🏞️হামহাম মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে ২০১০ সালের শেষের দিকে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মাকে সাথে নিয় একদল পর্যটক হাম হামের এই অনিন্দ্য জলপ্রপাতটি আবিষ্কার করেন। স্থানীয়দের কাছে এই ঝর্ণা চিতা ঝর্ণা হিসাবে পরিচিত, তাদের মতে এই জঙ্গলে আগে চিতা পাওয়া যেত। প্রায় ১৪০ফিট উঁচু এই ঝর্ণার বুনো সৌন্দর্য দেখার জন্যে অনেক কষ্ট স্বীকার করে সমগ্র বাংলাদেশ থেকে মানুষ ছুটে আসে। শীতকালে তুলনামূলক পানি কিছটাু কম থাকলেও বর্ষাকালে হামহামের বুনো সৌন্দর্য্য দেখার উপযুক্ত একটা সময়।
ঝরণার যৌবন হলো বর্ষাকাল। বর্ষাকালে প্রচন্ড ব্যাপ্তিতে জলধারা গড়িয়ে পড়ে। শীতে তা মিইয়ে মাত্র একটি ঝরণাধারায় এসে ঠেকে। ঝরণার ঝরে পড়া পানি জঙ্গলের ভিতর দিয়ে ছড়া তৈরি করে বয়ে চলেছে। এরকমই বিভিন্ন ছোট-বড় ছড়া পেরিয়ে জঙ্গলের বন্ধুর পথ পেরিয়ে এই ঝরণার কাছে পৌঁছতে হয়। ঝরণাটির কাছে যাওয়ার জন্য এখনও (নভেম্বর ২০১১) সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ গৃহীত হয়নি, সাধারণত স্থানীয় অধিবাসীদের থেকে কাউকে গাইড বা পথপ্রদর্শক নির্ধারণ করে পর্যটকরা ঝরণা ভ্রমণ করেন। তাছাড়া ঝরণাকে ঘিরে তৈরি হয়নি কোনো সরকারি অবকাঠামোও। ঝরণায় যেতে হলে কুড়মা বন বিটের চম্পারায় চা বাগান হয়ে যেতে হয়। চম্পারায় চা-বাগান থেকে ঝরণার দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার। পথে অত্যন্ত খাড়া মোকাম টিলা পাড়ি দিতে হয়[৪] এবং অনেক ঝিরিপথ ও ছড়ার কাদামাটি দিয়ে পথ চলতে হয়।
হামহাম ঝর্ণা কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে হাম হাম যেতে হলে শ্রীমঙ্গল হয়ে যাওয়া সবচেয়ে সুবিধাজনক। বাসে করে ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল যেতে ফকিরাপুল অথবা সায়দাবাদ থেকে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা ভাড়ায় এসি ও নন এসি বাস পাওয়া যায়। এসি ও নন এসি এসব বাসের ভাড়া ৭০০ – ১০০০ টাকা। বাসে করে শ্রীমঙ্গল যেতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।
আর কমলাপুর বা বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশান হতে পারাবত, জয়ন্তিকা বা উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে প্রথমে শ্রীমঙ্গল আসা যায়। শ্রেনীভেদে ভাড়া ২৬০-১০০০ টাকা। ট্রেনে শ্রীমঙ্গল যেতে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা।
গাড়ি ও গাইড
শ্রীমঙ্গল থেকে সকাল সকাল হামহামে উদ্দেশ্যে রওনা দিলে ভাল হয়। বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে প্রথম আপনাকে একজন লোকাল গাইডের নাম্বার সংগ্রহ করলে ভালো হয়। এছাড়া কলাবন পাড়া পৌঁছানোর আগে গাইডের সাথে গাড়ি ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলে যাবেন। অবশ্যই একজন গাইড জানে কোন গাড়ির সঠিক ভাড়া কত। ভ্রমণ সঙ্গীর প্রত্যেকে বাঁশের লাঠি নিতে ভুল করবেন না, আর অবশ্যই জোঁকের কথা মাথায় রাখবেন। কলাবন পাড়া থেকে হামহাম যাবার দুটো ট্রেইল আছে আছে, ঝিরি পথ ও পাহাড়ি পথ। ঝিরি পথে একটু সময় বেশি লাগলেও এই পথের সৌন্দর্য পাহাড়ি পথের চেয়ে অনেক বেশি। তবে বর্ষাকালে ঝিরি পথে অনেক জোঁক থাকে। কলাবন পাড়া থেকে হামহাম যেতে ২-৩ ঘন্টা লাগবে। তবে পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটার অভ্যাস না থাকলে সময় আরও একটু বেশি লাগতে পারে।
হামহাম ঝর্ণা কোথায় থাকবেন
হামহাম ঝর্নার আশেপাশে থাকার মতো কোন ব্যবস্থাই নেই। তাই খুব সকালে রওনা দিয়ে দিনে দিনে ফিরে আসাই ভালো। তবে গাইডের সাথে কথা বলে যদি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন তবে কুরমা বনবিট এলাকার কোথাও থাকতে পারবেন। শ্রীমঙ্গল থাকার জন্য ভালো মানের হোটেল আছে।
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
সিতাপ ঝর্ণা
মাধবপুর লেক
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
সাত রঙের চা _নীলকন্ঠ কেবিন
বর্ডারের মেঘা লেক
কুরমা বনবিট কাশিয়াপল্লী
কুরমা চা বাগান ইত্যাদি
হামহাম ঝর্ণা ভ্রমণ টিপস
1)হামহাম যারা যাবেন অবশ্যই ট্রেকিং এর জন্যে হাইকিং অথবা ভালো গ্রীপের জুতো ব্যববার করবেন।
2)ব্যাকপ্যাক যত সম্ভব হালকা রাখবেন।
3)ফার্স্ট এইডের জন্যে যা প্রয়োজন সাথে রাখুন।
4)সাথে পর্যাপ্ত পানি নিতে হবে, প্রয়োজনে সাথে করে স্যালাইন নিতে পারেন।
6)ঝর্ণা ও ট্রেইলে দয়া করে কোন ধরনের ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না।
7)স্থানীয় মানুষদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করুন।
8)সময়ের দিকে খেয়াল রাখুন যেন হামহাম থেকে ফিরে আসার পথেই সন্ধ্যা না হয়ে যায়।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক হামহাম ঝর্ণা যাবার উদ্দেশ্যে কলাবনপাড়া এসে নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে নানান ঝামেলা ও সিন্ডিকেটে পড়ে যান। রিজার্ভ ফরেস্ট বন বিভাগের কোন এনটি নেয়া হয় না এখন আর। তাই সিন্ডিকেট বেড়ে গেছে। রিজার্ভ ফরেস্ট বন বিভাগের এন্টি থাকাকালীন পাহাড়ে যাওয়াটা অবশ্যই নিরাপত্তা ছিল। এখন যার যেমন খুশি গাইড হিসেবে চলে পাহাড়ে এবং গিয়ে পর্যটকদের হয়রানি করে। হামহাম থেকে ফিরে এসে কলাবন-পাড়া পর্যটকেদের দুপুরের যে খাবার খাওয়ার হোটেল ১৭/৯/২০২২/ এলাকা ভিত্তিক সমস্যার কারণে স্থানীয় প্রশাসন বন্দ করে দিয়েছেন। বর্তমান সময়ে কলাবন-পাড়া খাবারের কোন ব্যবস্থা নেই । অবশ্যই আপনারা আগে থেকে লোকাল গাইডের সাথে খাবারের বিষয়টা জানিয়ে যাবেন। গাইডের মাধ্যমে ঘরোয়া পরিবেশে খাবারের একটা ব্যবস্থা পেয়ে যাবেন। বর্তমান সময়ে অবশ্যই আগে থেকে গাইড কে জানিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আশা করি, এবং রাস্তায় পর্যটকদের গাইডের সিন্ডিকেটের সমস্যা দেখা যায়, রাস্তা থেকে অপরিচিত যে কেউ গাইড হিসেবে আপনাদের সাথে যেতে চাইলে তাকে গাইড হিসেবে পাহাড়ে নিয়ে যাবার কোনো প্রয়োজন নেই না হলে সমস্যায় পড়ে যাবে।
লোকাল গাইড ও গাড়ি
গাইড সাজ্জাদ 01717760509
চাঁদের গাড়ি 01315373372
বিস্তারিত জানতে
ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109
ইনটারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক যেকোনো ধরণের ভ্রমণ প্যাকেজ পেয়ে যাবেন আমাদের কাছে।
**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৯)