশের বাইরের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য। ট্রানজিট ভিসার বৈধতা সাধারণত স্বল্প মেয়াদে সীমাবদ্ধ থাকে যেমন দেশের আকার বা একটি নির্দিষ্ট ট্রানজিট ভ্রমণপথের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে কয়েক ঘন্টা থেকে দশ দিন।

এয়ারসাইড ট্রানজিট ভিসা, পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ না করেও কিছু দেশ তাদের বিমানবন্দর দিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।

ক্রু সদস্য, স্টুয়ার্ড, বা ড্রাইভার ভিসা, বিমান, জাহাজ, ট্রেন, ট্রাক, বাস এবং আন্তর্জাতিক পরিবহনের অন্য কোনো উপায়ে বা আন্তর্জাতিক জলসীমায় মাছ ধরার জাহাজগুলিতে নিযুক্ত বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জারি করা।

 

স্বল্পকালীন বা ভিজিটর ভিসা

পরিদর্শন দেশে সংক্ষিপ্ত পরিদর্শন জন্য. অনেক দেশ এই পরিদর্শনের জন্য বিভিন্ন কারণের মধ্যে পার্থক্য করে, যেমন:

ব্যক্তিগত ভিসা: পরিদর্শন করা দেশের বাসিন্দাদের আমন্ত্রণে ব্যক্তিগত পরিদর্শনের জন্য।

ট্যুরিস্ট ভিসা: অবসর ভ্রমণের সীমিত সময়ের জন্য, কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম অনুমোদিত নয়।

মেডিকেল ভিসা: পরিদর্শন করা দেশের হাসপাতাল বা অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধায় ডায়াগনস্টিকস বা চিকিত্সার কোর্স করার জন্য।

ব্যবসায়িক ভিসা: দেশে বাণিজ্যে জড়িত থাকার জন্য। এই ভিসাগুলি সাধারণত স্থায়ী কর্মসংস্থানকে বাধা দেয়, যার জন্য একটি কাজের ভিসার প্রয়োজন হবে।

ওয়ার্কিং হলিডে ভিসা: কর্মরত ছুটির প্রোগ্রাম অফার করে এমন দেশগুলির মধ্যে ভ্রমণকারী ব্যক্তিদের জন্য, তরুণদের ভ্রমণের সময় অস্থায়ী কাজ করার অনুমতি দেয়।

অ্যাথলেটিক বা শৈল্পিক ভিসা: প্রতিযোগিতা, কনসার্ট, শো এবং অন্যান্য ইভেন্টে অভিনয়কারী ক্রীড়াবিদ এবং পারফর্মিং শিল্পী (এবং তাদের সহায়ক কর্মীদের) জারি করা হয়।

সাংস্কৃতিক বিনিময় ভিসা: সাধারণত ক্রীড়াবিদ এবং একটি সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের জন্য জারি করা হয়।

উদ্বাস্তু ভিসা: নিপীড়ন, যুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিপদ থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের জারি করা।

তীর্থযাত্রা ভিসা: এই ধরনের ভিসা প্রধানত যারা ধর্মীয় গন্তব্যে যেতে এবং/অথবা বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ইচ্ছুক তাদের জন্য জারি করা হয়। এই ধরনের ভিসা সাধারণত তুলনামূলকভাবে দ্রুত এবং কম খরচে পাওয়া যায়; যারা এগুলি ব্যবহার করে তাদের সাধারণত শুধুমাত্র একটি দল হিসাবে ভ্রমণ করার অনুমতি দেওয়া হয়। সবচেয়ে পরিচিত উদাহরণ সৌদি আরবের হজ ভিসা।

 

দীর্ঘস্থায়ী ভিসা

একটি নির্দিষ্ট সময়ের দীর্ঘমেয়াদী থাকার জন্য বৈধ ভিসা অন্তর্ভুক্ত:

স্টুডেন্ট ভিসা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে F-1): যা এর ধারককে ইস্যুকারী দেশে উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে দেয়। F-2 ভিসা ছাত্রের নির্ভরশীলদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সাথে যেতে দেয়।

রিসার্চ ভিসা: হোস্ট দেশে ফিল্ডওয়ার্ক করা শিক্ষার্থীদের জন্য।

➣অস্থায়ী কর্মী ভিসা: স্বাগতিক দেশে অনুমোদিত কর্মসংস্থানের জন্য। এগুলি সাধারণত প্রাপ্ত করা আরও কঠিন তবে একটি ব্যবসায়িক ভিসার চেয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য বৈধ। এর উদাহরণ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের H-1B এবং L-1 ভিসা। একটি নির্দিষ্ট দেশের উপর নির্ভর করে, অস্থায়ী শ্রমিকের মর্যাদা স্থায়ী বাসিন্দা বা স্বাভাবিকীকরণের মর্যাদায় বিকশিত হতে পারে বা নাও হতে পারে।

সাংবাদিক ভিসা: যা কিছু দেশ তাদের নিজ নিজ সংবাদ সংস্থার জন্য ভ্রমণ করার সময় সেই পেশার লোকদের প্রয়োজন। যে দেশগুলি এর উপর জোর দেয় তাদের মধ্যে রয়েছে কিউবা, চীন, ইরান, জাপান, উত্তর কোরিয়া, সৌদি আরব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (আই-ভিসা) এবং জিম্বাবুয়ে।

আবাসিক ভিসা: যারা আয়োজক দেশে দীর্ঘমেয়াদী বসবাস প্রাপ্ত ব্যক্তিদের দেওয়া হয়। কিছু দেশে, যেমন নিউজিল্যান্ড, স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা পাওয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদী বসবাস একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

অ্যাসাইলাম ভিসা: এমন লোকদের জারি করা হয়েছে যারা তাদের রাজনৈতিক কার্যকলাপ বা মতামত, বা বৈশিষ্ট্য, বা একটি সামাজিক গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত থাকার কারণে তাদের নিজ দেশে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বা যুক্তিসঙ্গতভাবে ভয় পেয়েছেন; অথবা নিজ দেশ থেকে নির্বাসিত হয়েছে।

নির্ভরশীল ভিসা: যা কিছু নির্দিষ্ট অন্যান্য ধরণের দীর্ঘস্থায়ী ভিসা ধারকের পরিবারের সদস্যদের জন্য জারি করা হয় (যেমন, অস্থায়ী কর্মী ভিসাধারী একজন যোগ্য কর্মীর স্ত্রী এবং সন্তানদের জন্য)।

ডিজিটাল যাযাবর ভিসা: ডিজিটাল যাযাবরদের জন্য যারা দূরবর্তী কাজ করার সময় অস্থায়ীভাবে একটি দেশে থাকতে চায়। থাইল্যান্ড তার স্মার্ট ভিসা চালু করেছে, থাইল্যান্ডে দীর্ঘ সময় থাকার জন্য উচ্চ বিশেষজ্ঞ বিদেশী এবং উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য করে, ভিসার জন্য অনলাইন আবেদনগুলি 2018 সালের শেষের দিকে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এস্তোনিয়া একটি ডিজিটাল যাযাবর ভিসার পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে, তার ই চালু হওয়ার পর – রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম

 

অভিবাসী ভিসা

অভিবাসী ভিসা এমন একটি ভিসা যা নির্দিষ্ট অক্ষর/কোডের অনুমোদনের ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাস করার অধিকার দেয়। এই অভিবাসী ভিসা প্রণালীতে কিছু নীতি ও শর্ত অনুসরণ করে। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রেই এই ভিসা প্রদান করা হয় যেখানে ব্যক্তিগত বা পরিবারের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বাস স্থাপন করা প্রয়োজন। এই ভিসা সহ নিম্নলিখিত বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:

 

  1. পত্নী ভিসা বা অংশীদার ভিসা: যে দেশের একজন নাগরিক বা বাসিন্দা তার স্বামী/স্ত্রী বা অংশীদারের জন্য স্থায়ী বাসস্থান স্থাপন করতে চায়, তাকে এই ভিসা প্রদান করা হয়। এই ভিসা প্রদানের শর্ত হলো একজন স্থায়ী নাগরিক বা বাসিন্দার পত্নী/অংশীদার হিসেবে প্রদত্ত হতে হবে।

 

  1. পরিবারের সদস্য ভিসা: এই ভিসা প্রদান করা হয় একজন স্থায়ী নাগরিক বা বাসিন্দার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য। এইটি সাধারণত পরিবারের যে সদস্যগুলি বৃদ্ধ, অস্বাস্থ্য বা সাহায্যকারী প্রয়োজনীয় তাদের কভার করে।

 

  1. বিবাহ ভিসা: উদ্দেশ্যমত বিয়ে বা আইনি জীবনসঙ্গীর উপর ভিত্তি করে একটি সীমিত সময়ের জন্য প্রদান করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি জার্মান মহিলা যে একজন আমেরিকান পুরুষের সাথে বিয়ে করতে চায়, তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি ভাইয়েসি ভিসা (অন্য নামে কে-1 ভিসা) প্রাপ্ত হবে। একটি K1 ভাইয়েসি ভিসা তার অনুমোদনের তারিখ থেকে চার মাসের জন্য বৈধ।

 

  1. পেনশন ভিসা: এই ভিসা অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রদান করা হয়, যারা বিদেশে আয় প্রদর্শন করতে পারেন এবং কাজ করতে ইচ্ছুক না। এই ভিসার অর্থনৈতিক সীমা সম্পর্কে কিছু শর্ত থাকে।

 

এই ভিসা অনুমোদনের শর্ত অনুযায়ী আবেদন করা হয়। অনুমোদিত হওয়ার পর, এই ভিসা একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য বৈধ থাক

অফিসিয়াল ভিসা

এগুলি তাদের সরকারের জন্য কাজ করছেন বা অন্যথায় কূটনৈতিক মিশনের কর্মীদের মতো আয়োজক দেশে তাদের দেশের প্রতিনিধিত্বকারী কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়।

➣একটি নিয়মিত বা কূটনৈতিক পাসপোর্টের সাথে একত্রে একটি কূটনৈতিক ভিসা।

➣সৌজন্যমূলক ভিসা বিদেশী সরকার বা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের জারি করা হয় যারা কূটনৈতিক মর্যাদার জন্য যোগ্য নয় কিন্তু যোগ্যতা ত্বরান্বিত, সৌজন্যমূলক আচরণ করে – এর একটি উদাহরণ হল অস্ট্রেলিয়ার বিশেষ উদ্দেশ্য ভিসা।

 

ইস্যু পদ্ধতি দ্বারা ভিসা

সাধারণত ভিসা আবেদনগুলি কনস্যুলেট, দূতাবাস বা অন্যান্য কূটনৈতিক মিশনে তৈরি এবং সংগ্রহ করা হয়।

অন-অ্যারাইভাল ভিসা

ভিসা অন অ্যারাইভাল (VOA) নামেও পরিচিত, এগুলি প্রবেশের পোর্টে দেওয়া হয়। এটি ভিসা-মুক্ত প্রবেশের থেকে আলাদা, যেখানে কোনও ভিসার প্রয়োজন নেই, কারণ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার আগে ভিজিটরকে এখনও আগমনের ভিসা পেতে হবে।

➣প্রায় সব দেশই অপ্রত্যাশিত ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে আগত দর্শকের আগমনে ভিসা (অথবা একই প্রভাবের অন্য ডকুমেন্ট) ইস্যু করার কথা বিবেচনা করবে, উদাহরণস্বরূপ:

➣শেনজেন ভিসা কোডের অনুচ্ছেদ 35 এর বিধান অনুসারে, একটি সীমান্তে একটি ভিসা জারি করা যেতে পারে যেমন একটি ফ্লাইট ডাইভারশনের ফলে ট্রানজিটে থাকা বিমান যাত্রীরা একটির পরিবর্তে দুটি বা ততোধিক বিমানবন্দর দিয়ে যেতে পারে। 2010 সালে, আইসল্যান্ডের Eyjafjallajökull আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, সমগ্র ইউরোপ জুড়ে বিমান ভ্রমণের উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটায় এবং EU ঘোষণা করে যে এটি আটকে পড়া ভ্রমণকারীদের স্থল সীমান্তে ভিসা প্রদান করবে।

➣ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাচারালাইজেশন অ্যাক্টের ধারা 212(d)(4) এর অধীনে, জরুরী পরিস্থিতিতে বা অন্যান্য পরিস্থিতিতে প্রবেশের আমেরিকান বন্দরে আগত ভ্রমণকারীদের জন্য ভিসা মওকুফ জারি করা যেতে পারে।

➣রাশিয়ার কিছু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কনসাল অন-ডিউটি রয়েছে, যাদের ঘটনাস্থলে ভিসা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

➣কিছু দেশ বিশেষ ক্যাটাগরির ভ্রমণকারীদের, যেমন নাবিক বা এয়ারক্রুদের আগমনে ভিসা দেয়।

➣কিছু দেশ নিয়মিত দর্শকদের জন্য তাদের ইস্যু করে; প্রায়ই বিধিনিষেধ আছে, উদাহরণস্বরূপ:

➣  বেলারুশ মিনস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমনের সময় ভিসা দেয় শুধুমাত্র সেইসব দেশের নাগরিকদের যেখানে বেলারুশের কোন কনস্যুলার প্রতিনিধিত্ব নেই।

➣  থাইল্যান্ড শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সীমান্ত চেকপয়েন্টে আগমনের সময় ভিসা দেয়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ক্রসিং যেখানে আগমনের সময় ভিসা জারি করা হয় না তা হল মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেনের জন্য পাদাং বেসার চেকপয়েন্ট।

ইলেকট্রনিক ভিসা

একটি ইলেকট্রনিক ভিসা (ই-ভিসা বা eVisa) একটি কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা হয় এবং পাসপোর্ট নম্বরের সাথে সংযুক্ত থাকে তাই ভ্রমণের আগে পাসপোর্টে কোনো লেবেল, স্টিকার বা স্ট্যাম্প রাখা হয় না। অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়, এবং রসিদটি একটি ভিসা হিসাবে কাজ করে, যা একটি মোবাইল ডিভাইসে মুদ্রিত বা সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

প্রবেশ এবং সময়কাল

ভিসা একক-এন্ট্রিও হতে পারে, যার অর্থ ধারক দেশে প্রবেশ করার সাথে সাথেই ভিসা বাতিল হয়ে যায়; ডাবল-এন্ট্রি, বা মাল্টিপল-এন্ট্রি, যা একই ভিসা দিয়ে দেশে দ্বিগুণ বা একাধিক প্রবেশের অনুমতি দেয়। দেশগুলি পুনরায় প্রবেশের অনুমতিও ইস্যু করতে পারে যা ভিসা বাতিল না করে সাময়িকভাবে দেশ ত্যাগ করতে দেয়। এমনকি একটি ব্যবসায়িক ভিসা সাধারণত ধারককে অতিরিক্ত ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া হোস্ট দেশে কাজ করার অনুমতি দেয় না।একবার ইস্যু করা হলে, একটি ভিসা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।

কিছু দেশে, একটি ভিসার বৈধতা থাকার অনুমোদিত সময়ের মতো নয়। ভিসার বৈধতা তারপর সময়কাল নির্দেশ করে যখন দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি ভিসা জারি করা হয় 1 জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এবং 30 মার্চ মেয়াদ শেষ হয় এবং একটি দেশে থাকার সাধারণ অনুমোদিত সময়কাল 90 দিন হয়, তাহলে 90-দিনের অনুমোদিত অবস্থান শুরু হয় যেদিন যাত্রী প্রবেশ করেন দেশ (প্রবেশ 1 জানুয়ারি থেকে 30 মার্চের মধ্যে হতে হবে)। এইভাবে, ভ্রমণকারী যেটি ইস্যুকারী দেশে থাকতে পারে তা হল 1 জুলাই (যদি ভ্রমণকারী 30 মার্চ প্রবেশ করে)। ভিসার এই ব্যাখ্যা আমেরিকায় প্রচলিত।

একজন ব্যক্তি তাদের ভিসার বৈধতার মেয়াদের বাইরে থাকতে পারে না, যা সাধারণত তাদের পাসপোর্টের বৈধতার সময়ের মধ্যে সেট করা হয়। ভিসা বৈধতার সময়কালের মধ্যে প্রযোজ্য অঞ্চলে পরিদর্শক কত দিন কাটাতে পারে তাও সীমিত করতে পারে। ভিসার মেয়াদের এই ব্যাখ্যা ইউরোপে প্রচলিত।

 

ভিসা এক্সটেনশন

অনেক দেশে ভিসা ধারককে ভিসা বাড়ানোর জন্য আবেদন করার অনুমতি দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ডেনমার্কে, একজন ভিসাধারী দেশে আসার পর ডেনমার্কের অভিবাসন পরিষেবাতে আবাসিক অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারেন। ইউনাইটেড কিংডমে, ইউকে ভিসা এবং ইমিগ্রেশনের জন্য আবেদন করা যেতে পারে।

নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে, ভিসা ধারকের পক্ষে এটি করা অসম্ভব, কারণ হয় দেশটির ভিসা দীর্ঘায়িত করার ব্যবস্থা নেই বা সম্ভবত, কারণ ভিসা ধারক একটি স্বল্প থাকার ভিসা ব্যবহার করছেন দেশ

ভিসা প্রত্যাখ্যান

সাধারণভাবে, একজন আবেদনকারীকে ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে যদি তারা সেই দেশের অভিবাসন আইনের অধীনে ভর্তি বা প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা পূরণ না করে। আরও নির্দিষ্টভাবে, ভিসা প্রত্যাখ্যান বা প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে যখন আবেদনকারী:

➣প্রতারণা, ধূর্ততা, বা তার বর্তমান আবেদনের পাশাপাশি পূর্ববর্তী আবেদনে ভুল বর্ণনা করেছেন

➣একটি ফৌজদারি রেকর্ড প্রাপ্ত হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বা ফৌজদারি অভিযোগ মুলতুবি আছে

➣জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত

➣একটি ভাল নৈতিক চরিত্র নেই

➣পূর্ববর্তী ভিসা/অভিবাসন লঙ্ঘন রয়েছে (এমনকি লঙ্ঘনগুলি যদি আবেদনকারী যে দেশে ভিসা চাইছেন সেখানে না ঘটে)

➣তাদের পূর্ববর্তী ভিসার আবেদন(গুলি) বা অভিবাসন সুবিধার জন্য আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং প্রমাণ করতে পারে না যে পূর্ববর্তী প্রত্যাখ্যানের কারণগুলি আর বিদ্যমান নেই বা আর প্রযোজ্য নয় (এমনকি যদি প্রত্যাখ্যানটি আগে যে দেশে না ঘটে থাকে আবেদনকারী জন্য ভিসা)

➣তাদের বর্তমান দেশের জাতীয়তা বা বসবাসের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রমাণ করতে পারে না (যারা অস্থায়ী বা অ-অভিবাসী ভিসার জন্য আবেদন করছেন তাদের জন্য)

➣অভিবাসী বা কাজের ভিসার জন্য আবেদন না করলে তিনি যে দেশে যাবেন সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস বা কাজ করতে চান

➣ফিরে আসার অভিপ্রায় প্রদর্শন করতে ব্যর্থ (অ-অভিবাসীদের জন্য)

➣চাওয়া ভিসার জন্য যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ/নথিপত্র সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়

➣যাত্রার কোনো বৈধ কারণ নেই

➣নিজের বা পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তার পর্যাপ্ত উপায় নেই

➣পর্যাপ্ত চিকিৎসা বীমা নেই, বিশেষ করে যদি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কার্যকলাপে (যেমন রক ক্লাইম্বিং, স্কিইং ইত্যাদি) জড়িত থাকে

➣গন্তব্য দেশে ভ্রমণের ব্যবস্থা (অর্থাৎ পরিবহন এবং থাকার) নেই

➣গন্তব্য এবং থাকার সময়কালের জন্য বৈধ স্বাস্থ্য/ভ্রমণ বীমা নেই

➣এমন একটি দেশের নাগরিক যার গন্তব্য দেশটি শত্রু বা যুদ্ধে লিপ্ত

➣পূর্বে পরিদর্শন করেছেন, বা পরিদর্শন করতে চান, এমন একটি দেশ যেখানে গন্তব্য দেশটি প্রতিকূল

➣একটি সংক্রামক রোগ আছে, যেমন যক্ষ্মা বা ইবোলা, বা যৌনবাহিত রোগ

➣একটি পাসপোর্ট আছে যার মেয়াদ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়

এমনকি যদি একজন ভ্রমণকারীর ভিসার প্রয়োজন নাও হয়, তবে উল্লিখিত মানদণ্ডগুলি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা প্রশ্নবিদ্ধ দেশে ভ্রমণকারীর প্রবেশকে প্রত্যাখ্যান করতে ব্যবহার করতে পারেন।

 

সাধারণ ভিসা

সাধারণত, ভিসা শুধুমাত্র ভিসা জারি করা দেশে প্রবেশের জন্য বৈধ। যে দেশগুলো আঞ্চলিক সংগঠনের সদস্য বা আঞ্চলিক চুক্তির পক্ষ তারা, তবে, সংগঠন বা চুক্তির কিছু বা সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য বৈধ ভিসা ইস্যু করতে পারে:

 

শেনজেন ভিসা হল শেনজেন এলাকার জন্য একটি ভিসা, যা বেশিরভাগ ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকা এবং অন্যান্য পার্শ্ববর্তী দেশ নিয়ে গঠিত। ভিসা দর্শকদের 180 দিনের সময়ের মধ্যে 90 দিন পর্যন্ত শেনজেন এলাকায় থাকার অনুমতি দেয়। ভিসা পর্যটন, পারিবারিক পরিদর্শন এবং ব্যবসার জন্য বৈধ।

 

সেন্ট্রাল আমেরিকান সিঙ্গেল ভিসা (ভিসা Única Centroamericana) হল গুয়াতেমালা, এল সালভাদর, হন্ডুরাস এবং নিকারাগুয়ার জন্য একটি ভিসা। এটি CA-4 চুক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছিল। এটি সেই চারটি দেশের নাগরিকদের অন্যান্য সদস্য দেশগুলিতে বিনামূল্যে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এটি যেকোনো সদস্য দেশের দর্শকদের অন্য ভিসা ছাড়াই অন্য সদস্য দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়।