মহেশখালী দ্বীপ
বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ যা মহেশখালী দ্বীপ নামেও পরিচিত।মহেশখালী বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এই অঞ্চলটি কক্সবাজারের একটি বাটি অঞ্চল দ্বীপ রুপেও পরিবেশিত। এই দ্বীপটি কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে সাগরের মাঝে অবস্থিত। মহেশখালী উপজেলার আয়তন ৩৬২.১৮ বর্গ কিলোমিটার।মহেশখালী উপজেলা আরো তিনটি ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। এগুলো হল: সোনাদিয়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা।প্রায় ২০০ বছর আগে মহেশখালী নামে পরিচিত হয়ে উঠে, বৌদ্ধ সেন মহেশ্বর দ্বারাই এটির নামকরণ হয়েছিল বলেও অনেকের ধারণা।
মহেশখালী দ্বীপ দর্শনীয় স্থান
আদিনাথ মন্দির
বড় রাখাইন পাড়া বৌদ্ধ মন্দির
আদিনাথ ও গোরকঘাটা জেটি
লবণ মাঠ
শুটকি মহাল
গোরকঘাটা জমিদারবাড়ী
সোনাদিয়া দ্বীপ ও সমুদ্র সৈকত
ধলঘাটা হাঁসের চর
শরইতলা সী-বিচ
চরপাড়া সী-বিচ
মৈনাক পাহাড়
প্যারাবন
চিংড়ী ঘের
মুদির ছড়া, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বন
মুদির ছড়া রাখাইন ছাড়া এবং রাখাইন বুদ্ধমন্দির
মহেশখালী দ্বীপ ভ্রমণ গাইড
মহেশখালী জেডি ঘাট থেকে জেডি ধরে কেওড়া ,গোলপাতাসহ সুন্দরী গাছের মনোরম দৃশ্যের মাঝে হেঁটে যেতে পারেন।ছবি তোলার জন্য একদম পারফেক্ট জায়গা। কিছুক্ষন হাঁটার পর মৈনাক পাহাড় দেখা যাবে। এখানে রয়েছে শ্রী শ্রী আদিনাথ মন্দির। ৫০০ থেকে ৬০০ বছরের পুরোনো মন্দিরের কারুকার্য অনেক সুন্দর। মৈনাক পাহাড় থেকে ম্যানগ্রোভ বন,সমুদ্র এবং পুরো মহেশখালী দেখা যায়। পাহাড় থেকে নেমে অটো রিকশা রিজার্ভ করে লবন চাষাবাদের জায়গা শুঁটকি পল্লী প্যারাবন,সি বীচ সোহো একেএকে সব জায়গা ঘুরে দেখা যাবে। এরপর যেতে পারেন বড় বৌদ্ধ কেয়াং বা মন্দির। এর ভেতরে বেশ কয়েকটি বৌদ্ধ মন্দির আছে। অনেকগুলি পিতলের মূর্তি আছে এখানে।ধ্যানমগ্ন বৌদ্ধ,মাথায় হাত দিয়ে শায়িত বৌদ্ধ এবং দন্ডায়মান বৌদ্ধ। পথে যেতে যেতে পানের বরয পরবে চোখে। সেখান থেকে রিজার্ভ অটোতে করেই ১নং জেডি ঘটে এসে একটা পান মুখে দিয়ে ফায়ার আস্তে পারেন।
মহেশখালী দ্বীপ যাওয়ার উপায়
মহেশখালীতে যাওয়ার জন্য সবথেকে সহজ র এডভেঞ্চার পথটি হচ্ছে কক্সবাজারের সমুদ্রপথটি। এর জন্য সড়ক, রেল কিংবা আকাশপথে প্রথমে কক্সবাজার আসতে হবে।
ঢাকার যাত্রাবাড়ি, মালিবাগ, কলাবাগান, ফকিরাপুল, মহাখালী অথবা গাবতলী থেকে কক্সবাজারের অনেক বাস পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার বাদে সপ্তাহের বাকি ৬দিন শুধুমাত্র চট্রগ্রামে যাত্রা বিরতি দিয়ে চলাচল করে এই ট্রেন।মাত্র ৯ ঘন্টার মধ্যেই কক্সবাজার চলে আসা যায়।
মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রার সম্পন্ন করতে চাইলে আকাশপথে যেতে হবে। কক্সবাজার শহরে পৌঁছে এবার সরাসরি চলে যেতে হবে মহেশখালী যাবার জেটি বা ৬ নম্বর ঘাটে। এখান থেকে স্থানীয় ট্রলার বা স্পিডবোটে জনপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা ভাড়ায় মহেশখালী পৌঁছে দেয়। বড় গ্রুপ হলে পুরো স্পিডবোট রিজার্ভ নেওয়া যেতে পারে। স্পিডবোটে সময় লাগতে পারে ২০ মিনিট, আর সেলুনৌকা বা ট্রলারে সময় নেবে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট।
মহেশখালী যাওয়ার আরেকটি পথ হচ্ছে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম দিয়ে সড়কপথে চকরিয়া হয়ে যাওয়া। এ পথে চকরিয়ার বদরখালি হয়ে মহেশখালীতে প্রবেশ করতে সময় লাগবে প্রায় দেড় ঘণ্টা। যে জেটি থেকে মহেশখালীগামী নৌকা বা ট্রলারে উঠতে হবে সেটি চকরিয়া হয়ে যাওয়ার পথেই চোখে পড়বে।
মহেশখালী আসার পর এবার সবকিছু ঘুরে দেখতে রিকশা, অটো কিংবা ইজিবাইক ভাড়া করা যায়। পাহাড়ি দ্বীপটি একদিনেই ঘুরে দেখা সম্ভব।
মহেশখালী ভ্রমণে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা
স্বল্প দূরত্বের কারণে অধিকাংশ পর্যটক মহেশখালী ঘুরে থাকার জন্য কক্সবাজারেই ফিরে আসেন। এ কারণে মহেশখালীতে থাকার জন্য তেমন কোনো আবাসিক হোটেল নেই।
খাবারের বেলায়ও একই পন্থা অনুসরণ করতে হবে। কক্সবাজারে বেশ কিছু মানসম্মত খাবারের হোটেল আছে, যেগুলোতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যেই এক বেলা ভরপেট খাওয়া যায়।
তবে রোমাঞ্চপ্রেমীদের জন্য মহেশখালী দ্বীপে তাঁবুতে রাতযাপন করাটা দারুণ একটি অভিজ্ঞতা হতে পারে।
বিস্তারিত জানতে
ভ্রমণের অনেক উটকো ঝামেলা এড়াতে ট্রাভেল এজেন্সীর মাদ্ধমে ভ্রমণ করতে দেশের সবচেয়ে ফিমেল ফ্রেন্ডলি ও বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল এজেন্সী Sports Tourism Bangladesh এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,ভ্রমণকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক করায় আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ভিসা ও এয়ার টিকেট জানতে ও সহযোগিতার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজ :https://www.facebook.com/sportstourismbd
এবং কল করুন : 01820-109 109
ইনটারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক যেকোনো ধরণের ভ্রমণ প্যাকেজ পেয়ে যাবেন আমাদের কাছে।
**সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।(১১৩ পশ্চিম ধানমন্ডি, আরমান খান গলি,ঢাকা ১২০৯)