সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ বিস্তারিত

সেন্টমার্টিন ভ্রমণ বিস্তারিত
সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত মাত্র ৮ বর্গকিলোমিটার এর একটি ছোট প্রবাল দ্বীপ । এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে ও মায়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরাও বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সমুদ্রপ্রেমীদের কাছে এটি ব্যাপক পরিচিত একটি নাম।চারদিকে রয়েছে কেয়া গাছ আর প্রবাল এর অপূর্ব সৌন্দর্য । বিখ্যাত লেখক, কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দারুচিনি দ্বীপ নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবির মাধ্যমে এই দ্বীপটির পরিচিতি আরো বেড়ে যায়।
একটি সুন্দর ভ্রমণ করতে সবচেয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে সঠিক ট্যুর প্লান ও ট্যুর গাইড। আর Sports Tourism Bangladesh চেষ্টা করে শ্রেষ্ঠ ট্যুর প্লান নিয়ে ভ্রমণ করতে। আমরা চেষ্টা করি প্রতিটা ট্যুরিস্টের বিশ্বাসের জায়গাটি পাকাপোক্ত ভাবে ধরে রাখতে।
গন্তব্য : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ
💠ভ্রমনের স্থান সমূহ :
সেন্টমার্টিনে বেশ কিছু ভ্রমণ স্থান রয়েছে।যেখানে ভ্রমণ পিপাসুরা নিজেদের প্রকৃতি ও সমুদ্রের সৌন্দর্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু জায়গা হলো:
🍁টেকনাফ 🍁সেন্ট মার্টিন 🍁ছেড়া দীপ 🍁মিনি সুন্দরবন 🍁নারিকেল জিঞ্জিরা
🍁টেকনাফ :টেকনাফ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের উপজেলা।মূলত টেকনাফ হয়েই সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে হয়। টেকনাফ থেকে জাহাজে করে অথবা স্পীড বোট ,ট্রলারে করেও সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়। তবে টেকনাফে ও অনেক পর্যটন এলাকা রয়েছে। যেমন রয়েছে কুদুম গুহা যেখানে বাংলাদেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ বন্য হাতির বসবাস। আরো রয়েছে শাহপরীর দ্বীপ।এখান থেকে ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ দেখা যায়। এছাড়াও আরো অনেক ঐতিহাসিক ও দার্শনিকস্থান আছে টেকনাফে।
🍁সেন্ট মার্টিন: বিশ্বের বৃহৎ বদ্বীপ রয়েছে বাংলাদেশে । বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ থেকে ৯ কিলোমিটার দূরত্বে মায়ানমার উপকুল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত একমাত্র প্রবাল দ্বীপ “সেন্টমার্টিন দ্বীপ”। সেন্টমাটিন দ্বীপ কে দারচিনির দ্বীপ ও প্রবাল দ্বীপ ও বলা হয়। দেশের মূল ভূখণ্ডের অংশ হয়েও এটি একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ।অসংখ্য নারিকেল গাছের সমাহারের কারণে এ দ্বীপ কে নারিকেল জিঞ্জিরা ও বলা হয়ে থাকে। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মন্ডিত এ দ্বীপটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন স্থান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। অসীম আকাশ এর নিচে সমুদ্রের নীল জল সারি সারি নারিকেল ও কেয়া গাছ দ্বীপটিকে এক স্বর্গীয় সৌন্দর্য রূপান্তিত করেছে। এই দ্বীপ থেকে সাগরের এক পাশে সূর্যোদয় ও অন্য পাশে সূর্যাস্ত ২ ই উপভোগ করা যায়। সেন্টমার্টিন দ্বীপ তার এই অপার সৌন্দর্যে মোহিত করেই পর্যটকদের নিজের কাছে টানে।
🍁ছেড়া দীপ:ছেড়া দীপ হলো বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের ভুখন্ড। একমাত্র প্রবল দ্বীপ সেন্টমাটিন থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে এই চেরা দ্বীপ এর অবস্থান। সিক্সহেরা দ্বীপকে সম্পূর্ণ একটি প্রাকৃতিক দ্বীপ ও বলা যায়। কারণ এই দ্বীপটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পাথর,প্রবাল,নারিকেল গাছ দিয়ে পরিপূর্ণ।স্থানীয়দের কাছে এটি ছেঁড়াদিয়া বা সিরাদিয়া নামেই পরিচিত। জোয়ারের সময় এ দ্বীপটির এক তৃতীয়াংশ পানির নিচে থাকে। সেন্টমার্টিন থেকে চেরা দ্বীপ বোট,ভ্যান বা সাইকেলের মাদ্ধমে যাওয়া যাই। আবার চাইলে হেটেও যাওয়া যায় তবে পানি থাকে মাঝেমধ্যে তখন পার হতে সমস্যা হয়। তবে ছেড়া দ্বীপে সাইকেলে করে যেতে বেশি মজাদার। পূর্ণিমা তে ছেড়া দ্বীপ ক্যাম্পিং এর জন্য বেশি উপযোগী।
সেন্টমার্টিন যাওয়ার উপায়
সেন্টমার্টিন এ যাওয়ার জাহাজ গুলো সাধারণত টেকনাফ থেকেই ছাড়ে। তাই সেন্টমার্টিন যেতে চাইলে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ যাওয়া ই সুবিধাজনক।সেখান থেকে জাহাজে,ট্রলারে বা স্পিড বোটে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়। যারা ঢাকা বা অন্যান্য জায়গা থেকে আসবেন তারা চাইলে সরাসরি টেকনাফ এসে জেডি ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারেন আবার চাইলে কক্সবাজার এসে ২/১ দিন থেকে সেখান থেকে টেকনাফ এসে সেন্টমার্টিন যেতে পারেন। ঢাকা থেকে অনেক বাস আছে কক্সবাজার ও টেকনাফের। বর্তমানে টেকনাফ ছাড়াও সরাসরি কক্সবাজার ও ইনানী থেকেও সেন্টমার্টিন এর উদ্দেশে জাহাজ ছেড়ে যায়।
সেন্টমার্টিন এ থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা
সেন্টমার্টিনে রাতে থাকার জন্য নানান মানের ও দামের হোটেল,রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। তবে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পূর্বেই রিসোর্ট বুকিং করে যাওয়া ভালো। অন্যথায় রিসোর্ট বা হোটেল পেতে খানিক ভুগান্তির স্বীকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সেন্টমার্টিন এ সাধারণত হোটেল ও রিসোর্ট গুলো থেকেই খাবার এর ব্যবস্থা করা হয়। রিসোর্ট গুলোতেই বাংলা খাবারের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছের ও বেবস্থা থাকে।আবার বারবিকিউ এর ও ব্যবস্থা করে থাকে তারা। আপনি আগে রিসোর্টে বা হোটেলে আপনি যেখানে থাকবেন সেখানে জিজ্ঞেস করে নিবেন খাবারের ব্যবস্থা আছে কিনা। তবে আপনি চাইলে সেন্টমার্টিন বাজারে বেশ কিছু খাবার হোটেল আছে সেখান থেকেও খেতে পারেন। সেন্টমার্টিন এর প্রসিদ্ধ খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো ডাব। এখানকার ডাবের পানি খুবই মিস্টি ও সুস্বাদু হয়। অবশ্যই একটি ডাব খাওয়া উচিত। এরপর এখানকার সামুদ্রিক ইলিশ ,কুরাল ,সুন্দরী পোয়া ,লবস্টার এই গুলো ট্রাই করতে পারেন।
💠সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সম্ভাব্য বর্ণনা :
🍁প্রথম দিন রাতে সায়েদাবাদ থেকে বাসে উঠে রওনা দিবো টেকনাফের উদ্দেশ্যে।
🍁দ্বিতীয় দিন ভোরে টেকনাফ পৌঁছে সকালের নাস্তা সেরে ট্রলারে\জাহাজে করে সেন্ট মার্টিন উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো। বিশাল সমুদ্রে থাকা জেলী ফিশ, গাংচিল আর নীল আকাশের বিশালতা উপভোগ করতে করতে গন্তব্যে পৌঁছাবো আনুমানিক সকাল ১০-১১ টার মধ্যে। পৌঁছে হোটেলে চেকইন করে দুপুরে খাবার সেরে ইচ্ছে মতো ঝাঁপাঝাপি হবে সমুদ্রে। ইচ্ছে হলে সাইকেলে করে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ করে সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত উপভোগ করে রাতে ডিনার করে নিবো। এরপর সমুদ্র পারে জোছনায় ভিজে ইতি করবো দিনটি।
🍁তৃতীয় দিন সকালে নাস্তা শেষে ট্রলার বা অটোরিকশা করে চলে যাবো ছেঁড়া দ্বীপ। ছেঁড়া দ্বীপ ঘুরে এসে দুপুরের খাবার সেরে আবার যাবো সমুদ্রের বিশালতা উপভোগ করতে। হাতে সময় থাকলে এই দিনটিতে হবে শাড়ি-পাঞ্জাবী পড়ে সমুদ্রে ফটোসেশন। সন্ধ্যায় থাকবে ক্যাম্প ফায়ার আর রাতে থাকবে বারবিকিউ ডিনারের আয়োজন।
🍁চতুর্থ দিন সকালের নাস্তা করে হোটেল থেকে চেক আউট করে রওনা দিবো টেকনাফের উদ্দেশ্যে। টেকনাফ পৌঁছানোর পর দুপুরের খাবার খেয়ে টেকনাফ এর আশেপাশে ঘুরে আমরা এসি বাসে উঠে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবো।
🍁পঞ্চম দিন খুব সকালে ঢাকায় থাকবো।
সেন্টমার্টিন ভ্রমনের তারিখ 😕
**নূন্যতম ৪জন হলে যেকোনো দিন প্রাইভেট ট্যুর এ্যারেঞ্জ করা যাবে।
💠সেন্টমার্টিন ভ্রমন খরচ:
জনপ্রতি ৬৫০০টাকা(এসি বাস হলে আরো ১৫০০ টাকা যোগ করতে হবে)(এক রুমে ৪ জন)
💠কাপল প্যাকেজ
প্রতি কাপল: ৮,০০০টাকা(এক রুমে ২ জন)
কনফার্ম করার শেষ তারিখ : ??
🍂কনফার্ম করার জন্য প্রতিজন ৪,০০০ টাকা করে কনফার্মেশন মানি জমা দিতে হবে।
🍂চাইল্ড পলিসি : ০থেকে ৩ বছরের শিশুদের জন্য ফ্রি
সেন্ট মার্টিন ট্যুর প্যাকেজে যা যা থাকছে
💠ঢাকা -সেন্ট মার্টিন -ঢাকা বাস টিকিট,জীপ সহ সকল যাতায়াত খরচ
💠২রাত হোটেল একোমডেশন
💠টেকনাফ পৌছানোর পর প্রথম দিন সকালের খাবার থেকে শুরু করে আসার দিন দুপুর পর্যন্ত প্রতিদিন ৩ বেলা খাবার।
💠সকল প্রকার হোটেল ট্যাক্স ও পার্কিং চার্জ।
💠জাহাজের ডেকের টিকেট আসা যাওয়া(কেবিন বা সিট নিতে চাইলে বুকিং মানির সাথে আর ও ৯০০ টাকা যোগ করতে হবে)
💠লোকাল ট্রান্সপোর্ট
⛔সেন্ট মার্টিন ট্যুর প্যাকেজে যা থাকছে না
💠ঢাকা থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়া আসার পথে যাত্রা বিরতি তে খাবার
💠কোনো পার্সোনাল খরচ।
💠ফেরার দিন রাতের খাবারের খরচ।
💠প্যাকেজ বহির্ভূত যে কোনো খরচ।
কনফার্ম করার আগে যে ব্যাপারগুলো অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে
💠হোটেলে এক রুমে চারজন করে থাকা। রুমে দুইটা করে বড় বেড থাকবে। ফ্যামিলি না হলে অবশ্যই মেয়েদের থাকার রুম আলাদা থাকবে।কাপলদের জন্য কাপল রুম থাকবে।
💠সব রুমে এটাচ বাথ ও গিজার থাকবে।
💠কোন হিডেন চার্জ নেই।
সাথে যা যা নিতে পারেন :
NID কার্ড/জন্ম নিবন্ধনের কপি। (নিরাপত্তার সার্থে সবসময়ই সাথে রাখা উচিৎ)
মোবাইলের চার্জার ও পাওয়ার ব্যাংক (সেন্ট মার্টিনে রাতে জেনারেটর বন্ধ থাকে।)
ভাল মানের সানস্ক্রিন/ সানব্লক।
হ্যাট/ক্যাপ/গামছা/ওড়না ছাতা (মাথা ঢাকার জন্য)
সানগ্লাস
ক্যামেরা+ ব্যাটারি
টর্চ
স্যালাইন/ গ্লুকোজ
বেসিক কিছু ঔষধ। ওখানে সব কিছু এভেইলেবল না। যেগুলো এভেইলেবল তার দাম বেশি।)
ওডোমস
কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে-
১. ভ্রমণের সময় যদি কোনো সমস্যার মুখোমুখি হই নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করব।
২. অবস্থা পরিপেক্ষিতে যে কোনো সময়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে যেটা আমরা সকলে মিলে ঠিক করব।
৩. সবাইকে একটি বিষয় খুব ভাল ভাবে মনে রাখতে হবে যে, স্পট গুলোতে কোনো রকম ময়লা ফেলা যাবে না। সাথে পলিথিন থাকবে, সেখানে ফেলতে হবে। পরে ডাস্টবিনে ফেলা হবে।
৪.স্থানীয় দের সাথে কোনো রকম বিরূপ আচরন করা যাবে না।
বুকিং মানি জমা দেয়ার পদ্ধতি
ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109
ইনটারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক যেকোনো ধরণের ভ্রমণ প্যাকেজ পেয়ে যাবেন আমাদের কাছে।
**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৫)
**** ট্রিপের ৭ দিন আগে ক্যান্সেল করলে টাকা অফেরতযোগ্য
এছাড়া অন্য যেকোনো প্রশ্ন বা যোগাযোগের জন্য নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।
যোগাযোগ:01820-109 109