মহেশখালী দ্বীপ ভ্রমণ বিস্তারিত

মহেশখালী দ্বীপ
বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ যা মহেশখালী দ্বীপ নামেও পরিচিত।মহেশখালী বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এই অঞ্চলটি কক্সবাজারের একটি বাটি অঞ্চল দ্বীপ রুপেও পরিবেশিত। এই দ্বীপটি কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে সাগরের মাঝে অবস্থিত। মহেশখালী উপজেলার আয়তন ৩৬২.১৮ বর্গ কিলোমিটার।মহেশখালী উপজেলা আরো তিনটি ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। এগুলো হল: সোনাদিয়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা।প্রায় ২০০ বছর আগে মহেশখালী নামে পরিচিত হয়ে উঠে, বৌদ্ধ সেন মহেশ্বর দ্বারাই এটির নামকরণ হয়েছিল বলেও অনেকের ধারণা।

মহেশখালী দ্বীপ দর্শনীয় স্থান

🍁আদিনাথ মন্দির
🍁বড় রাখাইন পাড়া বৌদ্ধ মন্দির
🍁আদিনাথ ও গোরকঘাটা জেটি
🍁লবণ মাঠ
🍁শুটকি মহাল
🍁গোরকঘাটা জমিদারবাড়ী
🍁সোনাদিয়া দ্বীপ ও সমুদ্র সৈকত
🍁ধলঘাটা হাঁসের চর
🍁শরইতলা সী-বিচ
🍁চরপাড়া সী-বিচ
🍁মৈনাক পাহাড়
🍁প্যারাবন
🍁চিংড়ী ঘের
🍁মুদির ছড়া, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বন
🍁মুদির ছড়া রাখাইন ছাড়া এবং রাখাইন বুদ্ধমন্দির

মহেশখালী দ্বীপ ভ্রমণ গাইড

মহেশখালী জেডি ঘাট থেকে জেডি ধরে কেওড়া ,গোলপাতাসহ সুন্দরী গাছের মনোরম দৃশ্যের মাঝে হেঁটে যেতে পারেন।ছবি তোলার জন্য একদম পারফেক্ট জায়গা। কিছুক্ষন হাঁটার পর মৈনাক পাহাড় দেখা যাবে। এখানে রয়েছে শ্রী শ্রী আদিনাথ মন্দির। ৫০০ থেকে ৬০০ বছরের পুরোনো মন্দিরের কারুকার্য অনেক সুন্দর। মৈনাক পাহাড় থেকে ম্যানগ্রোভ বন,সমুদ্র এবং পুরো মহেশখালী দেখা যায়। পাহাড় থেকে নেমে অটো রিকশা রিজার্ভ করে লবন চাষাবাদের জায়গা শুঁটকি পল্লী প্যারাবন,সি বীচ সোহো একেএকে সব জায়গা ঘুরে দেখা যাবে। এরপর যেতে পারেন বড় বৌদ্ধ কেয়াং বা মন্দির। এর ভেতরে বেশ কয়েকটি বৌদ্ধ মন্দির আছে। অনেকগুলি পিতলের মূর্তি আছে এখানে।ধ্যানমগ্ন বৌদ্ধ,মাথায় হাত দিয়ে শায়িত বৌদ্ধ এবং দন্ডায়মান বৌদ্ধ। পথে যেতে যেতে পানের বরয পরবে চোখে। সেখান থেকে রিজার্ভ অটোতে করেই ১নং জেডি ঘটে এসে একটা পান মুখে দিয়ে ফায়ার আস্তে পারেন।

মহেশখালী দ্বীপ যাওয়ার উপায়

মহেশখালীতে যাওয়ার জন্য সবথেকে সহজ র এডভেঞ্চার পথটি হচ্ছে কক্সবাজারের সমুদ্রপথটি। এর জন্য সড়ক, রেল কিংবা আকাশপথে প্রথমে কক্সবাজার আসতে হবে।
ঢাকার যাত্রাবাড়ি, মালিবাগ, কলাবাগান, ফকিরাপুল, মহাখালী অথবা গাবতলী থেকে কক্সবাজারের অনেক বাস পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার বাদে সপ্তাহের বাকি ৬দিন শুধুমাত্র চট্রগ্রামে যাত্রা বিরতি দিয়ে চলাচল করে এই ট্রেন।মাত্র ৯ ঘন্টার মধ্যেই কক্সবাজার চলে আসা যায়।
মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রার সম্পন্ন করতে চাইলে আকাশপথে যেতে হবে। কক্সবাজার শহরে পৌঁছে এবার সরাসরি চলে যেতে হবে মহেশখালী যাবার জেটি বা ৬ নম্বর ঘাটে। এখান থেকে স্থানীয় ট্রলার বা স্পিডবোটে জনপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা ভাড়ায় মহেশখালী পৌঁছে দেয়। বড় গ্রুপ হলে পুরো স্পিডবোট রিজার্ভ নেওয়া যেতে পারে। স্পিডবোটে সময় লাগতে পারে ২০ মিনিট, আর সেলুনৌকা বা ট্রলারে সময় নেবে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট।

মহেশখালী যাওয়ার আরেকটি পথ হচ্ছে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম দিয়ে সড়কপথে চকরিয়া হয়ে যাওয়া। এ পথে চকরিয়ার বদরখালি হয়ে মহেশখালীতে প্রবেশ করতে সময় লাগবে প্রায় দেড় ঘণ্টা। যে জেটি থেকে মহেশখালীগামী নৌকা বা ট্রলারে উঠতে হবে সেটি চকরিয়া হয়ে যাওয়ার পথেই চোখে পড়বে।
মহেশখালী আসার পর এবার সবকিছু ঘুরে দেখতে রিকশা, অটো কিংবা ইজিবাইক ভাড়া করা যায়। পাহাড়ি দ্বীপটি একদিনেই ঘুরে দেখা সম্ভব।

মহেশখালী ভ্রমণে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা

স্বল্প দূরত্বের কারণে অধিকাংশ পর্যটক মহেশখালী ঘুরে থাকার জন্য কক্সবাজারেই ফিরে আসেন। এ কারণে মহেশখালীতে থাকার জন্য তেমন কোনো আবাসিক হোটেল নেই।

খাবারের বেলায়ও একই পন্থা অনুসরণ করতে হবে। কক্সবাজারে বেশ কিছু মানসম্মত খাবারের হোটেল আছে, যেগুলোতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যেই এক বেলা ভরপেট খাওয়া যায়।
তবে রোমাঞ্চপ্রেমীদের জন্য মহেশখালী দ্বীপে তাঁবুতে রাতযাপন করাটা দারুণ একটি অভিজ্ঞতা হতে পারে।

বিস্তারিত জানতে

ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109

ইনটারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক যেকোনো ধরণের ভ্রমণ প্যাকেজ পেয়ে যাবেন আমাদের কাছে।

**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৯)

হামহাম ঝর্ণা ভ্রমণ বিস্তারিত

হামহাম ঝর্ণা সুন্দর এই ছবিটি সংগৃহীত

 

🇧🇩হামহাম ঝর্ণা

🏞️হামহাম মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে ২০১০ সালের শেষের দিকে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মাকে সাথে নিয় একদল পর্যটক হাম হামের এই অনিন্দ্য জলপ্রপাতটি আবিষ্কার করেন। স্থানীয়দের কাছে এই ঝর্ণা চিতা ঝর্ণা হিসাবে পরিচিত, তাদের মতে এই জঙ্গলে আগে চিতা পাওয়া যেত। প্রায় ১৪০ফিট উঁচু এই ঝর্ণার বুনো সৌন্দর্য দেখার জন্যে অনেক কষ্ট স্বীকার করে সমগ্র বাংলাদেশ থেকে মানুষ ছুটে আসে। শীতকালে তুলনামূলক পানি কিছটাু কম থাকলেও বর্ষাকালে হামহামের বুনো সৌন্দর্য্য দেখার উপযুক্ত একটা সময়।

ঝরণার যৌবন হলো বর্ষাকাল। বর্ষাকালে প্রচন্ড ব্যাপ্তিতে জলধারা গড়িয়ে পড়ে। শীতে তা মিইয়ে মাত্র একটি ঝরণাধারায় এসে ঠেকে। ঝরণার ঝরে পড়া পানি জঙ্গলের ভিতর দিয়ে ছড়া তৈরি করে বয়ে চলেছে। এরকমই বিভিন্ন ছোট-বড় ছড়া পেরিয়ে জঙ্গলের বন্ধুর পথ পেরিয়ে এই ঝরণার কাছে পৌঁছতে হয়। ঝরণাটির কাছে যাওয়ার জন্য এখনও (নভেম্বর ২০১১) সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ গৃহীত হয়নি, সাধারণত স্থানীয় অধিবাসীদের থেকে কাউকে গাইড বা পথপ্রদর্শক নির্ধারণ করে পর্যটকরা ঝরণা ভ্রমণ করেন। তাছাড়া ঝরণাকে ঘিরে তৈরি হয়নি কোনো সরকারি অবকাঠামোও। ঝরণায় যেতে হলে কুড়মা বন বিটের চম্পারায় চা বাগান হয়ে যেতে হয়। চম্পারায় চা-বাগান থেকে ঝরণার দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার। পথে অত্যন্ত খাড়া মোকাম টিলা পাড়ি দিতে হয়[৪] এবং অনেক ঝিরিপথ ও ছড়ার কাদামাটি দিয়ে পথ চলতে হয়।

হামহাম ঝর্ণা কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে হাম হাম যেতে হলে শ্রীমঙ্গল হয়ে যাওয়া সবচেয়ে সুবিধাজনক। বাসে করে ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল যেতে ফকিরাপুল অথবা সায়দাবাদ থেকে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা ভাড়ায় এসি ও নন এসি বাস পাওয়া যায়। এসি ও নন এসি এসব বাসের ভাড়া ৭০০ – ১০০০ টাকা। বাসে করে শ্রীমঙ্গল যেতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।
আর কমলাপুর বা বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশান হতে পারাবত, জয়ন্তিকা বা উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে প্রথমে শ্রীমঙ্গল আসা যায়। শ্রেনীভেদে ভাড়া ২৬০-১০০০ টাকা। ট্রেনে শ্রীমঙ্গল যেতে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা।

গাড়ি ও গাইড

শ্রীমঙ্গল থেকে সকাল সকাল হামহামে উদ্দেশ্যে রওনা দিলে ভাল হয়। বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে প্রথম আপনাকে একজন লোকাল গাইডের নাম্বার সংগ্রহ করলে ভালো হয়। এছাড়া কলাবন পাড়া পৌঁছানোর আগে গাইডের সাথে গাড়ি ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলে যাবেন। অবশ্যই একজন গাইড জানে কোন গাড়ির সঠিক ভাড়া কত। ভ্রমণ সঙ্গীর প্রত্যেকে বাঁশের লাঠি নিতে ভুল করবেন না, আর অবশ্যই জোঁকের কথা মাথায় রাখবেন। কলাবন পাড়া থেকে হামহাম যাবার দুটো ট্রেইল আছে আছে, ঝিরি পথ ও পাহাড়ি পথ। ঝিরি পথে একটু সময় বেশি লাগলেও এই পথের সৌন্দর্য পাহাড়ি পথের চেয়ে অনেক বেশি। তবে বর্ষাকালে ঝিরি পথে অনেক জোঁক থাকে। কলাবন পাড়া থেকে হামহাম যেতে ২-৩ ঘন্টা লাগবে। তবে পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটার অভ্যাস না থাকলে সময় আরও একটু বেশি লাগতে পারে।

হামহাম ঝর্ণা কোথায় থাকবেন

হামহাম ঝর্নার আশেপাশে থাকার মতো কোন ব্যবস্থাই নেই। তাই খুব সকালে রওনা দিয়ে দিনে দিনে ফিরে আসাই ভালো। তবে গাইডের সাথে কথা বলে যদি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন তবে কুরমা বনবিট এলাকার কোথাও থাকতে পারবেন। শ্রীমঙ্গল থাকার জন্য ভালো মানের হোটেল আছে।

আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

🍁 সিতাপ ঝর্ণা
🍁মাধবপুর লেক
🍁লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
🍁সাত রঙের চা _নীলকন্ঠ কেবিন
🍁বর্ডারের মেঘা লেক
🍁কুরমা বনবিট কাশিয়াপল্লী
🍁কুরমা চা বাগান ইত্যাদি

হামহাম ঝর্ণা ভ্রমণ টিপস

1)হামহাম যারা যাবেন অবশ্যই ট্রেকিং এর জন্যে হাইকিং অথবা ভালো গ্রীপের জুতো ব্যববার করবেন।
2)ব্যাকপ্যাক যত সম্ভব হালকা রাখবেন।
3)ফার্স্ট এইডের জন্যে যা প্রয়োজন সাথে রাখুন।
4)সাথে পর্যাপ্ত পানি নিতে হবে, প্রয়োজনে সাথে করে স্যালাইন নিতে পারেন।
5)পাহাড়ি উঁচু নিচু রাস্তায় চলার সময় সাবধান থাকবেন।
6)ঝর্ণা ও ট্রেইলে দয়া করে কোন ধরনের ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না।
7)স্থানীয় মানুষদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করুন।
8)সময়ের দিকে খেয়াল রাখুন যেন হামহাম থেকে ফিরে আসার পথেই সন্ধ্যা না হয়ে যায়।
🇧🇩 বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক হামহাম ঝর্ণা যাবার উদ্দেশ্যে কলাবনপাড়া এসে নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে নানান ঝামেলা ও সিন্ডিকেটে পড়ে যান। রিজার্ভ ফরেস্ট বন বিভাগের কোন এনটি নেয়া হয় না এখন আর। তাই সিন্ডিকেট বেড়ে গেছে। রিজার্ভ ফরেস্ট বন বিভাগের এন্টি থাকাকালীন পাহাড়ে যাওয়াটা অবশ্যই নিরাপত্তা ছিল। এখন যার যেমন খুশি গাইড হিসেবে চলে পাহাড়ে এবং গিয়ে পর্যটকদের হয়রানি করে। হামহাম থেকে ফিরে এসে কলাবন-পাড়া পর্যটকেদের দুপুরের যে খাবার খাওয়ার হোটেল ১৭/৯/২০২২/ এলাকা ভিত্তিক সমস্যার কারণে স্থানীয় প্রশাসন বন্দ করে দিয়েছেন। বর্তমান সময়ে কলাবন-পাড়া খাবারের কোন ব্যবস্থা নেই । অবশ্যই আপনারা আগে থেকে লোকাল গাইডের সাথে খাবারের বিষয়টা জানিয়ে যাবেন। গাইডের মাধ্যমে ঘরোয়া পরিবেশে খাবারের একটা ব্যবস্থা পেয়ে যাবেন। বর্তমান সময়ে অবশ্যই আগে থেকে গাইড কে জানিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আশা করি, এবং রাস্তায় পর্যটকদের গাইডের সিন্ডিকেটের সমস্যা দেখা যায়, রাস্তা থেকে অপরিচিত যে কেউ গাইড হিসেবে আপনাদের সাথে যেতে চাইলে তাকে গাইড হিসেবে পাহাড়ে নিয়ে যাবার কোনো প্রয়োজন নেই না হলে সমস্যায় পড়ে যাবে।
লোকাল গাইড ও গাড়ি
গাইড সাজ্জাদ 📲01717760509
চাঁদের গাড়ি📲 01315373372

বিস্তারিত জানতে

ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109

ইনটারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক যেকোনো ধরণের ভ্রমণ প্যাকেজ পেয়ে যাবেন আমাদের কাছে।

**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৯)

শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠি বাড়ি জাদুঘর

রবীন্দ্র কুঠি বাড়ি ছবিটি তুলেছেন বোহেমিয়ান ফয়সাল

 

রবীন্দ্র কুঠি বাড়ি জাদুঘর।
শিলাইদহ কুষ্টিয়া।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়ি । কুষ্টিয়া শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে কুমারখালি উপজেলার অর্ন্তগত শিলাইদহ ইউনিয়নের খোরেশদপুর কুঠিবাড়ি অবস্হিত ।
রবীন্দ্রনাথের দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে এ অঞ্চলের জমিদারি পান। পরবর্তিতে ১৮৮৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে জমিদার হয়ে আসেন। এখানে তিনি ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারী পরিচালনা করেন। এ সময় এখানে বসেই তিনি রচনা করেন তার বিখ্যাত গ্রন্থ সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালী, ইত্যাদি, গীতাঞ্জলী কাব্যের অনুবাদ কাজও শুরু করেন ।

১৯৫৮ সাল থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ব্যবস্হাপনায় শিলাইদহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িটি গৌরবময় স্মৃতিরূপে সংরক্ষিত আছে । ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কুঠিবাড়িটি গুরুত্ব অনুধাবন করে কবির বিভিন্ন শিল্পকর্ম সংগ্রহপূর্বক একে একটি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয় ।
পুরো ভবনটি এখন জাদুঘর হিসেবে দর্শকদের জন্যে উম্মুক্ত । জাদুঘরের নীচ ও দ্বিতীয় তলায় ১৬টি কক্ষেই কবি রবীন্দ্রনাথ, শিল্পী রবীন্দ্রনাথ, জমিদার রবীন্দ্রনাথ, কৃষক বন্ধু রবীন্দ্রনাথ অর্থাৎ নানা বয়সের বিচিত্র ভঙ্গির রবীন্দ্রনাথের ছবি । বাল্যকাল থেকে মৃতু্শয্যার ছবি পর্যন্ত সংরক্ষিত আছে । তাছাড়াও রয়েছে শিল্পকর্ম এবং তাঁর ব্যবহার্য আসবাবপত্র দিয়ে পরিপাটি করে সাজানো ।
কবি ভবনে ব্যবহার্য জিনিসপত্রগুলোর মধ্যে আরো আছে চঞ্চলা ও চপলা নামের দুটো স্পিডবোট, পল্টুন, ৮বেহারা পালকি, কাঠের চেয়ার, টি টেবিল, সোফাসেট, আরাম চেয়ার, পালংক ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস ।

টিকেট প্রাপ্তিস্থানঃ

জাদুঘরের গেটের পাশেই রয়েছে টিকেট কাউন্টার, জনপ্রতি টিকেট এর দাম পনের টাকা করে, তবে পাঁচ বছরের কম কোন বাচ্চার জন্যে টিকেট এর দরকার পড়েনা। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিশু-কিশোরদের জন্য প্রবেশ মুল্যে নির্ধারন করা হয়েছে ৫ টাকা। সার্কভুক্ত বিদেশি দর্শনার্থীর জন্যে টিকেট মূল্য পঞ্চাশ টাকা এবং অন্যান্য বিদেশী দর্শকদের জন্য টিকেটের মূল্য একশত টাকা করে।

রবীন্দ্র কুঠি বাড়ি বন্ধ-খোলার সময়সূচীঃ

গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেল্লা খোলা থাকে। মাঝখানে দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত আধ ঘণ্টার জন্যে বন্ধ থাকে। আর শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালেও দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত বন্ধ থাকে। আর সবসময়ের জন্যেই শুক্রবারে জুম্মার নামাযের জন্যে সাড়ে বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। রবিবার সাধারণ ছুটি এবং সোমবার বেলা ২.০০ থেকে খোলা থাকে। এছাড়াও সরকারী কোন বিশেষ দিবসে জাদুঘর থাকে ।
তথ্য- প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর

রবীন্দ্র কুঠি বাড়ি কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে যেতে চাইলে ট্রেন এবং বাস ২ ভাবেই যাওয়া যাবে। বাসে গেলে কল্যাণপুর থেকে অনেক গুলো বাস কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যায়। বাস থেকে কুষ্টিয়ার মজমপুর গেটে নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে যেকোনো রিকশা নিয়ে লালন মাজার যেতে পারবেন।
ট্রেনে যেতে চাইলে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ,মধুমতি এক্সপ্রেস ,বেনাপোল এক্সপ্রেস এ যেতে পারবেন।ট্রেনে গেলে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে নামতে হবে। কুষ্টিয়া থেকে অটো রিকশা বা সিএনজি করে সহজেই শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠি বাড়ি যেতে পারবেন।

থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা

কুষ্টিয়া শহরে মোটামুটি মানের বেশ কিছু আবাসিক হোটেল আছে। আপনার পছন্দমতো যেকোনো হোটেলে ঠিক করে নিতে পারবেন। এছাড়া মজমপুর ও এন এস রোডে বেশ কিছু মধ্যম মানের হোটেল রয়েছে।
খাওয়া দাওয়ার জন্য ও বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল রেস্টুরেন্ট রয়েছে। কুষ্টিয়ার বিখ্যাত তিলের খাজা ও কুলফি মালাই খেয়ে দেখতে পারেন।

বিস্তারিত জানতে

ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109

ইনটারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক যেকোনো ধরণের ভ্রমণ প্যাকেজ পেয়ে যাবেন আমাদের কাছে।

**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৯)

পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে পাসপোর্ট করার পুরো প্রক্রিয়া

পাসপোর্ট একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বস্তু বা ডকুমেন্ট যা নাগরিক হিসেবে আমাদের পরিচয় বহন করে। দেশের বাইরে অন্য যেকোনো দেশে ভ্রমণ বা কাজের প্রয়োজনে অবশ্যই পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়।বাংলাদেশি পাস পোর্ট হল একটি আইসিএও অনুগামী, মেশিন রিডেবল এবং বায়োমেট্রিক ই-পাসপোর্ট পাসপোর্টধারীর দ্বারা বিদেশে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জারি করা হয় এমন পরিচয়পত্র । বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ যে দেশ সমস্ত যোগ্য নাগরিকের জন্য ইপাসপোর্ট ইস্যু করেছে। বাংলাদেশ সরকার তিনটি বিভিন্ন ধরনের পাসপোর্টের ইস্যু করে। এগুলি হল কূটনৈতিক, দাপ্তরিক এবং নিয়মিত বা সাধারণ পাসপোর্ট। সাধারণ পাসপোর্টটি সবুজ মলাট )এটা আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের সাধারণ নিয়মিত নাগরিকদের জন্য জারি করা হয়। যেমন ছুটি, অধ্যয়ন, ব্যবসা ভ্রমণ ইত্যাদি।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্টটি চালু হচ্ছে। অন্যদিকে, এ পাসপোর্টটি চালুর ক্ষেত্রে বিশ্বে ১১৯তম দেশ।

পাসপোর্ট এর প্রকার

বাংলাদেশ সরকার তিনটি বিভিন্ন ধরনের পাসপোর্টের ইস্যু করে। এগুলি হল কূটনৈতিক, দাপ্তরিক এবং নিয়মিত বা সাধারণ ।

💠সাধারণ পাসপোর্টটি     সবুজ মলাট:এটা আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের সাধারণ নিয়মিত নাগরিকদের জন্য জারি করা হয়। যেমন ছুটি, অধ্যয়ন, ব্যবসা ভ্রমণ ইত্যাদি।
💠দাপ্তরিক পাসপোর্টটি    নীল মলাট: সরকারী কর্মচারী, সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারী ব্যবসায়ের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের জারি করা হয়েছে।
💠কূটনৈতিক পাসপোর্টটি     লাল মলাট : বাংলাদেশি কূটনীতিকদের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ও কূটনৈতিক কুরিয়ার জারি করা হয়।
💠বিশেষ পাসপোর্টটি     (স্পেশাল পাসপোর্ট, মেরুন মলাট): ভারত-বাংলাদেশ বিশেষ পাসপোর্ট নামেও পরিচিত, বাংলাদেশি নাগরিক এবং ভারতীয় নাগরিকদের জন্য জারি করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি কেবল. এটি শুধুমাত্র ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণের জন্য বৈধ ছিল। ICAO প্রবিধানে পরিবর্তনের কারণে এই পাসপোর্টের ইস্যু 2013 সালে শেষ হয়েছিল।

পাসপোর্ট করার পুরো প্রক্রিয়া

অনেকেই পাসপোর্ট করার সঠিক প্রক্রিয়া জানেন না। তাদের জন্যই –
বাংলাদেশে পাসপোর্টটি করার পুরো প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:

➤১.পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন ফরম পূরণ ✍️

💠অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ: প্রথমে পাসপোর্ট বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (e-passport.gov.bd) গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
💠আবেদন ফরম প্রিন্ট: ফরম পূরণের পর আবেদন ফরম প্রিন্ট করতে হবে।

➤২.পাসপোর্ট এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 📄

💠জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি: ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
💠জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি: জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
💠পাসপোর্ট সাইজ ছবি: ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
💠পূর্বের পাসপোর্টের ফটোকপি(যদি থাকে)।
💠অন্যান্য ডকুমেন্ট: যদি আবেদনকারী সরকারী চাকুরিজীবী হন, তবে এনওসি (NOC) প্রয়োজন হতে পারে।

➤৩. ফি জমা 💰

💠ফি: পাসপোর্টের ফি অনলাইনে বা নির্দিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
💠ফি রসিদ: ফি জমা দেওয়ার পর রসিদটি সংরক্ষণ করতে হবে।

➤৪. আবেদন জমা 📬

💠আবেদন জমা: নিকটস্থ পাসপোর্টের অফিসে নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে আবেদন ফরম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

➤ ৫. বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান 🖐️

💠ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি: পাসপোর্টের অফিসে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ এবং ছবি তোলা হবে।

➤৬. পাসপোর্ট সংগ্রহ 🛂

💠এসএমএস বা ইমেইল: আবেদন গৃহীত হলে এবং পাসপোর্টটি প্রস্তুত হলে এসএমএস বা ইমেইল পাওয়া যাবে।
💠সংগ্রহ: নির্দিষ্ট পাসপোর্টের অফিস থেকে পাসপোর্টটি সংগ্রহ করতে হবে।
এছাড়া আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য পাসপোর্টের অফিসের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন অথবা সরাসরি পাসপোর্টের অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

 

ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109

ষাইট্টা বটগাছ ভ্রমণ বিস্তারিত

ষাইট্টা বটগাছ ভ্রমণ বিস্তারিত

ষাইট্টা বটগাছ

ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলাধীন যাদবপুর ইউনিয়নস্থ একটি গ্রামের নাম ষাইট্টা। প্রায় ৫০০ বছর পূর্বে এই গ্রামের দেবীদাস বংশের পূর্ব পুরুষরা একটি বটগাছ ও অন্যটি পাকুড় গাছ পাশাপাশি রোপন করেন। স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই গাছ দু’টিকে দেবতা মনে করেন। তারা এই গাছের নিচে কালি মন্দিরও প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই গাছ দু’টি নিয়ে তাদের মনে বেশ কিছু বিশ্বাস আছে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, পাকুড় গাছকে পুরুষ এবং বট গাছকে নারী বিবেচনা করে সনাতন ধর্মানুসারে, অতীতে গাছ দুইটির বিয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয়দের মতে, এই দু’টি গাছের ডাল-পালা যে কাটেন; তিনিই পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পূজা দেওয়ার মাদ্ধমে পরবর্তীতে সে অসুস্থতা থেকে সুস্থ হন। তাই স্থানীয়রা ভয়ে এই গাছের পাতা পর্যন্তও ছেড়েন না। যার ফলে গাছ দুটি বর্তমানে অসংখ্য ডালের মাধ্যমে অসংখ্য শিকড় ছেড়ে দিয়ে ৫ বিঘা জমি দখল করে আছে এই ষাইট্টা বটগাছ। এ ছাড়াও অনেকের ধারণা রাতের বেলায় ষাইট্টা বটগাছ টির আশেপাশে ভুতুড়ে ঘটনা ঘটে ।
প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে আয়োজন করা হয় নানা ধরণের উৎসব এই ষাইট্টা বটগাছ এর নিচে । সেখানে কালি, সরস্বতী, বুড়ির পূজা এবং দশমী ও বাসন্তী মেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকে।

কীভাবে যাবেন ষাইট্টা বটগাছ

গাবতলীর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে চড়ে মানিকগঞ্জগামী ঢুলিভিটা নামক স্থানে যেতে হবে। তারপর ঢুলিভিটা থেকে অটো ভাড়ায় যাবেন ধামরাই বাজারে।সেখান থেকে যাদবপুর ইউনিয়নের ষাইট্টা গ্রামে যাওয়ার জন্য পেয়ে যাবেন অটোরিক্সা।
এ ছাড়াও গাবতলী থেকে মহিষাশী বাজারে গিয়ে সেখান থেকে কুশরা । কুশরা থেকে ষাইট্টা ।গুলিস্তান থেকে যেতে চাইলে সরাসরি ধামরাই চলে যেতে পারেন বাসে চেপে। ধামরাই পৌঁছে রিকশা বা অটো ভাড়া করে চলে যেতে পারে ষাইট্টা বটগাছে।

 

ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109

 

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি সুন্দর ছবিটি সংগৃহীত

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের ১৯ শতকে নির্মিত অন্যতম প্রাসাদ। একে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বা বালিয়াটি প্রাসাদ বলেও ডাকা হয়। বালিয়াটি প্রাসাদ বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত মানিকগঞ্জ জেলার সদর থেকে আনুমানিক আট কিলোমিটার পশ্চিমে এবং ঢাকা জেলা সদর থেকে পয়ত্রিশ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত।মোট সাতটি স্থাপনা নিয়ে এই জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। এই বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বা প্রাসাদটির সবগুলো ভবন একসাথে স্থাপিত হয় নি। এই প্রাসাদের অন্তর্গত বিভিন্ন ভবন জমিদার পরিবারের বিভিন্ন উত্তরাধিকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্লকটি যাদুঘর। এই প্রাসাদটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত ও পরিচালিত।

বালিয়াটির জমিদারদের পূর্বপুরুষ গোবিন্দ রায় সাহা ছিলেন একজন ধনাঢ্য লবণ ব্যবসায়ী। এই বাড়ির উত্তর-পশ্চিম অংশে লবণের একটা বড় গোলাবাড়ি ছিল। এই কারণে এই বাড়ির নাম রাখা হয়েছিল গোলাবাড়ি। সেকালে গোলাবাড়ির চত্বরে বারুনির মেলা বসত এবং এর পশ্চিম দিকে তাল পুকুরের ধারে আয়োজন করা হতো রথ উৎসব। বসত রথের মেলা। তবে পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে বর্তমানে এই স্থানে রথের মেলা না হয়ে হয় বালিয়াটি গ্রামের পুরান বাজারের কালী মন্দিরের পাশে।

১৯ শতকের রেনেসা যুগে নির্মিতঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যকৌশলের সাহায্যে নির্মিত অন্যতম নিদর্শন এই বিশাল প্রাসাদটি ২০ একরের চেয়ে বেশি স্থান জুড়ে অবস্থিত।এই প্রাসাদের চারটি ব্লকের পিছন অংশে চারটি আলাদা আভ্যন্তরিণ ভবন বা অন্দর্মহল আছে। উত্তরদিকে কিছুদূরে অবস্থিত পরিত্যক্ত ভবনটি হল বহির্মহল যা কাঠের কারুকার্য সম্পন্ন। এই ভবনে প্রাসাদের চাকর বাকর, গাড়ি রাখার গ্যারেজ, ঘোড়াশাল ছিল বলে ধারণা করা হয়। এই বিশাল প্রাসাদটির চারপাশ সুউচ্চ দেয়াল দ্বারা পরিবেষ্টিত। এই প্রাসাদের তিনটি প্রবেশপথ আছে। যার প্রত্যেকটিতে অর্ধবৃত্তাকার খিলান আকৃতির সিংহ খোদাই করা তৌরণ বিদ্যমান।

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি পরিদর্শনের সময়

গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বালিয়াটি জমিদার বাড়ি সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এবং শীতকাল অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খুলা থাকে। শুক্রবার ছাড়া বছরের অন্যান্য দিন দুপুর ১ টা থেকে ১:৩০ টা পর্যন্ত সাময়িক বিরতিতে জমিদার বাড়ি সাময়িক বন্ধ থাকে। এবং প্রতি শুক্রবার দুপুর ১২:৩০ থেকে ২:৩০ নামাজের বিরতি থাকে। প্রতি বন্ধের দিন দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকে।
প্রবেশ ফী :জনপ্রতি ৩০ টাকা দিতে হবে এবং বিদেশী নাগরিকদের ক্ষেত্রে জনপ্রতি ২০০ টাকা প্রবেশমূল্য নিতে হবে।

যাওয়ার উপায়

ঢাকার গাবতলী থেকে আরিচা বা মানিকগঞ্জগামী যে সব বাস সাটুরিয়া হয়ে যায় সেসব বাসে সহজে যাওয়া যায়। সাটুরিয়া জিরো পয়েন্টে নেমে যে কাউকে বললেই বালিয়াটি জমিদার বাড়ি দেখিয়ে দিবে। জিরো পয়েন্ট থেকে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি মাত্র ১ কিলোমিটার।ইজি বাইক বা সিএনজি তে ২০-৩০ টাকা ভাড়া নিবে। ঢাকা থেকে সাটুরিয়া যেতে সময় লাগে মাত্র ২ ঘন্টা।

সাটুরিয়া গেলে বালিয়াটি জমিদার বাড়িসহ আরও বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান আছে যেগুলো তে চাইলেই ঘুরে আসা যায়।

 

ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109

ইনটারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক যেকোনো ধরণের ভ্রমণ প্যাকেজ পেয়ে যাবেন আমাদের কাছে।

**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৯)

**** ট্রিপের ৭ দিন আগে ক্যান্সেল করলে টাকা অফেরতযোগ্য

সোনাইছড়ি ট্রেইল বিস্তারিত

সোনাইছড়ি ট্রেইল বিস্তারিত

সোনাইছড়ি ট্রেইল চট্টগ্রাম জেলার সব থেকে সুন্দর মনোরম একটি ট্রেইল। এই ট্রেইলটি চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই পাহাড় রেঞ্জ এর হাদি ফকিরহাট বাজার এলাকায় অবস্থিত এবং বারৈয়াঢালা অভয়ারণ্যের আওতাভুক্ত ,যার দৈর্ঘ্য ২৮ কিলোমিটার।এটি ডে ট্রিপের জন্য একটি আদর্শ জায়গা। এই ট্রেইলটা এতটাই দুর্গম যে ভরা বর্ষায় এটাতে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। শীতকালেই এই ট্রেইলে যাওয়া সম্ভব হয়, তাও কিছুটা ঝুঁকি থেকেই যায়। খাড়া সব গিরিখাত, গভীর সব কুম আর পিচ্ছিল রাস্তা, বিশাল আকারের সব পাথর, বাদুরের উৎপাত, জোঁকের ভয়, সব মিলিয়ে এটা যে একটা বেশ কষ্টকর আর এডভেঞ্চারাস জায়গা, তাতে কোন সন্দেহ নেই।এবং অত্যন্ত রোমাঞ্চকর অনুভূতি দেয়। এই ট্রেইলের বাদুইজ্জাখুম বা বাঁদুরে কুম এক সংকীর্ণ অথচ বিস্তৃত গভীর কুম, যার দুপাশের পাথুরে দেয়াল খাড়া ১০০-১৫০ ফুট উচু! উপরের গাছপালা ঠিকরে আলো তেমন আসেনা, ভেতরে হাজার হাজার বাঁদুরের ডানা ঝাপ্টানো আর কিচকিচ চিৎকারে কান পাতা দেয়! আর সেইরকম বাজে গন্ধ সৃষ্টি করে রেখেছে ভয়াবহ এক ভুতুরে আবহ!ট্রেইলের প্রায় শেষের দিকে আছে ঝর্ণা, আছে বিচিত্র সব ক্যাসকেড, আছে বাদুর-কুম বা বাদুইজ্যাকুম। প্রচুর পরিমাণে বাদুরের কারণে এরকম নাম।

সোনাইছড়ি ট্রেইল যাওয়ার উপায়

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো বাসে উঠে হাদি ফকিরহাট বাজারে নেমে যেতে হবে। কমলাপুর থেকে ট্রেনে চড়ে ও সীতাকুণ্ড নেমে হাদি ফকিরহাট যাওয়া যায়। সেখান থেকে হাদি ফকিরহাট জামে মসজিদ এর গলি ধরে হেঁটে অথবা সিএনজি নিয়ে বড়-পাথর যেতে হবে। বড়-পাথর থেকেই ট্রেইল শুরু। হাদি ফকিরহাট গ্রাম শেষে পাহাড়ের শুরু থেকে সোনাই-ছড়ি ট্রেইল এর শেষ পর্যন্ত ট্রেইলটি সম্পন্ন করতে সময় লাগবে প্রায় তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা। এক দিনেই এই এলাকা ঘুরে দেখা সম্ভব।

 থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা

 

সাধারণত একদিনের ভ্রমণে থাকার দরকার পড়বে না। আর এই ট্রেইলটি একদিনেই ঘুরে আসা যায় তাই এখানে থাকার প্রয়োজন নেই তবু নিতান্তই রাতে থাকতে চাইলে মীরসরাই বা সীতাকুন্ডে নিন্মমানের হোটেল পাবেন।তাছাড়া চাইলে মিরসরাই এ কোথাও তাবু করেও থাকা যাবে নিজ দায়িত্বে তবে সেটা একটু রিস্কি হতে পারে। ভালো হোটেলে থাকতে চাইলে চট্টগ্রাম চলে যেতে হবে।

স্থানীয় কারো বাসায় খাবারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে গাইডের সাথে কথা বলে। তাদের কাছ থেকে স্বল্প পরিমানের বাজেট এ মোটামোটি ভালোমানের খাবার ব্যবস্থা করা যায়। চাইলে বাজার থেকে অথবা মিরসরাই থেকে ও খাবার বেবস্থা করতে পারেন। সেখানে আপনি মাছ,মাংস,শাক,সবজি,ডাল সব পেয়ে যাবেন।

 

ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109

ইনটারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক যেকোনো ধরণের ভ্রমণ প্যাকেজ পেয়ে যাবেন আমাদের কাছে।

**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৯)

**** ট্রিপের ৭ দিন আগে ক্যান্সেল করলে টাকা অফেরতযোগ্য

জাফলং ভ্রমণ বিস্তারিত

জাফলং এর সুন্দর এই ছবিটি সংগৃহীত

জাফলং ভ্রমণ বিস্তারিত

সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্তর্গত একটি পর্যটনস্থল হলো জাফলং।পাহাড় আর নদীর অপূর্ব সম্মিলনে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই এলাকা বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটনস্থল হিসেবে পরিচিত। পর্যটনের সাথে জাফলং পাথরের জন্যও বিখ্যাত।জাফলং-এর বাংলাদেশ সীমান্তে দাঁড়ালে ভারত সীমান্ত-অভ্যন্তরে থাকা উঁচু উঁচু পাহাড়শ্রেণী দেখা যায়। এসব পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝরণা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়া ভারতের ডাউকি বন্দরের ঝুলন্ত সেতুও আকর্ষণ করে অনেককে।এছাড়া সর্পিলাকারে বয়ে চলা ডাওকি নদীও টানে পর্যটকদের। মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের ফলে ভারত সীমান্তে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ায় নদীর স্রোত বেড়ে গেলে নদী ফিরে পায় তার প্রাণ, আর হয়ে ওঠে আরো মনোরম। ডাওকি নদীর পানির স্বচ্ছতাও জাফলং-এর অন্যতম আকর্ষণ।

💠জাফলং ভ্রমনের স্থান সমূহ :

খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই এলাকা বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটনস্থল। জাফলং প্রকৃতির কন্যা হিসেবে পরিচিত। একেক ঋতুতে একেক রকম রূপ ছড়ায় জাফলং।পাথরের ওপর বয়ে চলা পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ পানির বয়ে চলা,ডাউকি ঝুলন্ত ব্রিজ ,উঁচু উঁচু পাহাড়ে সদর মেঘের ভেলা জাফলং কে করেছে অন্যতম। জাফলং ও এর আসে পাশে ভ্রমণের অনেক জায়গা রয়েছে যেমন :

🍁রাতারগুল 🍁জাফলং 🍁মায়াবী ( সম্রাট পুঞ্জি ঝর্ণা ) 🍁ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর। 🍁রাংপানি 🍁মালিনীছড়া চা বাগান। 🍁আগুন পাহাড়। 🍁হযরত শাহাজালাল (রঃ) ও শাহ পরাণ ( রঃ) মাজার।

🍁জাফলং:বাংলাদেশের সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থান সুমুহের মধ্যে জাফলং অন্যতম। বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত যা সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে, ভারতের মেঘালয় ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত।জাফলং এ শীত,বর্ষা মৌসমে ভিন্ন রূপ ধারণ করে। বর্ষায় জাফলং তার জীবন ফিরে পায়। নিজস্ব রূপে সজ্জিত হয়ে ওঠে। মেঘালয়ের পাহাড়ের ফাঁকে সাদা মেঘের অপরূপ ভেলা মেঘালয় এর পাহাড় থেকে ছুটে আসা ঝর্ণা যেন তার রূপের পসরা সাজিয়ে বসে। আবার শীতে জাফলং এর সৌন্দর্য থাকে ভিন্ন। সবুজ পাহাড়ে ঘিরে থাকে। তাই দুই মৌসমেই জাফলং এ ভ্রমণ করা যাই।

🍁রাতারগুল:বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট হলো রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট।রাতারগুল সিলেটের সুন্দরবন নাম খ্যাত। রাতারগুল জলাবন সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি মিঠাপানির জলাবন।পৃথিবীতে মিঠাপানির যে ২২টি মাত্র জলাবন আছে, “রাতারগুল জলাবন” তার মধ্যে অন্যতম।এই জলাবনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর।জলে নিম্নাংঙ্গ ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বনের গাছগুলো দেখতে বিভিন্ন সময়, বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এখানে ভিড় করেন পর্যটকগণ। ডিঙি নৌকা নিয়ে বনের ভিতর ভ্রমণ করতে হয়। সিলেটের স্থানীয় ভাষায় মুর্তা বা পাটি গাছ “রাতা গাছ” নামে পরিচিত। সেই রাতা গাছের নামানুসারে এ বনের নাম রাতারগুল।রাতারগুল কে অনেকেই বাংলাদেশের আমাজান বলে অভিহিত করেন।

🍁মায়াবী ( সম্রাট পুঞ্জি ঝর্ণা ):সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণার স্থানীয় নাম মায়াবী ঝর্ণা। জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে ভারতের সীমান্তে অবস্থিত মায়াবী ঝর্ণাতে যেতে মাত্র ১৫ থেকে ২০মিনিট সময় লাগে।মায়াবী এই ঝর্ণা মূলত ভারতীয় ভূখন্ডে পড়েছে। তারপরও বিএসএফ এর অনুমতিতে সেখানে বাংলাদেশিরা ভ্রমণ করতে পারে। সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণার ৩টি ধাপের শেষ ধাপে রয়েছে একটি রহস্যময় গুহা/সুড়ঙ্গ । এই গুহাটি মূলত জাফলং এর জিরো পয়েন্টের কাছে।

🍁ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর:সিলেট নগরী থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ। সিলেটে পাথরের স্বর্গরাজ্য হিসেবে খ্যাত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন নতুন পর্যটন স্পট হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে ‘সাদা পাথর’ নামক স্থানটি। যতদূর চোখ যায় দুইদিকে কেবল সাদা পাথর, মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ে মেঘের আলিঙ্গন। যেন অপরূপ এক স্বর্গরাজ্য। পাথরের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে বয়ে চলা ধলাইর কলকল শব্দে পাগল করা ছন্দ। সিলেট থেকে সাদা পাথর পর্যন্ত পুরোটা পথই প্রকৃতি তার সৌন্দর্যে বিমোহিত করবে যে কাউকে।ভারত থেকে নেমে আসা সীমান্ত নদী ধলাই নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকা স্থানীয়ভাবে ‘সাদা পাথর’ এলাকা হিসেবে পরিচিত।

🍁রাংপানি:সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামপুঞ্জি এলাকায় অবস্থিত রাংপানি।সিলেট শহর থেকে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দূরে এই জায়গাটি। সেখানে যেতে হলে ব্যক্তিগত যানবাহন কিংবা জাফলং যাওয়ার বাসে উঠে পড়লেই হবে। জৈন্তাপুর শ্রীপুর পর্যটনকেন্দ্র পার হয়ে মোকামপুঞ্জি এলাকায় নামলেই পায়ে হেঁটে মাত্র আধা কিলোমিটার এগোলেই দেখা মিলবে স্থানটির। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে এতটাই ভরপুর যে এলাকার নামই হয়েছে ‘শ্রীপুর’। এই শ্রীপুরেই অবস্থান সীমান্তবর্তী নদী ‘রাংপানি’র।মেঘালয়ের জৈন্তা পাহাড়ের রংহংকং জলপ্রপাত থেকে স্বচ্ছ জলের রাংপানির উৎপত্তি। অনেকের কাছে শ্রীপুর পাথরকোয়ারি নামেও পরিচিত।রাংপানি আর পুঞ্জির আশপাশের এলাকায় আশি ও নব্বইয়ের দশকে ঢাকাই চলচ্চিত্রের একাধিক ছবির শুটিং হয়েছে। শাবনাজ-নাঈম জুটির প্রথম ছবি চাঁদনীর জনপ্রিয় গান ‘ও আমার জান, তোর বাঁশি যেন জাদু জানে রে’ ছাড়াও বেশ কিছু দৃশ্য শ্রীপুরের বিভিন্ন স্থানে চিত্রে ধারণ করা হয়েছিল।

🍁মালিনীছড়া চা বাগান: সিলেটের চা বাগানের খ্যাতি রয়েছে সারা বিশ্বজুড়ে। দেশের মোট চায়ের ৯০ শতাংশই উৎপন্ন হয় সিলেটে।এজন্য সিলেটকে দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশও বলা হয়। চারপাশে সবুজের সমারোহ। নীল আকাশের নিচে যেন সবুজ গালিচা পেতে আছে সজীব প্রকৃতি। বাংলাদেশের মোট ১৬৩টি চা বাগানের মধ্যে ১৩৫টি রয়েছে বৃহত্তর সিলেটে।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চা বাগান হলো- মালনীছড়া চা বাগান যা বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের বৃহত্তম এবং সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান।ইংরেজ সাহেব হার্ডসনের হাত ধরে ১৮৪৯ সালে ১৫০০ একর জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয় উপমহাদেশের প্রথম চা বাগান মালনীছড়া। বাগানটি বর্তমানে পরিচলিত হচ্ছে বেসরকারি তত্ত্বাবধানে। ভ্রমনবিলাসী মানুষের কাছে আনন্দ ভ্রমন কিংবা উচ্ছ্বল সময় কাটানোর প্রথম পছন্দের স্থান হলো মালনীছড়া চা বাগান।

 

জাফলং যাওয়ার উপায়

জাফলং ভ্রমণের জন্য প্রথমে আসতে হবে সিলেটে।দেশের যেকোনো জায়গা থেকে বাস,ট্রেন এবং বিমান যেকোনো মাধ্যমেই আসা যায়।
ঢাকার ফকিরাপুল,গাবতলী,সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে সিলেটগামী অনেক বাস ছেড়ে যায়। সময় লাগে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা।
ঢাকা থেকে ট্রেনে সিলেট যেতে কমলাপুর বা বিমানবন্দর স্টেশন থেকে জয়ন্তিকা,পারাবত,কালনী ও উপবনে যাওয়া যাবে। সময় লাগবে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা।
আবার বিমানে করেও ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়া যায়।

থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা

সাধারণত জাফলং এ ভ্রমণকারী পর্যটক রা সিলেট শহরেই রাত্রি যাপন করে। কারণ এখন থেকে সিলেট এর অনন্যা ভ্রমণ কেন্দ্রে যাওয়া সহজ আর সিলেট এর বেশির ভাগ হোটেল গুলো সাধারণত শাহজালাল মাজারের আশে পাশেই অবস্থিত। ভালো মানের আবাসিক হোটেল ও রয়েছে অনেক। তাছাড়া জাফলং থাকতে চাইলেও সেখানে কিছু হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে যেখানে রাত্রি যাপনের সুব্যবস্থা আছে।
জাফলং এ খাওয়াদাওয়া করার জন্য অনেক ভালো মানের খাবার হোটেল রয়েছে। তবে সেগুলোতে আগে থেকে খাবার অর্ডার দিয়ে রাখতে হয়। তাছাড়া সিলেট শহরেও অনেক ভালো ভালো রেস্টুরেন্ট ও খাবার হোটেল আছে।

💠 ভ্রমণের সম্ভাব্য বর্ণনা :

প্রথম দিনঃ রাত ১০ টায় ঢাকা সায়েদাবাদ থেকে সিলেটের এর উদ্দেশ্যে রওনা দিবো।

🌄দ্বিতীয় দিনঃ সকালে বাস থেকে নেমে আমরা হোটেলে চেক ইন করে ফ্রেশ হয়ে সিলেটের বিখ্যাত পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টে নাস্তা করতে যাবো। সকাল ০৭ টা বাজে রিজার্ভ লেগুনা দিয়ে রাতারগুলের উদ্দেশ্যে রওনা হবো। রাতারগুল যাওয়ার সময় মাঝ পথে আমরা মালিনীছড়া চা বাগানে একটুভোলা গঞ্জে পৌঁছে আমরা রিজার্ভ বোটে ঘুরাঘুরি করব এবং ছবি তুলব। তারপর রাতারগুল পৌছে আমরা নৌকাতে উঠে সোয়াম্প ফরেস্ট ঘুরবো । রাতারগুল থেকে রিজার্ভ লেগুনাতে আমরা চলে যাব ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের উদ্দেশ্যে। দুপুরের সময় আমরা ভোলাগঞ্জ হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে নেব। । এরপর বোটে করে সাদা পাথর যাব। সেখানে সবাই গোসল করে এবং খেলাধুলা শেষ করে ভোলাগঞ্জ থেকে আমরা বিকাল বেলায় আবার আমরা হোটেলের উদ্দেশ্যে রিজাভ লেগুনাতে করে রওনা দিব। হোটেলে এসে যে যার রুমে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নিয়ে সবাই মিলে সিলেট শহরে ঘুরবো। তারপর রাতে সিলেটের বিখ্যাত পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খাবো ও হযরত শাহজালাল ( রঃ) মাজার জিয়ারত করবো।
🧆খাবারঃ সকাল, দুপুর, রাত।

🌄তৃতীয় দিনঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে সবাই নাস্তা করে ব্যাগ গুছিয়ে সেগুলো একটি রুমে রেখে আমরা দশটা বাজে রিজার্ভ লেগুনাতে করে চলে যাব জাফলং এর উদ্দেশ্যে। জাফলং যাওয়ার পথে আমরা রাংপানি পর্যটন স্পটে যাব। তারপর সেখান থেকে জাফলং পৌঁছে দুপুরের খাবার খাব। এরপর জাফলং এর জিরো পয়েন্ট ও মায়াবী ঝর্ণা যাব। তারপর জাফলং থেকে হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিব। যাওয়ার পথে আগুন পাহাড় ও হযরত শাহপরান মাজার ঘুরে যাব। হোটেলে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিব।
🧆খাবারঃ সকাল, দুপুর

🌄চতুর্থ দিনঃ সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছাব।

বুকিং পদ্ধতি ও বিস্তারিত জানতে

ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109

ইনটারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক যেকোনো ধরণের ভ্রমণ প্যাকেজ পেয়ে যাবেন আমাদের কাছে।

**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৫)

**** ট্রিপের ৭ দিন আগে ক্যান্সেল করলে টাকা অফেরতযোগ্য

এছাড়া অন্য যেকোনো প্রশ্ন বা যোগাযোগের জন্য নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।

যোগাযোগ:01820-109 109

প্রাচীন শহর কুমিল্লা ভ্রমণ বিস্তারিত

কুমিল্লা ময়নামতির এই সুন্দর ছবিটি সংগৃহীত

প্রাচীন শহর কুমিল্লা ভ্রমণ বিস্তারিত

দেশের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে গোমতী নদীর তীরে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলি ও বাংলাদেশের প্রত্নস্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন শহর কুমিল্লা যা প্রাচীনকালে সমতট জনপদের অন্তর্গত ছিল এবং পরবর্তীতে ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ হয়।প্রাচীন বাংলার শহরগুলোর মধ্যে কুমিল্লা ছিলো অন্যতম। কুমিল্লা শহর একসময় ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী ছিল। কুমিল্লা শহরের ডুলিপাড়া এলাকায় রয়েছে কুমিল্লা বিমানবন্দর। কুমিল্লাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত বিভিন্ন দেশের সৈন্যদের কবর ও ওয়ার সেমেট্রি রয়েছে। বতর্মানে রাজশে পুর ইকোপার্ক এবং তদসংলগ্ন বিরাহিম পুরের সীমান্তবর্তী শাল বন পর্যটন স্পট হিসেবে ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
স্পোর্টস ট্যুরিজম বাংলাদেশ এবার যাচ্ছে খাদি কাপড় ও মাতৃভান্ডার রসমালাইয়ের জন্য বিখ্যাত ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির শহর কুমিল্লাতে যার ময়নামতিতে রয়েছে লালমাই অঞ্চলের প্রাচীনতম সভ্যতার নিদর্শন ৷ আরো রয়েছে কমনওয়েলথ যুদ্ধ সমাধি সহ আরো অনেক ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন৷

💠কুমিল্লা ভ্রমনের স্থান সমূহ :

কুমিল্লাতে বহুসংখ্যক পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। কুমিল্লার লালমাই ময়নামতি পাহাড়ে একটি সমৃদ্ধ প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু জায়গা হলো:

🍁 শালবন বিহার,🍁 কুটিলা মুড়া, 🍁চন্দ্রমুড়া, 🍁রূপবন মুড়া, 🍁ইটাখোলা মুড়া, 🍁সতের রত্নমুড়া, 🍁রাণীর বাংলার পাহাড়, 🍁 আনন্দ বিহার, 🍁ভোজ রাজদের প্রাসাদ, 🍁চন্ডীমুড়া,🍁ময়নামতি জাদুঘর

🍁 শালবন বিহার:শালবন বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম। কুমিল্লা জেলার লালমাই-ময়নামতি প্রত্নস্থলের অসংখ্য প্রাচীন স্থাপনাগুলোর একটি এই বৌদ্ধ বিহার । এটি ১২শ প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত।কোটবাড়িতে বার্ডের কাছে লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় এ বিহারটির অবস্থান। বিহারটির আশপাশে এক সময় শাল-গজারির ঘন বন ছিল বলে এ বিহারটির নামকরণ হয়েছিল শালবন বিহার। প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে বিহারটির ধ্বংসাবশেষ থেকে আটটি তাম্রলিপি, প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, অসংখ্য পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা, সিলমোহর, ব্রোঞ্জ ও মাটির মূর্তি পাওয়া গেছে। এগুলো বাংলাদেশের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করছে।

🍁 কুটিলা মুড়া:কোটিলা মুড়া হচ্ছে কুমিল্লার ময়নামতী সেনানিবাস এলাকার একটি প্রত্নস্থান। ঢাকা-কুমিল্লা মহাসড়ক থেকে প্রায় দুই মাইল দক্ষিণে এবং শালবন বিহার থেকে প্রায় তিন মাইল উত্তরে এর অবস্থান। লালমাই পাহাড়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থাপনাগুলোর মধ্যে কোটিলা মুড়া অন্যতম। এ স্থানের মাটি খনন করার পর এখানে তিনটি স্তুপ আবিষ্কৃত হয়।

🍁রূপবন মুড়া:এটি চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার বার্ড নামক স্থানে অবস্থিত। নব্বই দশকের দিকে এটি খনন করা হয়।এটি খনন করার পরে একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ এখানে পাওয়া যায়। এছাড়া মুড়োটির পূর্ব পাশের প্রকৌষ্ঠ থেকে বেলে পাথরের কারুকাজ করা বৃহদাকার ১টি বৌদ্ধ মূর্তি পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় মূর্তিটি ৭ম থেকে ১২শ শতাব্দীর।৯০ দশকে কুমিল্লা কালিবাজার সড়কের কাছে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের এক অন্যতম এই নিদর্শনটি খনন করা হয়। কথিত আছে রহিম ও রূপবানের ভালোবাসার এক অন্যতম নিদর্শন এই স্থান। রূপবন মুড়ার উঁচু বিহারের উপর দাঁড়ালে সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখা যায়।

🍁ইটাখোলা মুড়া:ইটাখোলা মুড়া বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার ময়নামতী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক সৌধস্থল। এটি কুমিল্লা সদর উপজেলার হতে পশ্চিম দিকে ৮ কিমি দূরে কোটবাড়ি সড়কের ওপারে রূপবান মুড়ার উল্টোদিকে অবস্থিত।এই প্রত্নস্থান পাহাড়ের গায়ের তিনটি স্তরে বিদ্যমান। প্রাচীনকাল থেকেই এই স্থানটি ইট পোড়ানোর খনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এজন্যই এর এরকম নামকরণ করা হয়েছে।এই স্থানের মূল আকর্ষণ বিস্তীর্ণ স্তূপ কমপ্লেক্স। ১৩.১ বর্গমিটার ভিতের উপর অবস্থিত এই স্তূপটি নিরেটভাবে নির্মিত।ইটাখোলা মুড়ার প্রবেশ পথ ধরে উপরে উঠলে আয়তাকার ক্ষেত্রের মাঝখানে এই বিহারের মূল মন্দিরটি দেখতে পাওয়া যায়। এই মন্দিরের প্রধান উপাস্য হলেন ধ্যানী বুদ্ধ অক্ষোভ্য।

🍁সতের রত্নমুড়া: ৪০০ বছরের প্রাচীন মন্দির সতেরো রত্নমুড়া বা সতেরো রত্ন মন্দির কুমিল্লা নগরী সংলগ্ন আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খামার কৃষ্ণপুর গ্রামে অবস্থিত। কারো মতে সতেরোটি রত্ন এখানে স্থান পাওয়ায় এরকম নামকরণ আবার কারো মতে ১৭টি চূড়ার কারণে এই নাম।সতেরো রত্ন মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ত্রিপুরার মহারাজ দ্বিতীয় রত্ন মানিক্য বাহাদুর।ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত মন্দিরটি বাংলার টেরাকোটা স্থাপত্যের নিদর্শন বহন করে। অষ্টকোণ আকৃতির স্থাপত্য পরিকল্পনার মন্দিরটি সতেরো চূড়া বিশিষ্ট হলেও বর্তমানে অধিকাংশ চূড়া ধ্বংস হয়ে গেছে। মন্দিরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আটটি করে ১৬টিসহ চূড়ার সংখ্যা ১৭টি ছিল।

🍁রাণীর বাংলোর পাহাড়:কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পূর্ব পাশে অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাণী ময়নামতির প্রাসাদ। এই প্রত্নতত্ত্ব কেন্দ্রটি লালমাই-ময়নামতি পাহাড় শ্রেণীর সর্ব উত্তর প্রান্তে বিচ্ছিন্ন একটি পাহাড়ের চুড়ায় অবস্থিত।স্থানীয়ভাবে এটি রানী ‘ময়নামতি প্রাসাদ’ নামে পরিচিত। ১৯৮৮ সালে এখানে খননকাজ শুরু করা হয়। খননের ফলে একটি বৌদ্ধ মন্দিরের চারটি নির্মাণ যুগের স্থাপত্য কাঠামো উন্মোচিত হয়েছে।হাজার বছর পূর্বে এই এলাকায় এক রাজার বসবাস ছিল। আর তার স্ত্রী অর্থাৎ তার রাণীর নাম ছিল ময়নামতি। তৎকালীন আমলে রাণী ময়নামতির আরাম আয়েশের বাংলো ছিল এটি। রাণী ময়নামতির নামে এলাকার নামকরণ করা হয় ময়নামতি।

🍁 আনন্দ বিহার:কুমিল্লা জেলা সদরের কোটবাড়ির ময়নামতিতে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য আনন্দ বিহার। ময়নামতির অন্যান্য স্থাপনাগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম এই মন্দির উপমহাদেশের শেষ বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল।কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত আনন্দ বিহারটি শ্রী আনন্দ দেব নির্মাণ করেছিলেন বলে জানা যায়।

🍁 ভোজ রাজার প্রাসাদ: ভোজ রাজার বিহার চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার আনন্দ বিহারের পাশে অবস্থিত। আনন্দ বিহারের কিছু দক্ষিণে অবস্থিত এই বিহারটি স্থানীয়ভাবে ভোজ রাজার বাড়ী নামে পরিচিত।বিহারের অভ্যন্তরে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে প্রায় ১০০টির বেশি পোড়া মাটির ফলক পাওয়া গিয়েছে।এছাড়া বিহারের ভিতর থেকে মিশ্র ধাতুর ভাস্কর্যের খন্ডাংশ, দু’টি বুদ্ধ ভাস্কর্য, হরিকেল রৌপ্য মুদ্রা ইত্যাদি জিনিস উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

🍁চন্ডীমুড়া:চন্ডী মুড়া কুমিল্লা জেলা সদরে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি জেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।চন্ডী মুড়ার উচুঁ ঢিবির উপর অবস্থিত। এ মন্দিরের প্রবেশ পথে রয়েছে ১৪২টি সিঁড়ি। সিঁড়ির শেষ মাথায় মন্দিরের প্রধান প্রবেশপথ। স্থানীয় জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, সপ্তম শতাব্দীতে রাজা দেব খড়গ তার স্ত্রী প্রতীভা দেবীর অনুরোধে তার স্মৃতিকে অমর করে রাখতে এখানে চন্ডী মন্দির ও এর পাশে আরও একটি শিব মন্দির নির্মাণ করেন। এর মধ্যে চন্ডী মন্দিরে স্বরসতী ও শিব মন্দিরে শিবকে স্থাপন করে দুজনের আলাদা আলাদা পূজা আর্চনা করা হত।

🍁ময়নামতি জাদুঘর:শ্রীভবদের মহাবিহার, কোটিলা মুড়া, চারপত্র মুড়া, রূপবানমুড়া, ইটাখোলা মুড়া, আনন্দ বিহার, রানীর বাংলা, ও ভোজ রাজার বাড়ি বিহার খননকালে অনেক মুল্যবান পুরাসামগ্রী খুঁজে পাওয়া যায়। এসব পুরাবস্তু সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য ১৯৬৫ সালে কুমিল্লা কোটবাড়ির শালবন বিহারের দক্ষিণ পাশে শালবনকে সামনে রেখে পশ্চিমমুখী একটি জাদুঘর স্থাপন করা হয়।যার নাম ময়নামতি জাদুঘর।প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা হিসেবে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান কুমিল্লার ময়নামতি জাদুঘর।প্রাচীন নিদর্শনগুলোর মধ্যে ব্রোঞ্জ ও পাথরের ছোট বড় মূর্তি ,ব্রোঞ্জের বিশাল ঘন্টা ,স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা ,মাটির ফলক,ব্রোঞ্জ,তামা,লোহার সামগ্রী খেলনা,মৃৎশিল্প নিদর্শন ও প্রাচীন হস্তশিল্পের পাণ্ডুলিপি উল্লেখযোগ্য।

কুমিল্লা যাওয়ার উপায়

ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে কুমিল্লার উদ্দেশে প্রতিদিন অনেক বাস ছেড়ে যায়। আবার চট্টগ্রাম গামী বাস গুলো দিয়ে ও কুমিল্লা যাওয়া যায়। কমলাপুর থেকে চিটাগাং বা নোয়াখালী গামী উপকূল সহ আরো ট্রেন কুমিল্লা হয়ে যায়। কুমিল্লা স্টেশন থেকে নেমে যেকোনো সিএনজি বা অটো দিয়ে কুমিল্লার ময়নামতি এবং সবগুলো দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা যায়।

কুমিল্লা তে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা

কুমিল্লায় রাত্রি যাপনের জন্য কান্দিরপাড় ,শাসনগাছা ও স্টেশন রোডে বিভিন্ন মানের ও দামের হোটেল রয়েছে।আবাসিক -অনাবাসিক সব ধরণের হোটেল এ রয়েছে।

নিত্যদিনের খাবারের চাহিদা পূরণের জন্য কুমিল্লাতে বিভিন্ন মানের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আছে। সেগুলোতে সকালের নাস্তা থেকে সুর করে সব ধরণের খাবার এ পাওয়া যায়। তাছাড়াও কুমিল্লার মনোহরপুর অবস্থিত আসল মাতৃভান্ডারের বিখ্যাত রসমলাই,রসগুল্লা ,ভগবতীর পেরা ও মিঠাই এর মালাইচপ এবং মাতৃভূমির মালাইকারির স্বাদ নিতে পারেন।

💠কুমিল্লা ভ্রমণের সম্ভাব্য বর্ণনা :

খুব ভোরে বের হয়ে পূর্ব নির্ধারিত লোকেশন থেকে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো আমরা ৷ কুমিল্লা পৌঁছে সকালের নাস্তা করে প্রথমেই যাবো ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি তে ৷ (খোলা থাকা সাপেক্ষে ) ৷

সেখান থেকে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি,শালবন বিহার,ময়নামতি জাদুঘর,বৌদ্ধ মন্দির বা নব শালবন বিহার,রূপবান মুড়া

একে একে সব স্পট ঘুরব। দুপুরে বিরতী নিয়ে লাঞ্চ করে নিব।

সন্ধ্যা নাগাদ রওনা দিয়ে রাতের মধ্যেই ঢাকা থাকব ইনশাআল্লাহ ।

💠সেন্টমার্টিন ভ্রমন খরচ:

ইভেন্ট ফি :২৯০০ টাকা

বুকিং মানিঃ ২৯৬০ (টাকা বিকাশ খরচ সহ)

ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে চাইলে ২৯৬০ টাকা বিকাশ করে, আপনার নাম,ফোন নাম্বার এবং বিকাশ নাম্বারের শেষ ৪ টি ডিজিট বিকাশ নাম্বারে মেসেজ দিয়ে আপনার সিট কনফার্ম করুন।

বিকাশ নাম্বার: 01909040979

ইভেন্ট খরচে যা যা খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকছে:

💠ঢাকা-কুমিল্লা-ঢাকা যাতায়াত খরচ (এসি ট্রান্সপোর্টেশন)

💠সকালের নাস্তা এবং দুপুরের খাবার

💠বিকেলে হাল্কা নাস্তা

যা যা অন্তর্ভুক্ত নয়:

⭕কোনো ব্যক্তিগত খরচ

⭕উপরে উল্লেখিত খাবার বাদে অন্যকোনো খাবার খরচ।

কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে-

১. ভ্রমণের সময় যদি কোনো সমস্যার মুখোমুখি হই নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করব।

২. অবস্থা পরিপেক্ষিতে যে কোনো সময়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে যেটা আমরা সকলে মিলে ঠিক করব।

৩. সবাইকে একটি বিষয় খুব ভাল ভাবে মনে রাখতে হবে যে, স্পট গুলোতে কোনো রকম ময়লা ফেলা যাবে না। সাথে পলিথিন থাকবে, সেখানে ফেলতে হবে। পরে ডাস্টবিনে ফেলা হবে।

৪.স্থানীয় দের সাথে কোনো রকম বিরূপ আচরন করা যাবে না।

বুকিং মানি জমা দেয়ার পদ্ধতি

ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109

ইনটারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক যেকোনো ধরণের ভ্রমণ প্যাকেজ পেয়ে যাবেন আমাদের কাছে।

**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৫)

**** ট্রিপের ৭ দিন আগে ক্যান্সেল করলে টাকা অফেরতযোগ্য

এছাড়া অন্য যেকোনো প্রশ্ন বা যোগাযোগের জন্য নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।

যোগাযোগ:01820-109 109

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ বিস্তারিত

সেন্টমার্টিন দ্বীপ এর সুন্দর এই ছবিটি সংগ্রকৃত

সেন্টমার্টিন ভ্রমণ বিস্তারিত

সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত মাত্র ৮ বর্গকিলোমিটার এর  একটি ছোট প্রবাল দ্বীপ । এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে ও মায়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরাও বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সমুদ্রপ্রেমীদের কাছে এটি ব্যাপক পরিচিত একটি নাম।চারদিকে রয়েছে কেয়া গাছ আর প্রবাল এর অপূর্ব সৌন্দর্য । বিখ্যাত লেখক, কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দারুচিনি দ্বীপ নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবির মাধ্যমে এই দ্বীপটির পরিচিতি আরো বেড়ে যায়।

একটি সুন্দর ভ্রমণ করতে সবচেয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে সঠিক ট্যুর প্লান ও ট্যুর গাইড। আর Sports Tourism Bangladesh  চেষ্টা করে শ্রেষ্ঠ ট্যুর প্লান নিয়ে ভ্রমণ করতে। আমরা চেষ্টা করি প্রতিটা ট্যুরিস্টের বিশ্বাসের জায়গাটি পাকাপোক্ত ভাবে ধরে রাখতে।

গন্তব্য : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ 

💠ভ্রমনের স্থান সমূহ :

সেন্টমার্টিনে বেশ কিছু ভ্রমণ স্থান রয়েছে।যেখানে ভ্রমণ পিপাসুরা নিজেদের প্রকৃতি ও সমুদ্রের সৌন্দর্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু জায়গা হলো:

🍁টেকনাফ 🍁সেন্ট মার্টিন 🍁ছেড়া দীপ 🍁মিনি সুন্দরবন  🍁নারিকেল জিঞ্জিরা

🍁টেকনাফ :টেকনাফ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের উপজেলা।মূলত টেকনাফ হয়েই সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে হয়। টেকনাফ থেকে জাহাজে করে অথবা স্পীড বোট ,ট্রলারে করেও সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়। তবে টেকনাফে ও অনেক পর্যটন এলাকা রয়েছে। যেমন রয়েছে কুদুম গুহা যেখানে বাংলাদেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ বন্য হাতির বসবাস। আরো রয়েছে শাহপরীর দ্বীপ।এখান থেকে ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ দেখা যায়। এছাড়াও আরো অনেক ঐতিহাসিক ও দার্শনিকস্থান আছে টেকনাফে।

🍁সেন্ট মার্টিন: বিশ্বের বৃহৎ বদ্বীপ রয়েছে বাংলাদেশে । বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ থেকে ৯ কিলোমিটার দূরত্বে মায়ানমার উপকুল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত একমাত্র প্রবাল দ্বীপ “সেন্টমার্টিন দ্বীপ”। সেন্টমাটিন দ্বীপ কে দারচিনির দ্বীপ ও প্রবাল দ্বীপ ও বলা হয়। দেশের মূল ভূখণ্ডের অংশ হয়েও এটি একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ।অসংখ্য নারিকেল গাছের সমাহারের কারণে এ দ্বীপ কে নারিকেল জিঞ্জিরা ও বলা হয়ে থাকে। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মন্ডিত এ দ্বীপটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন স্থান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। অসীম আকাশ এর নিচে সমুদ্রের নীল জল সারি সারি নারিকেল ও কেয়া গাছ দ্বীপটিকে এক স্বর্গীয় সৌন্দর্য রূপান্তিত করেছে। এই দ্বীপ থেকে সাগরের এক পাশে সূর্যোদয় ও অন্য পাশে সূর্যাস্ত ২ ই উপভোগ করা যায়। সেন্টমার্টিন দ্বীপ তার এই অপার সৌন্দর্যে মোহিত করেই পর্যটকদের নিজের কাছে টানে।

🍁ছেড়া দীপ:ছেড়া দীপ হলো বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের ভুখন্ড। একমাত্র প্রবল দ্বীপ সেন্টমাটিন থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে এই চেরা দ্বীপ এর অবস্থান। সিক্সহেরা দ্বীপকে সম্পূর্ণ একটি প্রাকৃতিক দ্বীপ ও বলা যায়। কারণ এই দ্বীপটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পাথর,প্রবাল,নারিকেল গাছ দিয়ে পরিপূর্ণ।স্থানীয়দের কাছে এটি ছেঁড়াদিয়া বা সিরাদিয়া নামেই পরিচিত। জোয়ারের সময় এ দ্বীপটির এক তৃতীয়াংশ পানির নিচে থাকে। সেন্টমার্টিন থেকে চেরা দ্বীপ বোট,ভ্যান বা সাইকেলের মাদ্ধমে যাওয়া যাই। আবার চাইলে হেটেও যাওয়া যায় তবে পানি থাকে মাঝেমধ্যে তখন পার হতে সমস্যা হয়। তবে ছেড়া দ্বীপে সাইকেলে করে যেতে বেশি মজাদার। পূর্ণিমা তে ছেড়া দ্বীপ ক্যাম্পিং এর জন্য বেশি উপযোগী।

সেন্টমার্টিন যাওয়ার উপায়

সেন্টমার্টিন এ যাওয়ার জাহাজ গুলো সাধারণত টেকনাফ থেকেই ছাড়ে। তাই সেন্টমার্টিন যেতে চাইলে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ যাওয়া ই সুবিধাজনক।সেখান থেকে জাহাজে,ট্রলারে বা স্পিড বোটে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়। যারা ঢাকা বা অন্যান্য জায়গা থেকে আসবেন তারা চাইলে সরাসরি টেকনাফ এসে জেডি ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারেন আবার চাইলে কক্সবাজার এসে ২/১ দিন থেকে সেখান থেকে টেকনাফ এসে সেন্টমার্টিন যেতে পারেন। ঢাকা থেকে অনেক বাস আছে কক্সবাজার ও টেকনাফের। বর্তমানে টেকনাফ ছাড়াও সরাসরি কক্সবাজার ও ইনানী থেকেও সেন্টমার্টিন এর উদ্দেশে জাহাজ ছেড়ে যায়।

সেন্টমার্টিন এ থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা

সেন্টমার্টিনে রাতে থাকার জন্য নানান মানের ও দামের হোটেল,রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। তবে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পূর্বেই রিসোর্ট বুকিং করে যাওয়া ভালো। অন্যথায় রিসোর্ট বা হোটেল পেতে খানিক ভুগান্তির স্বীকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সেন্টমার্টিন এ সাধারণত হোটেল ও রিসোর্ট গুলো থেকেই খাবার এর ব্যবস্থা করা হয়। রিসোর্ট গুলোতেই বাংলা খাবারের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছের ও বেবস্থা থাকে।আবার বারবিকিউ এর ও ব্যবস্থা করে থাকে তারা। আপনি আগে রিসোর্টে বা হোটেলে আপনি যেখানে থাকবেন সেখানে জিজ্ঞেস করে নিবেন খাবারের ব্যবস্থা আছে কিনা। তবে আপনি চাইলে সেন্টমার্টিন বাজারে বেশ কিছু খাবার হোটেল আছে সেখান থেকেও খেতে পারেন। সেন্টমার্টিন এর প্রসিদ্ধ খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো ডাব। এখানকার ডাবের পানি খুবই মিস্টি ও সুস্বাদু হয়। অবশ্যই একটি ডাব খাওয়া উচিত। এরপর এখানকার সামুদ্রিক ইলিশ ,কুরাল ,সুন্দরী পোয়া ,লবস্টার এই গুলো ট্রাই করতে পারেন।

💠সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সম্ভাব্য বর্ণনা :

 

🍁প্রথম দিন  রাতে  সায়েদাবাদ থেকে বাসে উঠে রওনা দিবো টেকনাফের উদ্দেশ্যে। 

🍁দ্বিতীয় দিন ভোরে টেকনাফ পৌঁছে সকালের নাস্তা সেরে ট্রলারে\জাহাজে করে সেন্ট মার্টিন উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো। বিশাল সমুদ্রে থাকা জেলী ফিশ, গাংচিল আর নীল আকাশের বিশালতা উপভোগ করতে করতে গন্তব্যে পৌঁছাবো আনুমানিক সকাল ১০-১১ টার মধ্যে। পৌঁছে হোটেলে চেকইন করে দুপুরে খাবার সেরে ইচ্ছে মতো ঝাঁপাঝাপি হবে সমুদ্রে। ইচ্ছে হলে সাইকেলে করে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ করে সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত উপভোগ করে রাতে ডিনার করে নিবো। এরপর সমুদ্র পারে জোছনায় ভিজে ইতি করবো দিনটি।

🍁তৃতীয় দিন সকালে নাস্তা শেষে ট্রলার বা অটোরিকশা করে চলে যাবো ছেঁড়া দ্বীপ। ছেঁড়া দ্বীপ ঘুরে এসে দুপুরের খাবার সেরে আবার যাবো সমুদ্রের বিশালতা উপভোগ করতে। হাতে সময় থাকলে এই দিনটিতে হবে শাড়ি-পাঞ্জাবী পড়ে সমুদ্রে ফটোসেশন। সন্ধ্যায় থাকবে ক্যাম্প ফায়ার আর রাতে থাকবে বারবিকিউ ডিনারের আয়োজন।

🍁চতুর্থ দিন সকালের নাস্তা করে হোটেল থেকে চেক আউট করে রওনা দিবো টেকনাফের উদ্দেশ্যে। টেকনাফ পৌঁছানোর পর দুপুরের খাবার খেয়ে টেকনাফ এর আশেপাশে ঘুরে আমরা এসি বাসে উঠে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবো। 

🍁পঞ্চম দিন খুব সকালে ঢাকায় থাকবো।

সেন্টমার্টিন ভ্রমনের তারিখ 😕

**নূন্যতম ৪জন হলে যেকোনো দিন প্রাইভেট ট্যুর এ্যারেঞ্জ করা যাবে।

💠সেন্টমার্টিন ভ্রমন খরচ:

 

জনপ্রতি ৬৫০০টাকা(এসি বাস হলে আরো ১৫০০ টাকা যোগ করতে হবে)(এক রুমে ৪ জন)

💠কাপল প্যাকেজ

প্রতি কাপল: ৮,০০০টাকা(এক রুমে ২ জন)

কনফার্ম করার শেষ তারিখ : ??

 🍂কনফার্ম করার জন্য প্রতিজন ৪,০০০ টাকা করে কনফার্মেশন মানি জমা দিতে হবে। 

🍂চাইল্ড পলিসি : ০থেকে ৩ বছরের শিশুদের জন্য ফ্রি 

সেন্ট মার্টিন ট্যুর প্যাকেজে যা যা থাকছে 

💠ঢাকা -সেন্ট মার্টিন -ঢাকা বাস টিকিট,জীপ সহ সকল যাতায়াত খরচ

💠২রাত হোটেল একোমডেশন

💠টেকনাফ পৌছানোর পর প্রথম দিন সকালের খাবার থেকে শুরু করে আসার দিন দুপুর পর্যন্ত প্রতিদিন ৩ বেলা খাবার। 

💠সকল প্রকার হোটেল ট্যাক্স ও পার্কিং চার্জ।

💠জাহাজের ডেকের টিকেট আসা যাওয়া(কেবিন বা সিট নিতে চাইলে বুকিং মানির সাথে আর ও ৯০০ টাকা যোগ করতে হবে)

💠লোকাল ট্রান্সপোর্ট​

 

⛔সেন্ট মার্টিন ট্যুর প্যাকেজে যা থাকছে না

 

💠ঢাকা থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়া আসার পথে যাত্রা বিরতি তে খাবার 

💠কোনো পার্সোনাল খরচ​।

💠ফেরার দিন রাতের খাবারের খরচ। 

💠প্যাকেজ বহির্ভূত যে কোনো খরচ।  

 

কনফার্ম করার আগে যে ব্যাপারগুলো অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে 

💠হোটেলে এক রুমে চারজন করে থাকা। রুমে দুইটা করে বড় বেড থাকবে।  ফ্যামিলি না হলে অবশ্যই মেয়েদের থাকার রুম আলাদা থাকবে।কাপলদের জন্য কাপল রুম থাকবে।

💠সব রুমে এটাচ বাথ ও গিজার থাকবে। 

💠কোন হিডেন চার্জ নেই। 

 

সাথে যা যা নিতে পারেন :

NID কার্ড/জন্ম নিবন্ধনের কপি। (নিরাপত্তার সার্থে সবসময়ই সাথে রাখা উচিৎ)

মোবাইলের চার্জার ও পাওয়ার ব্যাংক (সেন্ট মার্টিনে রাতে জেনারেটর বন্ধ থাকে।)

ভাল মানের সানস্ক্রিন/ সানব্লক।

হ্যাট/ক্যাপ/গামছা/ওড়না ছাতা (মাথা ঢাকার জন্য)

সানগ্লাস

ক্যামেরা+ ব্যাটারি

টর্চ

স্যালাইন/ গ্লুকোজ

বেসিক কিছু ঔষধ। ওখানে সব কিছু এভেইলেবল না। যেগুলো এভেইলেবল তার দাম বেশি।)

ওডোমস

 

কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে-

১. ভ্রমণের সময় যদি কোনো সমস্যার মুখোমুখি হই নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করব।

২. অবস্থা পরিপেক্ষিতে যে কোনো সময়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে যেটা আমরা সকলে মিলে ঠিক করব।

৩. সবাইকে একটি বিষয় খুব ভাল ভাবে মনে রাখতে হবে যে, স্পট গুলোতে কোনো রকম ময়লা ফেলা যাবে না। সাথে পলিথিন থাকবে, সেখানে ফেলতে হবে। পরে ডাস্টবিনে ফেলা হবে।

৪.স্থানীয় দের সাথে কোনো রকম বিরূপ আচরন করা যাবে না।

বুকিং মানি জমা দেয়ার পদ্ধতি

ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109

ইনটারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক যেকোনো ধরণের ভ্রমণ প্যাকেজ পেয়ে যাবেন আমাদের কাছে।

**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৫)

**** ট্রিপের ৭ দিন আগে ক্যান্সেল করলে টাকা অফেরতযোগ্য

এছাড়া অন্য যেকোনো প্রশ্ন বা যোগাযোগের জন্য নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।

যোগাযোগ:01820-109 109